চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়- দুই হলের শতাধিক কক্ষ ভাঙচুর, লুটপাট
হামলার সময় এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট কার্যালয়ের নামফলক ভাঙচুর করা হয় |
চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও
সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের নেতা-কর্মী, সাধারণ শিক্ষার্থীসহ
অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির নিয়ন্ত্রিত স্যার এ এফ রহমান হল এবং আলাওল হলে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় দুটি হলের শতাধিক কক্ষের জানালা ও দরজার কাচ ভাঙচুর করা হয়। এ সময় বিভিন্ন কক্ষ থেকে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী ল্যাপটপ, মুঠোফোনসহ নানা আসবাব লুট করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁদের হলেন ছাত্রলীগ কর্মী হাসান, মাসুম খান ও সানি; শিবিরের হাফিজুল্লাহ ও শাহ জালাল এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মির্জা, জাবেদ, রায়হান বকুল, রুকন, সাক্তার খান, সাইফুল ইসলাম, শামীম চৌধুরী।
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের চিকিৎসক জহির আহমদ জানান, আহত ১৫ জনকে চিকিৎসাকেন্দ্রে আনা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন সিএফসি ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ পক্ষের (বর্তমানে বিজয়) কয়েকজন কর্মী আলাওল হলের মাঠে ক্রিকেট খেলতে যান। তাঁরা খেলার স্কোর লেখার জন্য খাতা আনতে আলাওল হলে গেলে শিবিরের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে বিজয়পক্ষের নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে হলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় শিবিরের নেতা-কর্মীরাও হলের ওপর থেকে পাথর ছুড়তে থাকেন। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পড়লে শাহ আমানত ও শাহজালাল হলে অবস্থান করা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসে আলাওল হলের সামনে জড়ো হন। এ সময় শিবিরের নেতা-কর্মীরা হলের পেছন দিকে সরে যায়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হলের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালান। এ সময় বিভিন্ন কক্ষ থেকে কিছু কর্মী আসবাব লুট করেন। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পাশের এ এফ রহমান হলে যান। এ সময় ওই হলে অবস্থান করা শিবিরের নেতা-কর্মীরা হলের পেছন দিক দিয়ে সরে যান। এরপর ছাত্রলীগের কর্মীরা হলে ঢুকে বিভিন্ন কক্ষে ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। এ সময় কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীকেও মারধর করা হয়।
গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এ এফ রহমান হলে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কিছু কক্ষের দরজা ও জানালা ভাঙা। প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকদের নামফলক মেঝেতে পড়ে আছে।
পুলিশের হাটহাজারী সার্কেলের এএসপি আ ফ ম মিজান উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর ছিল। কিছু কিছু জিনিস লুটপাট হয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা আমাদের জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।’
এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। তারপরেও বেশ কিছু কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে কয়টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে, এখনো হিসাব করিনি। আমার সামনে দিয়ে বেশ কিছু ল্যাপটপ নিয়ে যেতে দেখেছি। আমি তাদের কাছ থেকে তিনটি ল্যাপটপ নিজের হেফাজতে নিয়েছি।’
আলাওল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ জহির আহমেদ বলেন, ‘দুটি হলেই ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে কয়টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে, সেটি আমরা এখনো দেখতে পারিনি।’
এদিকে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এ এফ রহমান হলের সামনে শিবির সন্দেহে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে বিজয়পক্ষের নেতা-কর্মীরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এদিকে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে আচমকা হামলার ঘটনায় লুটপাটের শিকার সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাতে এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এঁদেরই একজন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রেদোয়ান হাসনাত বলেন, ‘আমি হলের ১২৪ নম্বর কক্ষে থাকি। হামলার একপর্যায়ে কক্ষ ভাঙচুর করে আমার ট্যাব, ব্যাগসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র লুট করা হয়। আমি কি আমার জিনিসপত্র আর ফেরত পাব?’
একই হলের ৩৩১ কক্ষের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী শওকত ওসমান জানান, হামলার সময় তাঁর ল্যাপটপ লুট হয়েছে।
ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে দুটি হলে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
তবে ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সুমন মামুন দাবি করেন, শিবিরই প্রথম নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্রলীগ তাদের প্রতিহত করে। লুটপাটের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের জানা নেই। তবে কেউ সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিতে পারলে আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনার সূত্রপাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তারা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু জিনিসপত্র নিয়ে গেছে বলে শুনেছি। আমি হল দুটির প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
গতকাল শুক্রবার বিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির নিয়ন্ত্রিত স্যার এ এফ রহমান হল এবং আলাওল হলে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় দুটি হলের শতাধিক কক্ষের জানালা ও দরজার কাচ ভাঙচুর করা হয়। এ সময় বিভিন্ন কক্ষ থেকে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী ল্যাপটপ, মুঠোফোনসহ নানা আসবাব লুট করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁদের হলেন ছাত্রলীগ কর্মী হাসান, মাসুম খান ও সানি; শিবিরের হাফিজুল্লাহ ও শাহ জালাল এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মির্জা, জাবেদ, রায়হান বকুল, রুকন, সাক্তার খান, সাইফুল ইসলাম, শামীম চৌধুরী।
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের চিকিৎসক জহির আহমদ জানান, আহত ১৫ জনকে চিকিৎসাকেন্দ্রে আনা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন সিএফসি ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ পক্ষের (বর্তমানে বিজয়) কয়েকজন কর্মী আলাওল হলের মাঠে ক্রিকেট খেলতে যান। তাঁরা খেলার স্কোর লেখার জন্য খাতা আনতে আলাওল হলে গেলে শিবিরের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে বিজয়পক্ষের নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে হলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় শিবিরের নেতা-কর্মীরাও হলের ওপর থেকে পাথর ছুড়তে থাকেন। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পড়লে শাহ আমানত ও শাহজালাল হলে অবস্থান করা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসে আলাওল হলের সামনে জড়ো হন। এ সময় শিবিরের নেতা-কর্মীরা হলের পেছন দিকে সরে যায়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হলের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালান। এ সময় বিভিন্ন কক্ষ থেকে কিছু কর্মী আসবাব লুট করেন। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পাশের এ এফ রহমান হলে যান। এ সময় ওই হলে অবস্থান করা শিবিরের নেতা-কর্মীরা হলের পেছন দিক দিয়ে সরে যান। এরপর ছাত্রলীগের কর্মীরা হলে ঢুকে বিভিন্ন কক্ষে ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। এ সময় কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীকেও মারধর করা হয়।
গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এ এফ রহমান হলে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কিছু কক্ষের দরজা ও জানালা ভাঙা। প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকদের নামফলক মেঝেতে পড়ে আছে।
পুলিশের হাটহাজারী সার্কেলের এএসপি আ ফ ম মিজান উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর ছিল। কিছু কিছু জিনিস লুটপাট হয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা আমাদের জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।’
এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। তারপরেও বেশ কিছু কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে কয়টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে, এখনো হিসাব করিনি। আমার সামনে দিয়ে বেশ কিছু ল্যাপটপ নিয়ে যেতে দেখেছি। আমি তাদের কাছ থেকে তিনটি ল্যাপটপ নিজের হেফাজতে নিয়েছি।’
আলাওল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ জহির আহমেদ বলেন, ‘দুটি হলেই ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে কয়টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে, সেটি আমরা এখনো দেখতে পারিনি।’
এদিকে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এ এফ রহমান হলের সামনে শিবির সন্দেহে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে বিজয়পক্ষের নেতা-কর্মীরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এদিকে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে আচমকা হামলার ঘটনায় লুটপাটের শিকার সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাতে এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এঁদেরই একজন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রেদোয়ান হাসনাত বলেন, ‘আমি হলের ১২৪ নম্বর কক্ষে থাকি। হামলার একপর্যায়ে কক্ষ ভাঙচুর করে আমার ট্যাব, ব্যাগসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র লুট করা হয়। আমি কি আমার জিনিসপত্র আর ফেরত পাব?’
একই হলের ৩৩১ কক্ষের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী শওকত ওসমান জানান, হামলার সময় তাঁর ল্যাপটপ লুট হয়েছে।
ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে দুটি হলে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
তবে ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সুমন মামুন দাবি করেন, শিবিরই প্রথম নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্রলীগ তাদের প্রতিহত করে। লুটপাটের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের জানা নেই। তবে কেউ সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিতে পারলে আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনার সূত্রপাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তারা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু জিনিসপত্র নিয়ে গেছে বলে শুনেছি। আমি হল দুটির প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
No comments