‘মোদির সফরে তিস্তা চুক্তি হবে না’
ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন বাংলাদেশ সফরে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর
হবে না। গতকাল এ বিষয়টি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সুষমা স্বরাজ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের অধীনে ভারতীয় কূটনীতির
এক বছর উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল এ খবর দিয়েছে
ভারতের বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়া (ইউএনআই)। এই বার্তা
সংস্থাটির রিপোর্টের গ্রাহক ১৪টি ভাষার সংবাদ মাধ্যম। এর মধ্যে রয়েছে অল
ইন্ডিয়া রেডিও, দূরদর্শন, প্রধানমন্ত্রীর অফিস। এতে বলা হয়, সুষমা স্বরাজ
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিস্তা যেহেতু শুধু বাংলাদেশের সঙ্গে
দ্বিপক্ষীয় বিষয় নয়, এর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গও জড়িত- তাই তিস্তা ইস্যুতে এখনও
কোন ঐকমত্য হয় নি। এ চুক্তি করতে রাজ্য সরকারকে আস্থায় নিতে হবে। ৬ ও ৭ই
জুন ঢাকা সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার এ সফরসঙ্গী
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হবেন কিনা তা নিয়ে সৃষ্টি
হয়েছিল এক রকম ধূম্রজাল। তা কাটিয়ে মমতা সম্মতি দিয়েছেন। তিনি ৫ই জুন
বাংলাদেশে আসছেন। পরদিন স্থল সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের পর দেশে ফিরে
যাবেন।
সীমান্ত চুক্তির অনুমোদন, মোদি সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য: এদিকে নয়াদিল্লির বরাত দিয়ে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসস প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের বর্তমান সরকারের সুসম্পর্ক গড়ে তোলার পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম সাফল্য হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত স্থলসীমান্ত চুক্তি ভারতের উভয় সংসদে অনুমোদন। ৪১ বছর পর এ অনুমোদনের ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। ভারতের বর্তমান সরকারের এক বছরের কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আয়োজিত গতকালের প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী বলেন, সফর, আলোচনা এবং কূটনৈতিক নীতি এক বছরে দারুণ সফল হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তিস্তাসহ ৫৪টি নদীর যৌথ ব্যবস্থাপনার উপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের দাবিতে দু’দেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রথম দফা বৈঠক হয়েছে। এব্যাপারে আরও আলোচনা করা হবে। ২০১১ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর সফরকালে তিস্তা চুক্তি হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু শেষ মুহূর্তে চুক্তি করা সম্ভব হয়নি। তিস্তার পানি চুক্তি হবে কিনা জানতে চাইলে সুষমা স্বরাজ বলেন, তিস্তার পানি চুক্তি শুধুমাত্র ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের উপর নির্ভর করে না। এর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ জড়িত। তাই মমতাকে নিয়েই চুক্তি করা হবে। মমতার ঢাকা সফরকে স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, তিনি যে তিস্তা চুক্তির পক্ষে সেটা বাংলাদেশে গিয়ে মমতা নিজেই বলে এসেছেন। তবে মোদির আসন্ন সফরে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব হচ্ছে না জানিয়ে সুষমা বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সমঝোতার জন্য আরও একটু আলোচনার প্রয়োজন। প্রেস ব্রিফিংয়ের পর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, মোদির এ সফরে ফোকাস হচ্ছে ভারতের রাজ্য ও লোকসভায় স্থলসীমা চুক্তি অনুমোদন। বাংলাদেশে আটক উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আলোচনা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি ইতিবাচক জবাব দিয়ে বলেন, আমরা চাই তাকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হোক। ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে সুষমা স্বরাজ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যা কিছু হবে তাতে উত্তর-পূর্ব ভারত লাভবান হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের কূটনৈতিক সাফল্যের ফলে মাত্র এক বছরে ৩৯ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগ বেড়েছে।
সীমান্ত চুক্তির অনুমোদন, মোদি সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য: এদিকে নয়াদিল্লির বরাত দিয়ে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসস প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের বর্তমান সরকারের সুসম্পর্ক গড়ে তোলার পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম সাফল্য হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত স্থলসীমান্ত চুক্তি ভারতের উভয় সংসদে অনুমোদন। ৪১ বছর পর এ অনুমোদনের ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। ভারতের বর্তমান সরকারের এক বছরের কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আয়োজিত গতকালের প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী বলেন, সফর, আলোচনা এবং কূটনৈতিক নীতি এক বছরে দারুণ সফল হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তিস্তাসহ ৫৪টি নদীর যৌথ ব্যবস্থাপনার উপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের দাবিতে দু’দেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রথম দফা বৈঠক হয়েছে। এব্যাপারে আরও আলোচনা করা হবে। ২০১১ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর সফরকালে তিস্তা চুক্তি হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু শেষ মুহূর্তে চুক্তি করা সম্ভব হয়নি। তিস্তার পানি চুক্তি হবে কিনা জানতে চাইলে সুষমা স্বরাজ বলেন, তিস্তার পানি চুক্তি শুধুমাত্র ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের উপর নির্ভর করে না। এর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ জড়িত। তাই মমতাকে নিয়েই চুক্তি করা হবে। মমতার ঢাকা সফরকে স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, তিনি যে তিস্তা চুক্তির পক্ষে সেটা বাংলাদেশে গিয়ে মমতা নিজেই বলে এসেছেন। তবে মোদির আসন্ন সফরে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব হচ্ছে না জানিয়ে সুষমা বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সমঝোতার জন্য আরও একটু আলোচনার প্রয়োজন। প্রেস ব্রিফিংয়ের পর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, মোদির এ সফরে ফোকাস হচ্ছে ভারতের রাজ্য ও লোকসভায় স্থলসীমা চুক্তি অনুমোদন। বাংলাদেশে আটক উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আলোচনা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি ইতিবাচক জবাব দিয়ে বলেন, আমরা চাই তাকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হোক। ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে সুষমা স্বরাজ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যা কিছু হবে তাতে উত্তর-পূর্ব ভারত লাভবান হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের কূটনৈতিক সাফল্যের ফলে মাত্র এক বছরে ৩৯ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগ বেড়েছে।
No comments