শতবর্ষী নারীর এনজিওপ্লাস্টি
সফল এনজিওপ্লাস্টির পর খুলনার ফরটিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটে কুলসুম বেগম |
খুলনার
একটি হাসপাতালে হৃদ্রোগে আক্রান্ত শতবর্ষী এক নারীর প্রাইমারি
এনজিওপ্লাস্টি হয়েছে। চিকিৎসকদের দাবি, দক্ষিণ এশিয়ায় এত বেশি বয়সে
কোনো রোগীর সফলভাবে প্রাইমারি এনজিওপ্লাস্টির ঘটনা এটাই প্রথম।
গত সোমবার খুলনার ফরটিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটে ওই নারীর এনজিওগ্রাম হয়। তাঁর নাম কুলসুম বেগম। বাড়ি বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার দারিয়ালা গ্রামে। বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ হাসনাইন নান্নার তত্ত্বাবধানে প্রাইমারি এনজিওপ্লাস্টি করা হয়। তাঁকে সহায়তা করেন চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মঞ্জুর ও মাহবুবুল হক।
হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ হাসনাইন নান্না বলেন, হৃদ্যন্ত্রের ধমনির রক্তপ্রবাহ বন্ধ হওয়ার ৯০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে বিশেষ বেলুনের সাহায্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া ধমনি খুলে হৃদ্যন্ত্রের পেশিতে রক্ত সরবরাহের ব্যবস্থাই প্রাইমারি এনজিওপ্লাস্টি। তিনি বলেন, কুলসুম বেগমকে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য সময়সীমার মধ্যে ক্যাথল্যাবে নিয়ে শতভাগ বন্ধ রক্তনালিটি খোলা হয়। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দাবি করেন, ‘তথ্য ঘেঁটে ও বিভিন্ন সূত্রে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, এর আগে দক্ষিণ এশিয়ায় এত বেশি বয়সে কোনো রোগীর সফলভাবে প্রাইমারি এনজিওপ্লাস্টি সম্পন্ন হয়নি।’
বুধবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, কুলসুম বেগম অনেকটাই সুস্থ। কথা বলছেন স্বজনদের সঙ্গে। বড় ছেলের উদ্দেশে তিনি বলছিলেন, ‘আমারে বাড়ি নিবি কবে? আর কদ্দিন এখানে থাকপো?’
কুলসুম বেগমের বড় মেয়ে শেফালী বেগমের বয়সও ৭৫ পেরিয়েছে। শেফালী জানান, সোমবার সকালে তাঁর মায়ের বুকে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। এরপর দ্রুত তাঁকে একটি হাসপাতালে নেন। সেখান থেকে পাঠানো হয় এই ইনস্টিটিউটে। এখানকার চিকিৎসকেরা দেরি না করে তাঁর মাকে দ্রুত ক্যাথল্যাবে নিয়ে যান। এনজিওপ্লাস্টি করা হয় তাঁর মায়ের।
ইনস্টিটিউটের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট চিকিৎসক শাহরিয়ার ফারুক জানান, দেশের সর্বমোট ৩৩টি ক্যাথল্যাবের মধ্যে কিছু ক্যাথল্যাবে প্রাইমারি এনজিওপ্লাস্টির সুবিধা আছে। এগুলোর মধ্যে খুলনার ফরটিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউট একটি।
গত সোমবার খুলনার ফরটিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটে ওই নারীর এনজিওগ্রাম হয়। তাঁর নাম কুলসুম বেগম। বাড়ি বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার দারিয়ালা গ্রামে। বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ হাসনাইন নান্নার তত্ত্বাবধানে প্রাইমারি এনজিওপ্লাস্টি করা হয়। তাঁকে সহায়তা করেন চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মঞ্জুর ও মাহবুবুল হক।
হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ হাসনাইন নান্না বলেন, হৃদ্যন্ত্রের ধমনির রক্তপ্রবাহ বন্ধ হওয়ার ৯০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে বিশেষ বেলুনের সাহায্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া ধমনি খুলে হৃদ্যন্ত্রের পেশিতে রক্ত সরবরাহের ব্যবস্থাই প্রাইমারি এনজিওপ্লাস্টি। তিনি বলেন, কুলসুম বেগমকে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য সময়সীমার মধ্যে ক্যাথল্যাবে নিয়ে শতভাগ বন্ধ রক্তনালিটি খোলা হয়। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দাবি করেন, ‘তথ্য ঘেঁটে ও বিভিন্ন সূত্রে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, এর আগে দক্ষিণ এশিয়ায় এত বেশি বয়সে কোনো রোগীর সফলভাবে প্রাইমারি এনজিওপ্লাস্টি সম্পন্ন হয়নি।’
বুধবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, কুলসুম বেগম অনেকটাই সুস্থ। কথা বলছেন স্বজনদের সঙ্গে। বড় ছেলের উদ্দেশে তিনি বলছিলেন, ‘আমারে বাড়ি নিবি কবে? আর কদ্দিন এখানে থাকপো?’
কুলসুম বেগমের বড় মেয়ে শেফালী বেগমের বয়সও ৭৫ পেরিয়েছে। শেফালী জানান, সোমবার সকালে তাঁর মায়ের বুকে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। এরপর দ্রুত তাঁকে একটি হাসপাতালে নেন। সেখান থেকে পাঠানো হয় এই ইনস্টিটিউটে। এখানকার চিকিৎসকেরা দেরি না করে তাঁর মাকে দ্রুত ক্যাথল্যাবে নিয়ে যান। এনজিওপ্লাস্টি করা হয় তাঁর মায়ের।
ইনস্টিটিউটের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট চিকিৎসক শাহরিয়ার ফারুক জানান, দেশের সর্বমোট ৩৩টি ক্যাথল্যাবের মধ্যে কিছু ক্যাথল্যাবে প্রাইমারি এনজিওপ্লাস্টির সুবিধা আছে। এগুলোর মধ্যে খুলনার ফরটিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউট একটি।
No comments