যুক্তরাষ্ট্রের ধ্বংস দেখতে চেয়েছিলেন লাদেন
আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ‘যুক্তরাষ্ট্রের ধ্বংসই’ দেখতে চেয়েছিলেন, যা উঠে এসেছে তার লাইব্রেরিতে পাওয়া বেশকিছু নথিপত্রে। যে বছর যুক্তরাষ্ট্রের কমান্ডোদের গুলিতে লাদেন প্রাণ হারান, সেই বছরই তিনি নিজের অনুসারীদের আমেরিকার বিরুদ্ধে ‘জীবনের শেষ পর্যন্ত’ লড়াই চালানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। ২০১১ সালের ১ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের এক বাড়িতে হানা দিয়ে বিন লাদেনকে গুলি করে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের কমান্ডোরা। অভিযানের সময় ওই বাড়িতে লাদেনের একটি লাইব্রেরির খোঁজ পাওয়া যায়। সেখানে ডেপুটিদের কাছে লাদেনের লেখা আরবি ভাষার নির্দেশনা, চিঠিসহ ১০৩টি নথি এবং কিছু ভিডিও ফুটেজ মেলে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয় (ওডিএনআই) সম্প্রতি ১০৩ পৃষ্ঠার নথি প্রকাশ করেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লাদেনের লাইব্রেরির এসব নথিপত্রে আল কায়দার বিভিন্ন অভিযানের তথ্য পাওয়া গেছে। ইংরেজিতে লেখা কিছু নথিও এর মধ্যে রয়েছে। প্রকাশিত নথিগুলোর মধ্যে একটি চিঠিতে বিন লাদেন তার ডেপুটিদের ‘আমাদের ভাই’ সম্বোধন করে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মনোযোগী হওয়ার নির্দেশনা দেন। চিঠিতে লাদেন লেখেন, ‘আমেরিকা নামের বিষাক্ত গাছটি উপরে ফেলাই হবে মূল কাজ।’ আরেকটি চিঠিতে সে সময়ের মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইকে উপহাস করে বলা হয়, ‘এই লড়াই ইরাক কিংবা আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা আনতে ব্যর্থ হয়েছে।’ কয়েকজন স্ত্রীর মধ্যে একজনকে উদ্দেশ করে আল কায়দা প্রধানের একটি ভিডিও বার্তাও পাওয়া গেছে, যেখানে তিনি নিজের অস্থির জীবনে পাশে থাকার জন্য স্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। লাদেনের বাড়ি থেকে পাওয়া কিছু নথিপত্র এর আগে তদন্তের কাজে ব্যবহার করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি একাডেমির গবেষণা বিভাগও ২০১২ সালে কিছু নথিপত্র প্রকাশ করেছিল। বিন লাদেনের পাঠাগার
আল কায়দার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে সবাই জিহাদি হিসেবেই চেনেন। অনেকেই হয়তো জানেন না, তিনি একজন ‘বড় মাপের’ পাঠকও। অন্তত তার গোপন আস্তানায় পাওয়া বিশাল বইয়ের ভাণ্ডার এ তথ্যই দেয়। নথিপত্রে বিন লাদেনের ব্যক্তিগত পাঠাগারে থাকা বইয়ের বিশাল তালিকা দেয়া হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে বইয়ের তাকের ছবিও। পাঠাগারটিতে কোরআন, হাদিস, তাফসির, ইসলামি পণ্ডিতদের লেখা ছাড়াও ছিল পশ্চিমা লেখকদের লেখা ইংরেজি বই। ইংরেজি ভাষায় লেখা বইয়ের মধ্যে আমেরিকান ও ফরাসি লেখকদের বই-ই বেশি। পশ্চিমা লেখকদের তালিকায় মার্কিন সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড এবং ভাষাবিদ, দার্শনিক ও প্রাবন্ধিক নোয়াম চমস্কি রয়েছেন। ফরাসি লেখকদেরও অনেক বই পাওয়া যায় বিন লাদেনের বইয়ের তাকে। এগুলোর বেশিরভাগই অর্থনীতি সংক্রান্ত। সিআইএ’র দাবি, ফরাসি অর্থনীতির ওপর আঘাত হানতেই ওই বইগুলো পড়েছিলেন বিন লাদেন। বইয়ের তালিকায় রয়েছে ডেভিড গ্রে গ্রিফিনের ‘দ্য নিউ পার্ল হার্বার : ডিস্ট্রিবিউটিং কোশ্চেনস অ্যাবাউট দ্য বুশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ৯/১১’ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদি গণহত্যার ঘটনা অস্বীকার করা এস্টাস মুলিনসের লেখা ‘দ্য সিক্রেটস অব দ্য ফেডারেল রিজার্ভ’ বই দুটিও। বিন লাদেনের সংগ্রহে থাকা ইংরেজিতে লেখা বইগুলোর বেশিরভাগই যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও অর্থনীতিবিষয়ক।
‘তুমি আমার নয়নমণি’
আল কায়দার প্রয়াত নেতা ওসামা বিন লাদেন তার এক স্ত্রীর কাছে পাঠানো ভিডিওতে তাকে বলেন, ‘তুমি আমার নয়নের মণি। পৃথিবীতে আমি যা কিছু পেয়েছি, তার মধ্যে তুমিই সবচেয়ে মূল্যবান।’ বিন লাদেন আরও বলেন, ‘আমার মৃত্যুর পরে তুমি যদি দ্বিতীয় বিয়ে করও, তাতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু আমি সত্যিই বলছি, স্বর্গে আমার স্ত্রী হিসেবে তোমাকেই পেতে চাই।’ অবশ্য বিন লাদেন তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘দুই বিবাহের কোনো নারীকে স্বামী বেছে নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে স্বর্গে।’ উল্লেখ্য, পাঁচ থেকে ছয়জন বিবাহিত স্ত্রী ছিল বিন লাদেনের। টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইন।
আল কায়দার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে সবাই জিহাদি হিসেবেই চেনেন। অনেকেই হয়তো জানেন না, তিনি একজন ‘বড় মাপের’ পাঠকও। অন্তত তার গোপন আস্তানায় পাওয়া বিশাল বইয়ের ভাণ্ডার এ তথ্যই দেয়। নথিপত্রে বিন লাদেনের ব্যক্তিগত পাঠাগারে থাকা বইয়ের বিশাল তালিকা দেয়া হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে বইয়ের তাকের ছবিও। পাঠাগারটিতে কোরআন, হাদিস, তাফসির, ইসলামি পণ্ডিতদের লেখা ছাড়াও ছিল পশ্চিমা লেখকদের লেখা ইংরেজি বই। ইংরেজি ভাষায় লেখা বইয়ের মধ্যে আমেরিকান ও ফরাসি লেখকদের বই-ই বেশি। পশ্চিমা লেখকদের তালিকায় মার্কিন সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড এবং ভাষাবিদ, দার্শনিক ও প্রাবন্ধিক নোয়াম চমস্কি রয়েছেন। ফরাসি লেখকদেরও অনেক বই পাওয়া যায় বিন লাদেনের বইয়ের তাকে। এগুলোর বেশিরভাগই অর্থনীতি সংক্রান্ত। সিআইএ’র দাবি, ফরাসি অর্থনীতির ওপর আঘাত হানতেই ওই বইগুলো পড়েছিলেন বিন লাদেন। বইয়ের তালিকায় রয়েছে ডেভিড গ্রে গ্রিফিনের ‘দ্য নিউ পার্ল হার্বার : ডিস্ট্রিবিউটিং কোশ্চেনস অ্যাবাউট দ্য বুশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ৯/১১’ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদি গণহত্যার ঘটনা অস্বীকার করা এস্টাস মুলিনসের লেখা ‘দ্য সিক্রেটস অব দ্য ফেডারেল রিজার্ভ’ বই দুটিও। বিন লাদেনের সংগ্রহে থাকা ইংরেজিতে লেখা বইগুলোর বেশিরভাগই যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও অর্থনীতিবিষয়ক।
‘তুমি আমার নয়নমণি’
আল কায়দার প্রয়াত নেতা ওসামা বিন লাদেন তার এক স্ত্রীর কাছে পাঠানো ভিডিওতে তাকে বলেন, ‘তুমি আমার নয়নের মণি। পৃথিবীতে আমি যা কিছু পেয়েছি, তার মধ্যে তুমিই সবচেয়ে মূল্যবান।’ বিন লাদেন আরও বলেন, ‘আমার মৃত্যুর পরে তুমি যদি দ্বিতীয় বিয়ে করও, তাতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু আমি সত্যিই বলছি, স্বর্গে আমার স্ত্রী হিসেবে তোমাকেই পেতে চাই।’ অবশ্য বিন লাদেন তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘দুই বিবাহের কোনো নারীকে স্বামী বেছে নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে স্বর্গে।’ উল্লেখ্য, পাঁচ থেকে ছয়জন বিবাহিত স্ত্রী ছিল বিন লাদেনের। টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইন।
No comments