তিন সিটিতে ভোটযুদ্ধ কাল
ঢাকা
ও চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশনের ভোটযুদ্ধ আগামীকাল। ভোট গ্রহণ উপলক্ষে
সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। কাল সকাল ৮টা থেকে বিকাল
৪টা পর্যন্ত ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। এ
উপলক্ষে তিন সিটিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ইসির পক্ষ থেকে তিন সিটির
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে ভোটের সব উপকরণ। তিন
সিটিতে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১১৮০। এর মধ্যে উত্তরে মেয়র
পদে ১৬, সাধারণ কাউন্সিলর ২৮১ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ৮৯। দক্ষিণে
মেয়র পদে ২০। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৯০ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে
৯৭। একইভাবে চট্টগ্রামে মেয়র পদে রয়েছেন ১২, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১৩ এবং
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬২। ঢাকা উত্তর সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড ৩৬,
সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১২; ভোটার ২৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৪। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে সাধারণ
ওয়ার্ড ৫৭, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৯; ভোটার ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৩ এবং চট্টগ্রাম
সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড ৪১, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৪; ভোটার ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৯।
ভোটকেন্দ্র উত্তরে ১০৯৩ ও ভোটকক্ষ ৫৮৯২টি, দক্ষিণে ভোটকেন্দ্র ৮৮৯ ও
ভোটকক্ষ ৪৭৪৬টি এবং চট্টগ্রামে ভোটকেন্দ্র ৭১৯ ও ভোটকক্ষ ৪৯০৬টি।
গতকাল থেকে নির্বাচনে নিরাপত্তার জন্য মাঠে নেমেছেন ৮০ হাজার আনসার, পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। এদিকে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ঘোষণা দিলেও তারা মাঠে কাজ করবে না জানালে কমিশনের প্রতি আস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সমর্থিত প্রার্থীরা। এ ছাড়া ইসির নানা সিদ্ধান্তের কারণে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় খালেদা জিয়ার ওপর কয়েক দফা হামলা, সব প্রার্থী সমানভাবে প্রচারণার সুযোগ না পাওয়া, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের ওপর পুলিশি হয়রানি, অভিযোগ আমলে না নেয়া, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সঙ্গে সংঘর্ষসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচনের। নির্বাচন ঘিরে নানা শঙ্কার পরেও এবার মাঠে থাকছে না সেনাবাহিনী। তবে অন্যান্য নির্বাচনের চেয়ে অধিক পরিমাণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, আমার ভোটারদের অনুরোধ করবো তারা যেন ফেস্টিভ (উৎসব) মুডে ভোটকেন্দ্রে যান। এ নির্বাচনে অন্য সময়ের তুলনায় তিন-চার গুণ বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। শাহ নেওয়াজ আরও বলেন, নির্বাচনে কোন ধরনের গোলমাল হবে না। আমরা সেনাবাহিনীও তৈরি রেখেছি। সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনের দিন সকাল থেকে পরদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি কাজের জন্য যান চলাচল অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, আমরা রোববার মধ্যরাত থেকে সব ধরনের প্রচারণা বন্ধ করেছি। নির্দিষ্ট সময়ের পর কোন ধরনের প্রচারণা চালানো যাবে না। মোবাইলে এসএমএস এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচার চালানো যাবে না। এটা আচরণবিধির বরখেলাপি হবে। এদিকে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ এনেছে ১৪ দল। গতকাল সকালে ১৪ দলের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কাছে লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেন। ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম স্বাক্ষরিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, খালেদা জিয়া গত কয়েক দিন ধরে সহস্র নাগরিক কমিটি সমর্থিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। তিনি পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাস, নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ছাড়া বেআইনিভাবে মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম পরিচালনাসহ নির্বাচনী আইন ও বিধিমালাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছেন, যা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশকে বিঘ্নিত করার প্ররোচনা ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের নামান্তর। তাই ১৪ দল ধারাবাহিকভাবে খালেদার সব কর্মকাণ্ডের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানাচ্ছে। অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে ধরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বানও জানিয়েছে সরকার সমর্থিত জোটটি। বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার নেতৃত্বে ১৪ সদস্যবিশিষ্ট ওই প্রতিনিধিদলটি সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন। সকাল দশটায় শুরু হয়ে বৈঠকটি শেষ হয় পৌনে এগারটায়। ওই প্রতিনিধিদলের সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি সাংবাদিকদের বলেন, সিটি নির্বাচনে খালেদা জিয়া নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারেন। এমনকি নির্বাচনের ফলাফলও অস্বীকার করতে পারেন তিনি। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানিয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মনে করি না যে সেনাবাহিনীকে রেগুলার ফোর্সের মতো ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। বাদশা বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাদের আশ্বস্ত করেছে, নাশকতা রোধে তারা কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে জাসদ নেতা শিরিন আকতার, গণতন্ত্রী পার্টির নেতা ড. শাহাদাত হোসেন, ন্যাপের নেতা ইসমাঈল হোসেন, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের নেতা ড. ওয়াজেদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল থেকে নির্বাচনে নিরাপত্তার জন্য মাঠে নেমেছেন ৮০ হাজার আনসার, পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। এদিকে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ঘোষণা দিলেও তারা মাঠে কাজ করবে না জানালে কমিশনের প্রতি আস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সমর্থিত প্রার্থীরা। এ ছাড়া ইসির নানা সিদ্ধান্তের কারণে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় খালেদা জিয়ার ওপর কয়েক দফা হামলা, সব প্রার্থী সমানভাবে প্রচারণার সুযোগ না পাওয়া, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের ওপর পুলিশি হয়রানি, অভিযোগ আমলে না নেয়া, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সঙ্গে সংঘর্ষসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচনের। নির্বাচন ঘিরে নানা শঙ্কার পরেও এবার মাঠে থাকছে না সেনাবাহিনী। তবে অন্যান্য নির্বাচনের চেয়ে অধিক পরিমাণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, আমার ভোটারদের অনুরোধ করবো তারা যেন ফেস্টিভ (উৎসব) মুডে ভোটকেন্দ্রে যান। এ নির্বাচনে অন্য সময়ের তুলনায় তিন-চার গুণ বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। শাহ নেওয়াজ আরও বলেন, নির্বাচনে কোন ধরনের গোলমাল হবে না। আমরা সেনাবাহিনীও তৈরি রেখেছি। সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনের দিন সকাল থেকে পরদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি কাজের জন্য যান চলাচল অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, আমরা রোববার মধ্যরাত থেকে সব ধরনের প্রচারণা বন্ধ করেছি। নির্দিষ্ট সময়ের পর কোন ধরনের প্রচারণা চালানো যাবে না। মোবাইলে এসএমএস এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচার চালানো যাবে না। এটা আচরণবিধির বরখেলাপি হবে। এদিকে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ এনেছে ১৪ দল। গতকাল সকালে ১৪ দলের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কাছে লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেন। ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম স্বাক্ষরিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, খালেদা জিয়া গত কয়েক দিন ধরে সহস্র নাগরিক কমিটি সমর্থিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। তিনি পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাস, নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ছাড়া বেআইনিভাবে মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম পরিচালনাসহ নির্বাচনী আইন ও বিধিমালাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছেন, যা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশকে বিঘ্নিত করার প্ররোচনা ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের নামান্তর। তাই ১৪ দল ধারাবাহিকভাবে খালেদার সব কর্মকাণ্ডের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানাচ্ছে। অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে ধরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বানও জানিয়েছে সরকার সমর্থিত জোটটি। বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার নেতৃত্বে ১৪ সদস্যবিশিষ্ট ওই প্রতিনিধিদলটি সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন। সকাল দশটায় শুরু হয়ে বৈঠকটি শেষ হয় পৌনে এগারটায়। ওই প্রতিনিধিদলের সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি সাংবাদিকদের বলেন, সিটি নির্বাচনে খালেদা জিয়া নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারেন। এমনকি নির্বাচনের ফলাফলও অস্বীকার করতে পারেন তিনি। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানিয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মনে করি না যে সেনাবাহিনীকে রেগুলার ফোর্সের মতো ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। বাদশা বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাদের আশ্বস্ত করেছে, নাশকতা রোধে তারা কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে জাসদ নেতা শিরিন আকতার, গণতন্ত্রী পার্টির নেতা ড. শাহাদাত হোসেন, ন্যাপের নেতা ইসমাঈল হোসেন, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের নেতা ড. ওয়াজেদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments