মুসলমান বলে চাকরি দিতে অস্বীকৃতি
হরি কৃষ্ণ এক্সপোর্ট থেকে পাঠানো ই-মেইল |
ভারতের
মুম্বাইয়ে মুসলমান বলে এক যুবককে চাকরি দিতে অস্বীকার করেছে একটি অলংকার
বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান। আজ শনিবার বিবিসিতে প্রকাশিত এক সংবাদে এ তথ্য জানা
গেছে।
জিশান খান নামে ওই যুবক বলেন, তিনি হরি কৃষ্ণ এক্সপোর্ট নামের ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়নি। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি থেকে তৎক্ষণাৎ পাঠানো ফিরতি এক ই-মেইলে বলা হয়, ‘আমরা দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমরা শুধুমাত্র অমুসলিম লোকদের নিয়ে থাকি।’ জিশান এ ঘটনায় হতবাক হয়েছেন বলে জানান।
২৩ বছর বয়স্ক জিশান সদ্য বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কোর্স সম্পন্ন করেছেন। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘ফার্মটির পক্ষ থেকে পাঠানো দ্রুত ফিরতি ই-মেইল পাঠানোর ফলে এটি আঁচ করা যায় যে, মুসলমান বলে তারা আমার জীবনবৃত্তান্তটি খোলারও প্রয়োজনবোধ করেনি।’
জিশান খান ইতিমধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্থানীয় পুলিশের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন। মহারাষ্ট্র সরকারও বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।
তবে হরি কৃষ্ণ এক্সপোর্টের একজন কর্মকর্তা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেন, তাদের মানবসম্পদ বিভাগের একজন প্রশিক্ষণার্থী ভুলবশত ই-মেইলটি পাঠিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, ‘জাতি, বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে ফার্মটি পরিচালিত হয়। আমাদের এখানে বর্তমানে ৫০ জনেরও বেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক এবং ২৮ টির রাজ্যের বাসিন্দারা কাজ করছেন।’
তবে তাদের এ বক্তব্য নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। দেশটির প্রভাবশালী দ্য হিন্দু তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে ‘এটি ভুল? ফার্মটির এ আচরণ অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।’
কয়েকজন লেখক বলেছেন, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ক্ষমতায় আসার পর দেশটি পরিবেশ অনেকখানি বদলে গেছে। হাসান সারোর নামের একজন ‘ফার্স্ট পোস্ট’ নামের এক ওয়েবসাইটে লিখেছেন, ‘এটি বিস্ময়কর এবং নৈরাজ্যকর’। ঐতিহাসিক সলিম কিদওয়ারির মতে, গত এক বছরে ভারতে সংখ্যালঘু বিদ্বেষ চরমে পৌঁছেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সেখানে অনেকেই একে ‘ধর্মীয় বৈষম্য’ বলার পাশাপাশি ফার্মটির সমালোচনা করছেন।
জিশান খান নামে ওই যুবক বলেন, তিনি হরি কৃষ্ণ এক্সপোর্ট নামের ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়নি। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি থেকে তৎক্ষণাৎ পাঠানো ফিরতি এক ই-মেইলে বলা হয়, ‘আমরা দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমরা শুধুমাত্র অমুসলিম লোকদের নিয়ে থাকি।’ জিশান এ ঘটনায় হতবাক হয়েছেন বলে জানান।
২৩ বছর বয়স্ক জিশান সদ্য বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কোর্স সম্পন্ন করেছেন। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘ফার্মটির পক্ষ থেকে পাঠানো দ্রুত ফিরতি ই-মেইল পাঠানোর ফলে এটি আঁচ করা যায় যে, মুসলমান বলে তারা আমার জীবনবৃত্তান্তটি খোলারও প্রয়োজনবোধ করেনি।’
জিশান খান ইতিমধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্থানীয় পুলিশের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন। মহারাষ্ট্র সরকারও বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।
তবে হরি কৃষ্ণ এক্সপোর্টের একজন কর্মকর্তা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেন, তাদের মানবসম্পদ বিভাগের একজন প্রশিক্ষণার্থী ভুলবশত ই-মেইলটি পাঠিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, ‘জাতি, বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে ফার্মটি পরিচালিত হয়। আমাদের এখানে বর্তমানে ৫০ জনেরও বেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক এবং ২৮ টির রাজ্যের বাসিন্দারা কাজ করছেন।’
তবে তাদের এ বক্তব্য নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। দেশটির প্রভাবশালী দ্য হিন্দু তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে ‘এটি ভুল? ফার্মটির এ আচরণ অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।’
কয়েকজন লেখক বলেছেন, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ক্ষমতায় আসার পর দেশটি পরিবেশ অনেকখানি বদলে গেছে। হাসান সারোর নামের একজন ‘ফার্স্ট পোস্ট’ নামের এক ওয়েবসাইটে লিখেছেন, ‘এটি বিস্ময়কর এবং নৈরাজ্যকর’। ঐতিহাসিক সলিম কিদওয়ারির মতে, গত এক বছরে ভারতে সংখ্যালঘু বিদ্বেষ চরমে পৌঁছেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সেখানে অনেকেই একে ‘ধর্মীয় বৈষম্য’ বলার পাশাপাশি ফার্মটির সমালোচনা করছেন।
No comments