শিলংয়ে সালাহ উদ্দিনের বিষয়ে বিএনপি চুপ কেন by সেলিম জাহিদ
দুই
মাস নিখোঁজ থাকার পর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদকে পাওয়া
গেছে ১০ দিন আগে। কিন্তু এ ব্যাপারে এখনো ‘চুপ’ রয়েছে বিএনপি। এতে বিভিন্ন
মহলে কৌতূহল ও নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
১২ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে সালাহ উদ্দিন আহমদের খোঁজ পাওয়া যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ বিষয়ে বিএনপি আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন বা বিবৃতি দিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনতে দলীয়ভাবে কোনো কূটনৈতিক তৎপরতাও নেই। যদিও গত ১০ মার্চ রাতে সালাহ উদ্দিন আহমদ নিখোঁজ হওয়ার পরদিন বিএনপি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, পুলিশ-ডিবি-র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২০-৩০ জনের একটি দল সালাহ উদ্দিনকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। একই দাবি করে আসছিল তাঁর পরিবারও।
‘সালাহ উদ্দিনের কিছু হলে পরিণতি ভালো হবে না’ বলে হুঁশিয়ারিও জানিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সন্ধান পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে এক সভায় খালেদা জিয়া বলেন, ‘সালাহ উদ্দিন আহমদ র্যাবের কাছে আছে। অবিলম্বে তাঁকে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিন। না হয় যেখান থেকে তুলে নিয়েছেন, সেখানেই রেখে আসুন।’
সালাহ উদ্দিনের খোঁজ পাওয়ার এক দিন পর ১২ মে গুলশানের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন খালেদা জিয়া। সেদিনও সালাহ উদ্দিনের বিষয়ে খালেদা জিয়া কোনো কথা বলেননি। এরপর দলের কারাবন্দী অসুস্থ নেতাদের মুক্তির দাবি জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেন। তাতেও সালাহ উদ্দিনের বিষয়টি ছিল না। এমনকি ১২ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত নানা বিষয়ে পাঁচ দিন সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। তাতেও সালাহ উদ্দিনের প্রসঙ্গ ছিল না।
সর্বশেষ ১৪ মের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা জানতে চান, সালাহ উদ্দিনের ব্যাপারে বিএনপি চুপ কেন? জবাবে বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সালাহ উদ্দিনের প্রকৃত অবস্থা জানা দরকার। তাঁর পরিবারের সদস্যরা দ্রুত মেঘালয়ে যাবেন। তখন তাঁর প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে। এরপর বিএনপি বক্তব্য দেবে।
এ বিষয়ে বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, দলের উচ্চপর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিয়েই এ বিষয়ে চুপ রয়েছে বিএনপি। বিষয়টিকে তাঁরা রাজনৈতিক ঘুঁটি চালাচালির কৌশল হিসেবে না নিয়ে একান্তই মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন। এ ক্ষেত্রে সালাহ উদ্দিনের পরিবারের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিচ্ছে দল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, সালাহ উদ্দিনের বিষয়টি দেখভাল করার জন্য অপ্রকাশ্যে বিএনপির পররাষ্ট্র শাখার দুজন নেতা কাজ করছেন। তাঁরা বাংলাদেশের ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। তবে এখন পর্যন্ত বিএনপি দলীয়ভাবে কোনো প্রতিনিধিদল বা নেতাকে পাঠায়নি। দলের কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ ব্যক্তিগতভাবে শিলং গেছেন। তিনি এখনো সেখানে আছেন।
বিএনপির এই চুপ থাকার কারণ জানতে চাইলে দলের যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সালাহ উদ্দিন আহমদ বিএনপির নেতা। এর বাইরে তিনি কারও স্বামী, কারও পিতা। আমরা এখন তাঁর ওই সম্পর্ককেই বড় করে দেখছি। কারণ, দলের জন্য পরিবারের ক্ষতি হোক চাই না।’
বিএনপির সূত্র জানায়, সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমদ মেঘালয় যাওয়ার আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। তখন তিনি সালাহ উদ্দিনের বিষয়ে এখনই দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য না দিতে অনুরোধ জানান। এতে স্বামীর ক্ষতি হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এরপর খালেদা জিয়া দলের নেতাদের এ বিষয়ে আপাতত ‘চুপ’ থাকার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমদের পরিবার চাচ্ছেন এ বিষয়ে দল কথা না বলুক। দলের চেয়ারপারসনও মনে করছেন, পরিবারের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
১২ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে সালাহ উদ্দিন আহমদের খোঁজ পাওয়া যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ বিষয়ে বিএনপি আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন বা বিবৃতি দিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনতে দলীয়ভাবে কোনো কূটনৈতিক তৎপরতাও নেই। যদিও গত ১০ মার্চ রাতে সালাহ উদ্দিন আহমদ নিখোঁজ হওয়ার পরদিন বিএনপি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, পুলিশ-ডিবি-র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২০-৩০ জনের একটি দল সালাহ উদ্দিনকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। একই দাবি করে আসছিল তাঁর পরিবারও।
‘সালাহ উদ্দিনের কিছু হলে পরিণতি ভালো হবে না’ বলে হুঁশিয়ারিও জানিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সন্ধান পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে এক সভায় খালেদা জিয়া বলেন, ‘সালাহ উদ্দিন আহমদ র্যাবের কাছে আছে। অবিলম্বে তাঁকে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিন। না হয় যেখান থেকে তুলে নিয়েছেন, সেখানেই রেখে আসুন।’
সালাহ উদ্দিনের খোঁজ পাওয়ার এক দিন পর ১২ মে গুলশানের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন খালেদা জিয়া। সেদিনও সালাহ উদ্দিনের বিষয়ে খালেদা জিয়া কোনো কথা বলেননি। এরপর দলের কারাবন্দী অসুস্থ নেতাদের মুক্তির দাবি জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেন। তাতেও সালাহ উদ্দিনের বিষয়টি ছিল না। এমনকি ১২ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত নানা বিষয়ে পাঁচ দিন সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। তাতেও সালাহ উদ্দিনের প্রসঙ্গ ছিল না।
সর্বশেষ ১৪ মের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা জানতে চান, সালাহ উদ্দিনের ব্যাপারে বিএনপি চুপ কেন? জবাবে বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সালাহ উদ্দিনের প্রকৃত অবস্থা জানা দরকার। তাঁর পরিবারের সদস্যরা দ্রুত মেঘালয়ে যাবেন। তখন তাঁর প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে। এরপর বিএনপি বক্তব্য দেবে।
এ বিষয়ে বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, দলের উচ্চপর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিয়েই এ বিষয়ে চুপ রয়েছে বিএনপি। বিষয়টিকে তাঁরা রাজনৈতিক ঘুঁটি চালাচালির কৌশল হিসেবে না নিয়ে একান্তই মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন। এ ক্ষেত্রে সালাহ উদ্দিনের পরিবারের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিচ্ছে দল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, সালাহ উদ্দিনের বিষয়টি দেখভাল করার জন্য অপ্রকাশ্যে বিএনপির পররাষ্ট্র শাখার দুজন নেতা কাজ করছেন। তাঁরা বাংলাদেশের ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। তবে এখন পর্যন্ত বিএনপি দলীয়ভাবে কোনো প্রতিনিধিদল বা নেতাকে পাঠায়নি। দলের কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ ব্যক্তিগতভাবে শিলং গেছেন। তিনি এখনো সেখানে আছেন।
বিএনপির এই চুপ থাকার কারণ জানতে চাইলে দলের যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সালাহ উদ্দিন আহমদ বিএনপির নেতা। এর বাইরে তিনি কারও স্বামী, কারও পিতা। আমরা এখন তাঁর ওই সম্পর্ককেই বড় করে দেখছি। কারণ, দলের জন্য পরিবারের ক্ষতি হোক চাই না।’
বিএনপির সূত্র জানায়, সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমদ মেঘালয় যাওয়ার আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। তখন তিনি সালাহ উদ্দিনের বিষয়ে এখনই দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য না দিতে অনুরোধ জানান। এতে স্বামীর ক্ষতি হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এরপর খালেদা জিয়া দলের নেতাদের এ বিষয়ে আপাতত ‘চুপ’ থাকার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমদের পরিবার চাচ্ছেন এ বিষয়ে দল কথা না বলুক। দলের চেয়ারপারসনও মনে করছেন, পরিবারের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
No comments