জাপানে এমন ভূমিকম্প সবসময় হয়
হিমালয় অঞ্চলের যে ভূমিকম্প ধ্বংস করে ফেলেছে নেপালকে, তা জাপানে একটি স্বাভাবিক ঘটনা। এজন্য জাপানকে ভূমিকম্পের দেশ বলা হয়। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, গড়ে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প জাপানে সবসময় ঘটে। অথচ সেখানে একজন মানুষেরও মৃত্যু হয় না। ধসে পড়ে না একটা ভবনও। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভূগর্ভের গঠন পরিবর্তনের ফলে প্রকৃতির নিজস্ব নিয়মে কেঁপে উঠছে পৃথিবী। তার প্রবল ঝাঁকিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাচ্ছে জনপদ। আর এই প্রাকৃতিক দুর্যোগটি এমন যে, এর কোনো আগাম সংকেত দেয়া যায় না। ভূমিকম্পের পূর্বঘোষণা নেই, আবার প্রতিরোধও নেই। কিন্তু সতর্কতা ও পরিকল্পনার মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতিমুক্ত থাকা যায়। যার উৎকৃষ্ট উদারহণ জাপান। হিমালয় ভূতত্ত্ববিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ওয়াদিয়া ইন্সটিটিউট অব হিমালয়ান জিওলোজি’র গবেষক অজয় পাল বলেন, উৎকৃষ্ট নগর পরিকল্পনাই ভূমিকম্প প্রতিরোধের কার্যকর টেকনিক। তিনি বলেন, পরিকল্পনা ও খাপ খাওয়ানোর মাধ্যমে ভূমিকম্পের জন্য আমাদের প্রস্তুত করতে হবে।
আমরা প্রস্তুত থাকলে ৯০ শতাংশ ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব। জাপানের ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প নিয়মিত ঘটনা। অথচ ক্ষয়ক্ষতি হয় না বললেই চলে। এর কারণ ভবনগুলো নির্দিষ্ট ফ্যাশনের ও অভ্যস্ততার সূত্রে ডিজাইনের। সুপরিকল্পিত উপায়ে নগরায়ন ও বসবাস হলে ভূমিকম্প কোনো প্রভাব ফেলবে না। অজয় পাল বলেন, জাপানিদের সঙ্গে আমাদের জ্ঞানের পার্থক্য নেই। আমরা জানি কীভাবে সাজাতে হবে। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের (ইউজিএসজি) ভূমিকম্পবিদ ডেভিড ওয়ালড জানান, ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পের প্রভাব বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে হবে ভিন্ন ভিন্ন। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রতি ১০ লাখ মানুষে প্রাণ হারাতে পারেন ১০ থেকে ৩০ জন। একই সময়ে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে পাকিস্তান, ভারত, ইরান ও চীনে। অপরিকল্পিত নগরায়নেই বাড়ছে দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি। দ্য নেশন।
No comments