ছাত্রলীগ-ছাত্রশিবির সংঘর্ষের পর ছাত্রলীগের লুটপাট
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় এ এফ রহমান হলের ভাঙচুর হওয়া একটি কক্ষ। ছবিটি আজ বিকেলে তোলা। ছবি: জুয়েল শীল |
এ এফ রহমান হলের একজন শিক্ষার্থী ভাঙচুর ও লুটপাট হওয়া কক্ষে নিজের জিনিসপত্র খুঁজছেন। ছবি: জুয়েল শীল, চট্টগ্রাম |
মাটিতে পড়ে আছে এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট ও আবাসিক শিক্ষার্থীদের নামফলক। ছবি: জুয়েল শীল, চট্টগ্রাম |
চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত
হয়েছেন। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ
রহমান হল ও আলাওল হলে এই সংঘর্ষ হয়। ঘটনার পর ওই দুই হলে ব্যাপক লুটপাট
চালায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১২ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি তিনজন বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে চারটার সময় ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনভিত্তিক সংগঠন সিএফসি ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের (বর্তমানে বিজয়) কয়েকজন কর্মী আলাওল হলের মাঠে ক্রিকেট খেলতে যান। এ সময় তাঁদের কয়েকজন স্কোর লেখার জন্য খাতা আনতে আলাওল হলের নিচতলায় যান। এ সময় ছাত্রশিবিরের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে তাঁদের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে বিজয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা এসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। অন্যদিকে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরাও হলের ওপর থেকে পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে।
এ খবর জানাজানি হলে শাহ আমানত ও শাহজালাল হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আলাওল হলের সামনে আসলে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা হলের পেছন দিকে সরে যায়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হলের ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। আলাওল হলে ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে তাঁরা পাশের এ এফ রহমান হলে যান। এ সময় ওই হলের ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরাও হলের পেছন দিক দিয়ে চলে যান। এর পরপরই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হলে ঢুকে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এ এফ রহমান হলে গিয়ে দেখা যায়, হলের বেশির ভাগ কক্ষের দরজা ও জানালা ভাঙা। এমনকি হলের প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকদের ভাঙা নামফলক মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হারানো বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে কাঁদতে দেখা যায়।
রাত আটটার দিকে লুটপাটের শিকার সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁদের একজন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রেদোয়ান হাসনাত বলেন, ‘আমার রুম থেকে ট্যাব, ব্যাগসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র লুট হয়েছে। আমি কি আমার জিনিসপত্র ফেরত পাব? ’ একই হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী শওকত ওসমানের ল্যাপটপও নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। এ ছাড়া নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রথম আলোর কাছে তাঁদের জিনিসপত্র লুটের কথা বলেন।
এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিনা উসকানিতে দুটি হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং লুটপাট করেছে। আপনারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললেই জানবেন তাঁদের কী কী লুট হয়েছে।’ তবে ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সুমন মামুন বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরাই প্রথমে আমাদের ওপর হামলা করেছে। পরে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিরোধ করি।’
লুটপাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের জানা নেই। তবে কেউ সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিতে পারলে আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।’
তবে এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন তাঁর সামনে দিয়েই বেশ কিছু ল্যাপটপ নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। তিনি বলেন, ‘আমার সামনে দিয়ে বেশ কিছু ল্যাপটপ নিয়ে যেতে দেখেছি বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে। আমি তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ল্যাপটপ নিজের হেফাজতে নিয়েছি। আর আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও বেশ কিছু কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে।’ আলাওল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ জহির আহমেদ বলেন, ‘দুটি হলেই ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে কয়টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে সেটি আমরা এখনও দেখতে পারিনি।’
পুলিশের হাটহাজারী সার্কেলের এএসপি আ ফ ম মিজান উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর ছিল। কিছু কিছু জিনিস লুটপাট হয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা আমাদের জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।’
সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১২ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি তিনজন বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে চারটার সময় ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনভিত্তিক সংগঠন সিএফসি ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের (বর্তমানে বিজয়) কয়েকজন কর্মী আলাওল হলের মাঠে ক্রিকেট খেলতে যান। এ সময় তাঁদের কয়েকজন স্কোর লেখার জন্য খাতা আনতে আলাওল হলের নিচতলায় যান। এ সময় ছাত্রশিবিরের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে তাঁদের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে বিজয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা এসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। অন্যদিকে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরাও হলের ওপর থেকে পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে।
এ খবর জানাজানি হলে শাহ আমানত ও শাহজালাল হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আলাওল হলের সামনে আসলে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা হলের পেছন দিকে সরে যায়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হলের ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। আলাওল হলে ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে তাঁরা পাশের এ এফ রহমান হলে যান। এ সময় ওই হলের ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরাও হলের পেছন দিক দিয়ে চলে যান। এর পরপরই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হলে ঢুকে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এ এফ রহমান হলে গিয়ে দেখা যায়, হলের বেশির ভাগ কক্ষের দরজা ও জানালা ভাঙা। এমনকি হলের প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকদের ভাঙা নামফলক মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হারানো বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে কাঁদতে দেখা যায়।
রাত আটটার দিকে লুটপাটের শিকার সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁদের একজন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রেদোয়ান হাসনাত বলেন, ‘আমার রুম থেকে ট্যাব, ব্যাগসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র লুট হয়েছে। আমি কি আমার জিনিসপত্র ফেরত পাব? ’ একই হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী শওকত ওসমানের ল্যাপটপও নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। এ ছাড়া নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রথম আলোর কাছে তাঁদের জিনিসপত্র লুটের কথা বলেন।
এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিনা উসকানিতে দুটি হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং লুটপাট করেছে। আপনারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললেই জানবেন তাঁদের কী কী লুট হয়েছে।’ তবে ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সুমন মামুন বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরাই প্রথমে আমাদের ওপর হামলা করেছে। পরে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিরোধ করি।’
লুটপাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের জানা নেই। তবে কেউ সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিতে পারলে আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।’
তবে এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন তাঁর সামনে দিয়েই বেশ কিছু ল্যাপটপ নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। তিনি বলেন, ‘আমার সামনে দিয়ে বেশ কিছু ল্যাপটপ নিয়ে যেতে দেখেছি বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে। আমি তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ল্যাপটপ নিজের হেফাজতে নিয়েছি। আর আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও বেশ কিছু কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে।’ আলাওল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ জহির আহমেদ বলেন, ‘দুটি হলেই ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে কয়টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে সেটি আমরা এখনও দেখতে পারিনি।’
পুলিশের হাটহাজারী সার্কেলের এএসপি আ ফ ম মিজান উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর ছিল। কিছু কিছু জিনিস লুটপাট হয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা আমাদের জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।’
No comments