পানির বদলে রং
খরায় পুড়ছে ক্যালিফোর্নিয়া। সরকার থেকে পানি বাঁচানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছবি: এএফপি |
গরমে
হাঁসফাঁস করছে ক্যালিফোর্নিয়াবাসী। মাটি শুকিয়ে হাড্ডির মতো খটখটে।
বৃষ্টির দেখা নেই। বাড়ির সামনের প্রিয় বাগানে সবুজের দেখা নেই। ঘাস হলুদ
হয়ে শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। সরকার নতুন আইন করেছে পানি ছিটিয়ে উঠানের ঘাস
বাঁচানো যাবে না। তাই ঘাস বাঁচাতে অভিনব উপায় বেছে নিয়েছে খরাপীড়িত
ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দারা।
সুন্দর সবুজ বাগান যুক্তরাষ্ট্রের সংস্কৃতির একটি অংশ। এটি বাড়ির বাসিন্দাদের মর্যাদার প্রতীক। বাগানে ঘাস বড় থাকলে বা বাগান এলোমেলো থাকলে বাড়ির সুনাম নষ্ট হয়। তাই যেকোনো মূল্যে বাগানকে সতেজ রাখতে চায় তারা।
ঘাস সবুজ রাখতে বিশেষ একধরনের রং ব্যবহার করছে ক্যালিফোর্নিয়ার অনেক বাসিন্দা। তরল পদার্থ ছিটানোর স্প্রে গান দিয়ে এই রং ছিটালে ঘাসগুলো সবুজ হয়ে ওঠে। এভাবে প্রায় ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত ঘাসগুলো সবুজ থাকে। এই রং পানিরোধী। তাই বৃষ্টি না হলেও ঘাসের কোনো ক্ষতি হয় না। যাদের নিজেদের বাড়ি আছে, তারা ঘাস সবুজ রাখতে এই কৌশল বেছে নিচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এমন খরা যাচ্ছে। গরমে নিজের বাড়ির সামনে সযত্নে গড়ে তোলা বাগান মরে যেতে দেখে খুবই বিমর্ষ ছিলেন পলা পিয়ারসন। ভেবেছিলেন, পানি ছিটিয়ে ঘাসগুলো বাঁচিয়ে রাখবেন। কিন্তু এপ্রিল মাসে গভর্নর জেরি ব্রাউন পানি সাশ্রয়ের অংশ হিসেবে বাগানে বা লনে পানি ছিটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু পলা তো মরিয়া—ঘাস বাঁচাতেই হবে। তাই স্প্রে গান ব্যবহার করে ঘাস সবুজ রাখার উদ্যোগ নিয়েছেন। সান ডিয়েগো থেকে উত্তরে এসকনডিডোতে তাঁর বাড়ি। গনগনে দুপুরে বড় একটি সানগ্লাস পরে পলা এএফপিকে বলেন, তিনি এই কৃত্রিম রঙের প্রেমে পড়ে গেছেন। এভাবে ঘাসগুলোকে একেবারে সবুজ ও সতেজ দেখায়।
ক্যালিফোর্নিয়ার অনেক শহরে ‘ক্যাশ ফর গ্রাস’ কর্মসূচি চালু হয়েছে। কৃত্রিম রং ব্যবহার করে হলুদ ঘাসকে সবুজ করে তোলা হচ্ছে। এই কর্মসূচির আওতায় বাড়ির মালিকদের প্রতি স্কয়ার ফুট ঘাসের জন্য এক থেকে দুই ডলার দিতে হচ্ছে।
কৃত্রিম রঙের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান লনলিফটের এক কর্মকর্তা বলেন, কোনো সময় নষ্ট না করে এভাবে ম্যাজিকের মতো ঘাসকে সবুজ করে ফেলা সম্ভব। রং নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার বলছে, গত বছরের মার্চ মাস থেকে এ বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত এই রঙের বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণ। কেবলমাত্র ক্যালিফোর্নিয়ায় নয়, কানাডা ও আলজেরিয়ায়ও কৃত্রিমভাবে ঘাস রং করার এই স্প্রে বিক্রি করা হয়েছে। এএফপি অবলম্বনে
সুন্দর সবুজ বাগান যুক্তরাষ্ট্রের সংস্কৃতির একটি অংশ। এটি বাড়ির বাসিন্দাদের মর্যাদার প্রতীক। বাগানে ঘাস বড় থাকলে বা বাগান এলোমেলো থাকলে বাড়ির সুনাম নষ্ট হয়। তাই যেকোনো মূল্যে বাগানকে সতেজ রাখতে চায় তারা।
ঘাস সবুজ রাখতে বিশেষ একধরনের রং ব্যবহার করছে ক্যালিফোর্নিয়ার অনেক বাসিন্দা। তরল পদার্থ ছিটানোর স্প্রে গান দিয়ে এই রং ছিটালে ঘাসগুলো সবুজ হয়ে ওঠে। এভাবে প্রায় ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত ঘাসগুলো সবুজ থাকে। এই রং পানিরোধী। তাই বৃষ্টি না হলেও ঘাসের কোনো ক্ষতি হয় না। যাদের নিজেদের বাড়ি আছে, তারা ঘাস সবুজ রাখতে এই কৌশল বেছে নিচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এমন খরা যাচ্ছে। গরমে নিজের বাড়ির সামনে সযত্নে গড়ে তোলা বাগান মরে যেতে দেখে খুবই বিমর্ষ ছিলেন পলা পিয়ারসন। ভেবেছিলেন, পানি ছিটিয়ে ঘাসগুলো বাঁচিয়ে রাখবেন। কিন্তু এপ্রিল মাসে গভর্নর জেরি ব্রাউন পানি সাশ্রয়ের অংশ হিসেবে বাগানে বা লনে পানি ছিটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু পলা তো মরিয়া—ঘাস বাঁচাতেই হবে। তাই স্প্রে গান ব্যবহার করে ঘাস সবুজ রাখার উদ্যোগ নিয়েছেন। সান ডিয়েগো থেকে উত্তরে এসকনডিডোতে তাঁর বাড়ি। গনগনে দুপুরে বড় একটি সানগ্লাস পরে পলা এএফপিকে বলেন, তিনি এই কৃত্রিম রঙের প্রেমে পড়ে গেছেন। এভাবে ঘাসগুলোকে একেবারে সবুজ ও সতেজ দেখায়।
ক্যালিফোর্নিয়ার অনেক শহরে ‘ক্যাশ ফর গ্রাস’ কর্মসূচি চালু হয়েছে। কৃত্রিম রং ব্যবহার করে হলুদ ঘাসকে সবুজ করে তোলা হচ্ছে। এই কর্মসূচির আওতায় বাড়ির মালিকদের প্রতি স্কয়ার ফুট ঘাসের জন্য এক থেকে দুই ডলার দিতে হচ্ছে।
কৃত্রিম রঙের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান লনলিফটের এক কর্মকর্তা বলেন, কোনো সময় নষ্ট না করে এভাবে ম্যাজিকের মতো ঘাসকে সবুজ করে ফেলা সম্ভব। রং নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার বলছে, গত বছরের মার্চ মাস থেকে এ বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত এই রঙের বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণ। কেবলমাত্র ক্যালিফোর্নিয়ায় নয়, কানাডা ও আলজেরিয়ায়ও কৃত্রিমভাবে ঘাস রং করার এই স্প্রে বিক্রি করা হয়েছে। এএফপি অবলম্বনে
No comments