ঢিবির নিচে হাজার বছরের বৌদ্ধমন্দির by আনোয়ার পারভেজ
বগুড়ার কাহালু উপজেলার পিটপাড়া গ্রামে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে পাওয়া গেছে হাজার বছরের পুরোনো বৌদ্ধমন্দিরের ধ্বংসাবশেষ। গতকাল সেখানে খননকাজে ব্যস্ত শ্রমিকেরা |
লোকালয়
থেকে কাছেই বাঁশঝাড়, গাছগাছালিঘেরা ঘন জঙ্গল। সেই জঙ্গলের মাঝখানে
লালমাটি, ইটখোলা আর উঁচু ঢিবি। প্রত্নতাত্ত্বিক খননে এই ঢিবির নিচ থেকেই
বেরিয়ে এল ইটের দেয়ালঘেরা হাজার বছরের পুরোনো বৌদ্ধমন্দির।
বগুড়ার কাহালু উপজেলার পিড়াপাট গ্রামে সন্ধান পাওয়া গেছে এই প্রাচীন মন্দিরের। মন্দিরটিতে মিলেছে এক হাজার বছরের পুরোনো পদ্ম নকশার ইট, পোড়ামাটির প্রদীপ বাটি, টেরাকোটা বল (টিসি বল), মৃৎপাত্রের টুকরোসহ প্রত্নযুগের নানা নিদর্শন।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, মন্দিরের দেয়ালে যে পদ্ম নকশার ইট মিলেছে, একই রকমের প্রত্নবস্তু মিলেছিল বগুড়ার ভাসুবিহার ও নওগাঁর জগদ্বলবিহার খননেও। আবার এই মন্দিরে যেসব ইটখোলা ও দুর্লভ বস্তু বেরিয়ে আসছে, সেগুলোর সঙ্গেও এ দুই বিহারে পাওয়া প্রত্নবস্তুর মিল রয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, দেয়ালের বেশির ভাগ ইট ১০০০ থেকে একাদশ শতাব্দীর। তাই ধারণা করা হচ্ছে, মন্দিরটি ওই আমলেরই। তবে মন্দিরের নিচে এবং আশপাশে যেসব ইটখোলা, প্রত্নবস্তু ও পদ্ম নকশার ইটের সন্ধান মিলছে তাতে ধারণা করা হচ্ছে, ভাসুবিহারের সমসাময়িক সময়ের আরেকটি বিহারের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে তিন একর আয়তনের এই ঘন জঙ্গলে।
মহাস্থানগড় থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে কাহালু উপজেলার পিড়াপাট গ্রামের পাশে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে এ মন্দিরের সন্ধান মিলেছে। যোগীরভবন মন্দিরের খুব কাছের জঙ্গলটি স্থানীয় লোকজনের কাছে ‘ঘোগার আড়া’ নামে পরিচিত।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বগুড়া কার্যালয়ের পরিচালক নাহিদ সুলতানার তত্ত্বাবধানে ২ মে থেকে চলছে ওই খননকাজ। এ কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহাস্থান জাদুঘরের কাস্টডিয়ান মো. মুজিবুর রহমান ও সহকারী কাস্টডিয়ান এস এম হাসানাত বিন ইসলাম।
মুজিবুর রহমান বলেন, ‘এ জঙ্গলের মাটির নিচে দেবে গেছে প্রত্নযুগের বিহার। আপাতত আমরা খনন চালাচ্ছি সন্ধান পাওয়া মন্দিরকে ঘিরে। আমাদের ধারণা, এ বিহারকে ঘিরেই মন্দিরটি গড়ে উঠেছিল। তবে ১০০০ থেকে ১১০০ শতাব্দীর দিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন মন্দিরটি সংস্কার করে পূজা-অর্চনা করে থাকতে পারেন।’
মুজিবুর রহমান আরও বলেন, কয়েক বছর আগে গ্রামের লোকজন ঢিবির মাটি কাটার সময় বেরিয়ে আসে প্রত্নযুগের ইটের দেয়াল ও সুড়ঙ্গপথ। তখন চারদিকে হইচই পড়ে যায়। তখনই ধারণা করা হয়েছিল, এখানকার ঘন জঙ্গলে মাটির ঢিবির নিচে প্রাচীন যুগের কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে। সে রহস্যের সন্ধানেই খননকাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়। খননকাজ চলবে জুন মাসজুড়ে।
মুজিবুর রহমান জানান, এর আগেও গত ২৩ জানুয়ারি থেকে কয়েক মাস ধরে ভাসুবিহার এবং গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে জগদ্বলবিহারে খননকাজে প্রত্নযুগের নিদর্শনের সন্ধান পেয়েছে।
গ্রামের বাসিন্দা মনসুর আলী বলেন, ‘জঙ্গলে একসময় ভূতের ভয়ে দিনের বেলাতেও পা মাড়াত না লোকজন। বাপ-দাদার মুখে শুনেছি, যোগীরভবন মন্দির থেকে ঠাকুরবাড়ির লোকজন এখানে এসে পূজা দিতেন। তবে লালমাটির ঢিবির নিচে মন্দির থাকতে পারে—এমন ধারণা কারও ছিল না।’
লোকমান হাকিম নামের একজন বলেন, উঁচু ঢিবি যেখানে আছে, ওই নয় শতক জায়গা খাস সম্পত্তি। অবশিষ্ট সম্পত্তি ব্যক্তিমালিকানার হওয়ায় মাটি কাটতে গিয়ে প্রায়ই প্রাচীন যুগের নিদর্শন বেরিয়ে এসেছে। তবে তা কেউ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে জমা দেননি।
বগুড়ার কাহালু উপজেলার পিড়াপাট গ্রামে সন্ধান পাওয়া গেছে এই প্রাচীন মন্দিরের। মন্দিরটিতে মিলেছে এক হাজার বছরের পুরোনো পদ্ম নকশার ইট, পোড়ামাটির প্রদীপ বাটি, টেরাকোটা বল (টিসি বল), মৃৎপাত্রের টুকরোসহ প্রত্নযুগের নানা নিদর্শন।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, মন্দিরের দেয়ালে যে পদ্ম নকশার ইট মিলেছে, একই রকমের প্রত্নবস্তু মিলেছিল বগুড়ার ভাসুবিহার ও নওগাঁর জগদ্বলবিহার খননেও। আবার এই মন্দিরে যেসব ইটখোলা ও দুর্লভ বস্তু বেরিয়ে আসছে, সেগুলোর সঙ্গেও এ দুই বিহারে পাওয়া প্রত্নবস্তুর মিল রয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, দেয়ালের বেশির ভাগ ইট ১০০০ থেকে একাদশ শতাব্দীর। তাই ধারণা করা হচ্ছে, মন্দিরটি ওই আমলেরই। তবে মন্দিরের নিচে এবং আশপাশে যেসব ইটখোলা, প্রত্নবস্তু ও পদ্ম নকশার ইটের সন্ধান মিলছে তাতে ধারণা করা হচ্ছে, ভাসুবিহারের সমসাময়িক সময়ের আরেকটি বিহারের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে তিন একর আয়তনের এই ঘন জঙ্গলে।
মহাস্থানগড় থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে কাহালু উপজেলার পিড়াপাট গ্রামের পাশে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে এ মন্দিরের সন্ধান মিলেছে। যোগীরভবন মন্দিরের খুব কাছের জঙ্গলটি স্থানীয় লোকজনের কাছে ‘ঘোগার আড়া’ নামে পরিচিত।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বগুড়া কার্যালয়ের পরিচালক নাহিদ সুলতানার তত্ত্বাবধানে ২ মে থেকে চলছে ওই খননকাজ। এ কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহাস্থান জাদুঘরের কাস্টডিয়ান মো. মুজিবুর রহমান ও সহকারী কাস্টডিয়ান এস এম হাসানাত বিন ইসলাম।
মুজিবুর রহমান বলেন, ‘এ জঙ্গলের মাটির নিচে দেবে গেছে প্রত্নযুগের বিহার। আপাতত আমরা খনন চালাচ্ছি সন্ধান পাওয়া মন্দিরকে ঘিরে। আমাদের ধারণা, এ বিহারকে ঘিরেই মন্দিরটি গড়ে উঠেছিল। তবে ১০০০ থেকে ১১০০ শতাব্দীর দিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন মন্দিরটি সংস্কার করে পূজা-অর্চনা করে থাকতে পারেন।’
মুজিবুর রহমান আরও বলেন, কয়েক বছর আগে গ্রামের লোকজন ঢিবির মাটি কাটার সময় বেরিয়ে আসে প্রত্নযুগের ইটের দেয়াল ও সুড়ঙ্গপথ। তখন চারদিকে হইচই পড়ে যায়। তখনই ধারণা করা হয়েছিল, এখানকার ঘন জঙ্গলে মাটির ঢিবির নিচে প্রাচীন যুগের কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে। সে রহস্যের সন্ধানেই খননকাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়। খননকাজ চলবে জুন মাসজুড়ে।
মুজিবুর রহমান জানান, এর আগেও গত ২৩ জানুয়ারি থেকে কয়েক মাস ধরে ভাসুবিহার এবং গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে জগদ্বলবিহারে খননকাজে প্রত্নযুগের নিদর্শনের সন্ধান পেয়েছে।
গ্রামের বাসিন্দা মনসুর আলী বলেন, ‘জঙ্গলে একসময় ভূতের ভয়ে দিনের বেলাতেও পা মাড়াত না লোকজন। বাপ-দাদার মুখে শুনেছি, যোগীরভবন মন্দির থেকে ঠাকুরবাড়ির লোকজন এখানে এসে পূজা দিতেন। তবে লালমাটির ঢিবির নিচে মন্দির থাকতে পারে—এমন ধারণা কারও ছিল না।’
লোকমান হাকিম নামের একজন বলেন, উঁচু ঢিবি যেখানে আছে, ওই নয় শতক জায়গা খাস সম্পত্তি। অবশিষ্ট সম্পত্তি ব্যক্তিমালিকানার হওয়ায় মাটি কাটতে গিয়ে প্রায়ই প্রাচীন যুগের নিদর্শন বেরিয়ে এসেছে। তবে তা কেউ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে জমা দেননি।
No comments