টানা সাড়ে ১০ ঘণ্টা বক্তব্য রাখলেন মার্কিন সিনেটর
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে টানা ১০ ঘণ্টা ৩০ মিনিট বক্তব্য রেখেছেন রিপাবলিকান সিনেটর রান্ড পল। ভাষণের পুরোটা সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি সংক্রান্ত আইনের নৈতিকতার বিরুদ্ধে যুক্তি প্রদর্শন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা দেশীয় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার উপায় হিসেবে নাগরিক ও কূটনীতিকদের ওপর নজরদারি ও ফোনে আড়াপাতা বৈধ করার যে আইনকে বিতর্কের মুখে আরও দু’মাস দীর্ঘায়িত করতে চেয়েছে, রান্ড পল তার বিরুদ্ধে কথা বলেন। তিনি বেলা ০১:১৮ মিনিটে ভাষণ আরম্ভ করে রাত ১১:৪৯ মিনিটে তা সমাপ্ত করেন। মার্কিন সিনেটে তার দীর্ঘ সময় ভাষণ প্রদান নতুন নয়। এর আগে ২০১৩ সালের মার্চ মাসে রাষ্ট্রপ্রধান বারাত ওবামার ড্রোন সংক্রান্ত নীতির সমালোচনা করে তিনি টানা ১৩ ঘণ্টা বক্তব্য রেখেছিলেন। তবে রান্ড পল কিন্তু সিনেটের দীর্ঘতম বক্তা নন। একই বছর রিপাবলিকান টেড ক্রুজ ওবামার স্বাস্থ্যনীতির সমালোচনা করে সিনেটে টানা ২১ ঘণ্টা বক্তব্য রেখেছেন।
পলের বক্তব্যের প্রশংসা করেন রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট দলের দায়িত্বশীল সংসদ সদস্যরা। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, টানা দশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পলের বক্তব্য শুনতে গিয়ে একবারও তাদের মনে হয়নি একটা বিরতি প্রয়োজন। প্যাট্রিয়ট অ্যাক্ট দুই মাসের জন্য দীর্ঘায়িত করার পরিকল্পনা বাতিল করে অবিলম্বে এটিকে বাতিল করার আবেদন জানান পল। তার ভাষ্যমতে, এ আইন চালু থাকলে পৃথিবী দ্রুত এমন এক সময়ের দিকে এগোবে যেখানে ভীতি প্রদর্শন আর স্বার্থপরতা হয়ে উঠবে ক্ষমতার চাবিকাঠি, অপরদিকে স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা পরিণত হবে নিষ্পেষণের উপায়ে। পলের মত, এ আইনের নাম ‘দেশপ্রেমী আইন’ হলেও এর চেয়ে দেশবিদ্বেষী আইন আর হতে পারে না; এ কথা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলা যায়। পলের ভাষ্য চলাকালে মার্কিন সিনেটে আর সব ক্রিয়াকর্ম স্থগিত হয়ে থাকে। পলের ভাষ্যের বিরোধিতা করেছেন ডেমোক্রেট সিনেটর মিচ ম্যাককনেল। তিনি প্যাট্রিয়ট অ্যাক্ট আরও দীর্ঘায়িত করার পক্ষে মত ব্যক্ত করেন। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এখনও অনেকের টেলিফোন-সংক্রান্ত তথ্য রাষ্ট্রের প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পলের বক্তব্যের প্রশংসা করেন রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট দলের দায়িত্বশীল সংসদ সদস্যরা। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, টানা দশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পলের বক্তব্য শুনতে গিয়ে একবারও তাদের মনে হয়নি একটা বিরতি প্রয়োজন। প্যাট্রিয়ট অ্যাক্ট দুই মাসের জন্য দীর্ঘায়িত করার পরিকল্পনা বাতিল করে অবিলম্বে এটিকে বাতিল করার আবেদন জানান পল। তার ভাষ্যমতে, এ আইন চালু থাকলে পৃথিবী দ্রুত এমন এক সময়ের দিকে এগোবে যেখানে ভীতি প্রদর্শন আর স্বার্থপরতা হয়ে উঠবে ক্ষমতার চাবিকাঠি, অপরদিকে স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা পরিণত হবে নিষ্পেষণের উপায়ে। পলের মত, এ আইনের নাম ‘দেশপ্রেমী আইন’ হলেও এর চেয়ে দেশবিদ্বেষী আইন আর হতে পারে না; এ কথা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলা যায়। পলের ভাষ্য চলাকালে মার্কিন সিনেটে আর সব ক্রিয়াকর্ম স্থগিত হয়ে থাকে। পলের ভাষ্যের বিরোধিতা করেছেন ডেমোক্রেট সিনেটর মিচ ম্যাককনেল। তিনি প্যাট্রিয়ট অ্যাক্ট আরও দীর্ঘায়িত করার পক্ষে মত ব্যক্ত করেন। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এখনও অনেকের টেলিফোন-সংক্রান্ত তথ্য রাষ্ট্রের প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
No comments