সেতুর অভাবে বিচ্ছিন্ন দুই ইউনিয়নের মানুষ by আজাদ রহমান
শৈলকুপা উপজেলার আড়ুয়াকান্দি ঘাটে কুমার নদে সেতু নেই। তাই শিক্ষার্থীদের পানি পার হয়ে সাঁকোতে উঠতে হচ্ছে |
ঝিনাইদহের
শৈলকুপা উপজেলার দক্ষিণে উমেদপুর আর উত্তরে মনোহরপুর ইউনিয়ন। মাঝ দিয়ে
বয়ে গেছে কুমার নদ। এ নদে কোনো সেতু নেই। তাই পারাপারে বিড়ম্বনার শিকার
হচ্ছে প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ। এলাকার অনেকে বলছেন, আড়ুয়াকান্দি ঘাটে
একটি সেতু নির্মাণ এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে পারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শৈলকুপা উপজেলার আড়ুয়াকান্দি এলাকায় কুমার নদের ওপর রয়েছে একটি বাঁশের সাঁকো। এর কিছু অংশ ভেঙে পানির স্রোতে হারিয়ে গেছে। ভাঙা স্থানটি দিয়ে পানিতে ভিজে পার হচ্ছে পথচারীরা। উমেদপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বই-খাতা নিয়ে পানির মধ্যে নেমে গেছে। এভাবে পানিতে নেমে তাদের সব সময় যাতায়াত করতে হয়।
এলাকার অনেকে জানান, এই কুমার নদ তাঁদের এলাকার উমেদপুর আর মনোহরপুর ইউনিয়নকে আলাদা করে রেখেছে। উমেদপুর ইউনিয়নের রয়েড়া, তামিনগর, বাহির-রয়েড়া, আড়ুয়াকান্দি, গোয়ালবাড়িয়া, পার্বতীপুর, সষ্টিবর, কৃষ্ণপুর, বিষ্ণুপুর, লক্ষ্মণদিয়া, খড়িবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর এবং মনোহরপুর ইউনিয়নের দামুকদিয়া, বিষ্ণুপুর, মাধবপুর, মহিষাডাঙ্গা, মনোহরপুর, নাগিরহাট, দোয়া-নাগিরহাট, বিজুলিয়া, দলিলপুর গ্রামের মানুষ এই ঘাট দিয়ে পারাপার হয়। উমেদপুর ইউনিয়নে আড়ুয়াকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উমেদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উমেদপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, রয়েড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রয়েড়া দাখিল মাদ্রাসাসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। নদের দুই পাশে রয়েছে রয়েড়া বাজার, কৃষ্ণপুর বাজার, খড়িবাড়িয়া বাজার, নাগিরহাট বাজার, শিতালী বাজার। উল্লেখিত ২০ গ্রাম ছাড়াও পাশের কিছু গ্রামের মানুষ বাজারগুলোতে প্রতিনিয়ত কেনাবেচা করে। তাদের পণ্য আনা-নেওয়া করতে হয় ১৫-১৬ কিলোমিটার দূরের ফাদিলপুর বাজার ঘুরে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা মালামাল পার করে ডিঙ্গি নৌকায়। এভাবে কষ্ট করে বছরের পর বছর চলতে হয় হাজার হাজার মানুষকে।
আড়ুয়াকান্দি গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনের তাগিদে তাঁরা বাঁশের সাঁকো তৈরি করে নেন। বছরের সব সময় এই নদে পানি থাকে, কিন্তু সাঁকো থাকে না। কারণ, তৈরির অল্প দিনেই ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকো ভেঙে পড়ে যায়। সাধারণ মানুষকে নদের পানি ভেঙে চলাচল করতে হয়। আবার সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে অনেকে পানিতে পড়ে যায়। ফলে এলাকার মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। এ ছাড়া বর্ষাকালে পারাপারের একমাত্র মাধ্যম হয়ে ওঠে ডিঙ্গি নৌকা। তখন ভোগান্তি আরও চরমে ওঠে। এভাবে ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে কষ্ট করে চলাচল করছে মানুষ। তাই তারা আড়ুয়াকান্দি-বিষ্ণুদিয়া ঘাটে একটি সেতুর জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে। কিন্তু আজও প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
উমেদপুর গ্রামের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম জানান, সেতু না থাকায় তাঁদের এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় খুব বেশি। উমেদপুর বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী শিখা খাতুন জানায়, সেতু না থাকায় তাদের চলাচলে খুব কষ্ট হয়। মাঝেমধ্যে সাঁকো পার হওয়ার সময় পানিতে পড়ে বই-খাতা নষ্ট হয়।
জানতে চাইলে ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব-উল-হাসান বলেন, ‘ওই জায়গায় সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, মানুষের দুর্ভোগ কমাতে আড়ুয়াকান্দি ঘাটে সেতু নির্মাণ হবে।’
সরেজমিনে দেখা যায়, শৈলকুপা উপজেলার আড়ুয়াকান্দি এলাকায় কুমার নদের ওপর রয়েছে একটি বাঁশের সাঁকো। এর কিছু অংশ ভেঙে পানির স্রোতে হারিয়ে গেছে। ভাঙা স্থানটি দিয়ে পানিতে ভিজে পার হচ্ছে পথচারীরা। উমেদপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বই-খাতা নিয়ে পানির মধ্যে নেমে গেছে। এভাবে পানিতে নেমে তাদের সব সময় যাতায়াত করতে হয়।
এলাকার অনেকে জানান, এই কুমার নদ তাঁদের এলাকার উমেদপুর আর মনোহরপুর ইউনিয়নকে আলাদা করে রেখেছে। উমেদপুর ইউনিয়নের রয়েড়া, তামিনগর, বাহির-রয়েড়া, আড়ুয়াকান্দি, গোয়ালবাড়িয়া, পার্বতীপুর, সষ্টিবর, কৃষ্ণপুর, বিষ্ণুপুর, লক্ষ্মণদিয়া, খড়িবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর এবং মনোহরপুর ইউনিয়নের দামুকদিয়া, বিষ্ণুপুর, মাধবপুর, মহিষাডাঙ্গা, মনোহরপুর, নাগিরহাট, দোয়া-নাগিরহাট, বিজুলিয়া, দলিলপুর গ্রামের মানুষ এই ঘাট দিয়ে পারাপার হয়। উমেদপুর ইউনিয়নে আড়ুয়াকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উমেদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উমেদপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, রয়েড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রয়েড়া দাখিল মাদ্রাসাসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। নদের দুই পাশে রয়েছে রয়েড়া বাজার, কৃষ্ণপুর বাজার, খড়িবাড়িয়া বাজার, নাগিরহাট বাজার, শিতালী বাজার। উল্লেখিত ২০ গ্রাম ছাড়াও পাশের কিছু গ্রামের মানুষ বাজারগুলোতে প্রতিনিয়ত কেনাবেচা করে। তাদের পণ্য আনা-নেওয়া করতে হয় ১৫-১৬ কিলোমিটার দূরের ফাদিলপুর বাজার ঘুরে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা মালামাল পার করে ডিঙ্গি নৌকায়। এভাবে কষ্ট করে বছরের পর বছর চলতে হয় হাজার হাজার মানুষকে।
আড়ুয়াকান্দি গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনের তাগিদে তাঁরা বাঁশের সাঁকো তৈরি করে নেন। বছরের সব সময় এই নদে পানি থাকে, কিন্তু সাঁকো থাকে না। কারণ, তৈরির অল্প দিনেই ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকো ভেঙে পড়ে যায়। সাধারণ মানুষকে নদের পানি ভেঙে চলাচল করতে হয়। আবার সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে অনেকে পানিতে পড়ে যায়। ফলে এলাকার মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। এ ছাড়া বর্ষাকালে পারাপারের একমাত্র মাধ্যম হয়ে ওঠে ডিঙ্গি নৌকা। তখন ভোগান্তি আরও চরমে ওঠে। এভাবে ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে কষ্ট করে চলাচল করছে মানুষ। তাই তারা আড়ুয়াকান্দি-বিষ্ণুদিয়া ঘাটে একটি সেতুর জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে। কিন্তু আজও প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
উমেদপুর গ্রামের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম জানান, সেতু না থাকায় তাঁদের এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় খুব বেশি। উমেদপুর বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী শিখা খাতুন জানায়, সেতু না থাকায় তাদের চলাচলে খুব কষ্ট হয়। মাঝেমধ্যে সাঁকো পার হওয়ার সময় পানিতে পড়ে বই-খাতা নষ্ট হয়।
জানতে চাইলে ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব-উল-হাসান বলেন, ‘ওই জায়গায় সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, মানুষের দুর্ভোগ কমাতে আড়ুয়াকান্দি ঘাটে সেতু নির্মাণ হবে।’
No comments