প্রাচীন শহর পালমেইরা দখলে নিল আইএস, প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ নিয়ে উদ্বেগ
পালমেইরার একটি অংশ। ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিরা শহরটি দখল করে নেওয়ায় এর ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো এখন ধ্বংসের ঝুঁকিতে। ছবিটি গত বছরের ১৪ মার্চ তোলা l এএফপি |
সিরিয়ার
প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদে সমৃদ্ধ শহর পালমেইরা থেকে শেষ পর্যন্ত সরকারি
বাহিনীকে হটিয়ে দিয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এর ফলে প্রাচীন
শহরটির ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো ধ্বংসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে ইরাকে
গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নসম্পদ ধ্বংস করেছে আইএস। খবর এএফপি, রয়টার্স ও বিবিসির।
মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেন, ‘আইএস জঙ্গিরা এখন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানসহ তাদমুরের (পালমেইরার আরবি নাম) সব অংশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।’
অবজারভেটরি জানিয়েছে, সিরিয়ার সরকারি বাহিনী গত বুধবার দিবাগত রাতে একটি গোয়েন্দা কার্যালয়, একটি সামরিক বিমানবন্দর ও একটি কারাগারসহ পালমেইরার ভেতর ও আশপাশের সব জায়গা থেকে সরে গেছে। শহরটির ৭০ হাজার বাসিন্দার বেশিরভাগই পালিয়ে গেছে।
আইএস জঙ্গিরাও তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছে, আইএস পালমেইরা শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। এই প্রথম তারা সিরীয় বাহিনী ও তাদের মিত্রদের কাছ থেকে সরাসরি কোনো শহরের দখল নিল।
ঐতিহাসিক গুরুত্বের পাশাপাশি কৌশলগত গুরুত্বও কম নয় পালমেইরার। শহরটি পশ্চিম দামেস্ক ও হোমস প্রদেশকে সংযুক্তকারী গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রাস্তার কাছে। এর আগে কয়েকবার তাদের আক্রমণ ব্যর্থ করে দেয় সিরীয় বাহিনী।
আইএস জঙ্গিদের হাতে প্রতিবেশী ইরাকের কৌশলগত শহর রামাদির পতন হওয়ার পাঁচ দিনের মাথায়ই তারা পালমেইরার নিয়ন্ত্রণ নিল।
১০০০ ক্ষেপণাস্ত্র: রামাদির পতনের প্রেক্ষাপটে ইরাকি বাহিনীকে সহায়তায় দ্রুততার সঙ্গে এক হাজার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল প্যাট রাইডার বলেন, রামাদিতে আইএস জঙ্গিদের গাড়িবোমা হামলা প্রতিহত করতে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, রামাদির পতনে ওয়াশিংটন নীতিতে বড় ধরনের বদল আনতে পারে।
মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেন, ‘আইএস জঙ্গিরা এখন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানসহ তাদমুরের (পালমেইরার আরবি নাম) সব অংশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।’
অবজারভেটরি জানিয়েছে, সিরিয়ার সরকারি বাহিনী গত বুধবার দিবাগত রাতে একটি গোয়েন্দা কার্যালয়, একটি সামরিক বিমানবন্দর ও একটি কারাগারসহ পালমেইরার ভেতর ও আশপাশের সব জায়গা থেকে সরে গেছে। শহরটির ৭০ হাজার বাসিন্দার বেশিরভাগই পালিয়ে গেছে।
আইএস জঙ্গিরাও তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছে, আইএস পালমেইরা শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। এই প্রথম তারা সিরীয় বাহিনী ও তাদের মিত্রদের কাছ থেকে সরাসরি কোনো শহরের দখল নিল।
ঐতিহাসিক গুরুত্বের পাশাপাশি কৌশলগত গুরুত্বও কম নয় পালমেইরার। শহরটি পশ্চিম দামেস্ক ও হোমস প্রদেশকে সংযুক্তকারী গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রাস্তার কাছে। এর আগে কয়েকবার তাদের আক্রমণ ব্যর্থ করে দেয় সিরীয় বাহিনী।
আইএস জঙ্গিদের হাতে প্রতিবেশী ইরাকের কৌশলগত শহর রামাদির পতন হওয়ার পাঁচ দিনের মাথায়ই তারা পালমেইরার নিয়ন্ত্রণ নিল।
১০০০ ক্ষেপণাস্ত্র: রামাদির পতনের প্রেক্ষাপটে ইরাকি বাহিনীকে সহায়তায় দ্রুততার সঙ্গে এক হাজার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল প্যাট রাইডার বলেন, রামাদিতে আইএস জঙ্গিদের গাড়িবোমা হামলা প্রতিহত করতে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, রামাদির পতনে ওয়াশিংটন নীতিতে বড় ধরনের বদল আনতে পারে।
No comments