সাগরে ভাসা মানুষদের ঠাঁই -পাচার বন্ধে চাই সমন্বিত উদ্যোগ
সাগরে
ভাসতে থাকা ও মানবিক বিপর্যয়ের শিকার প্রায় সাত হাজার বাংলাদেশি ও
রোহিঙ্গা অভিবাসনপ্রত্যাশীকে সাময়িকভাবে আশ্রয় দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত
মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া নিয়েছে, তা স্বস্তিদায়ক। দেশ দুটির এ পদক্ষেপকে
আমরা স্বাগত জানাই। তবে মানব পাচার, অভিবাসনের প্রত্যাশা বা মিয়ানমারে
রোহিঙ্গাদের ওপর সরকারের দমনপীড়ন—এসব মিলেমিশে যে পরিস্থিতি ধারণ করেছে,
তা মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সমন্বিত ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের
জোরালো উদ্যোগ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার কর্মকর্তাদের মধ্যে তিন দেশীয় বৈঠকের পর সাগরে ভাসতে থাকা অসহায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয় দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্টতই মানবিক বিবেচনা থেকে। এই আশ্রয় সাময়িক ও এর বাইরে ভবিষ্যতে এ ধরনের অন্য কোনো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয় দেওয়া হবে না বলেও তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন। আপাতত পরিকল্পনা হচ্ছে, এ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অস্থায়ী আশ্রয়শিবির বানিয়ে থাকতে দেওয়া হবে এবং এক বছরের মধ্যে তাদের পুনর্বাসন ও প্রত্যাবর্তনের প্রক্রিয়া শেষ করা।
এর পাশাপাশি অভিবাসনপ্রত্যাশী মানুষগুলো যে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে এসেছে, ভবিষ্যতে যাতে তার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। মানব পাচারের সঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্র জড়িত থাকায় কোনো দেশের পক্ষে এককভাবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। বিশেষ করে মানব পাচার বন্ধে থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও মালয়েশিয়া সরকারকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
এ কথা সত্য যে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়নের কারণে তারা দেশত্যাগে বাধ্য হচ্ছে। অতএব, মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ অব্যাহত রাখার বিকল্প নেই। সাময়িক আশ্রয়লাভকারী রোহিঙ্গারা দেশে ফিরে যাতে ফের নির্যাতনের শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে মিয়ানমার সরকারকেই।
একই সঙ্গে বাংলাদেশে মানব পাচার বন্ধে কর্মসংস্থান যেমন বাড়াতে হবে, তেমনি পাচারকারীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার কর্মকর্তাদের মধ্যে তিন দেশীয় বৈঠকের পর সাগরে ভাসতে থাকা অসহায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয় দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্টতই মানবিক বিবেচনা থেকে। এই আশ্রয় সাময়িক ও এর বাইরে ভবিষ্যতে এ ধরনের অন্য কোনো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয় দেওয়া হবে না বলেও তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন। আপাতত পরিকল্পনা হচ্ছে, এ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অস্থায়ী আশ্রয়শিবির বানিয়ে থাকতে দেওয়া হবে এবং এক বছরের মধ্যে তাদের পুনর্বাসন ও প্রত্যাবর্তনের প্রক্রিয়া শেষ করা।
এর পাশাপাশি অভিবাসনপ্রত্যাশী মানুষগুলো যে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে এসেছে, ভবিষ্যতে যাতে তার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। মানব পাচারের সঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্র জড়িত থাকায় কোনো দেশের পক্ষে এককভাবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। বিশেষ করে মানব পাচার বন্ধে থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও মালয়েশিয়া সরকারকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
এ কথা সত্য যে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়নের কারণে তারা দেশত্যাগে বাধ্য হচ্ছে। অতএব, মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ অব্যাহত রাখার বিকল্প নেই। সাময়িক আশ্রয়লাভকারী রোহিঙ্গারা দেশে ফিরে যাতে ফের নির্যাতনের শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে মিয়ানমার সরকারকেই।
একই সঙ্গে বাংলাদেশে মানব পাচার বন্ধে কর্মসংস্থান যেমন বাড়াতে হবে, তেমনি পাচারকারীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
No comments