মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছে নির্বাচন কমিশন
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল
বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, তিন
সিটিতে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রনির্ভর নির্বাচন
আয়োজনে নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যর্থতার পরিচয়
দিয়েছে। অন্যদিকে একটি পক্ষের বিতর্কিতভাবে মাঝপথে নির্বাচন বর্জন দেশের
রাজনৈতিক অঙ্গনে সুস্থ পরিবেশ প্রতিষ্ঠার পথে নতুন করে ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে।
এ অবস্থায় সব রাজনৈতিক দলকে সংযত, সহনশীল আচরণ ও গণতান্ত্রিক চর্চার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় ও পেশিশক্তির প্রয়োগে ব্যাপক অনিয়ম সংঘটিত হওয়ায় সদ্যসমাপ্ত তিনটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক একটি প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী আইন প্রয়োগসহ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যাপক কারচুপির নির্ভরযোগ্য তথ্য আর প্রমাণ থাকার পরও কমিশন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে অস্বীকৃতি ও মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে নিজেকে বিব্রত করেছে।
বুধবার এক বিবৃতিতে ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, যথাযথ দায়িত্ব পালনে নির্বাচন কমিশন শুধু যে ব্যর্থ হয়েছে তাই নয়, বরং কমিশন ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণ করায় সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ও জনআস্থা ধূলিসাৎ হয়েছে। তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশের সংঘাতময় রাজনীতি থেকে উত্তরণে ইতিবাচক সুযোগের সৃষ্টি হয়েছিল, কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনই সামগ্রিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতির ঝুঁকি পুনরায় সৃষ্টি হয়েছে।
বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নিন্দা : এদিকে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের নামে সরকার জনগণের সঙ্গে প্রহসন করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। বুধবার পৃথক পৃথক বিবৃতিতে তারা দাবি করে, এবারের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ছিলও গত ৫ জানুয়ারির ধাপ্পাবাজির নির্বাচনেরই ধারাবাহিকতা।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)-এর সভাপতি আ স ম আবদুর রব এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বলেন, সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন ৫ জানুয়ারির নির্বাচনী প্রহসনেরই নতুন সংস্করণ। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সবাই বর্জন করে এবং ৫ ভাগ ভোট নিয়ে আওয়ামী জোট নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করে। আর এবার তিনটি সিটিতেই সরকারি দল কেন্দ্র দখল করে সিল মেরে অধিকাংশ কেন্দ্রেই সকাল ১০টার মধ্যে বাক্সভর্তি করে নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করেছে।
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর ও সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বলেন, তিন সিটিতে নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতি হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন অনির্বাচিত সরকার গণতন্ত্রের যে মুখোশ পরতে চেয়েছিল তা বিফলে গেছে। প্রমাণিত হয়েছে তিন সিটি নির্বাচন ছিল ৫ জানুয়ারির ধাপ্পাবাজির নির্বাচনেরই ধারাবাহিকতা।
বাসদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরী বলেন, এ নির্বাচন আরেকবার প্রমাণ করল অবৈধ-অগণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসনের ফলস্বরূপ গণধিকৃত মহাজোট সরকারের গ্রহণযোগ্যতার পুনরুদ্ধার ও গত ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দেয়ার চক্রান্তের অংশ হিসেবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিন সিটি নির্বাচনকে তামাশা ও প্রহসন আখ্যা দিয়ে ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, প্রহসনের সিটি নির্বাচন ৫ জানুয়ারির কলংকজনক নির্বাচনকেও পরাজিত করেছে। ভোট কেন্দ্র দখল, ভোট কারচুপি ও ভোট ডাকাতির মহোৎসবের মাধ্যমে তিন সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনের নামে সরকার জনগণের সঙ্গে প্রহসন ও প্রতারণা করেছে।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী বলেন, ডিজিটাল ভোট জালিয়াতির মহোৎসব বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছে।
এ অবস্থায় সব রাজনৈতিক দলকে সংযত, সহনশীল আচরণ ও গণতান্ত্রিক চর্চার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় ও পেশিশক্তির প্রয়োগে ব্যাপক অনিয়ম সংঘটিত হওয়ায় সদ্যসমাপ্ত তিনটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক একটি প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী আইন প্রয়োগসহ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যাপক কারচুপির নির্ভরযোগ্য তথ্য আর প্রমাণ থাকার পরও কমিশন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে অস্বীকৃতি ও মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে নিজেকে বিব্রত করেছে।
বুধবার এক বিবৃতিতে ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, যথাযথ দায়িত্ব পালনে নির্বাচন কমিশন শুধু যে ব্যর্থ হয়েছে তাই নয়, বরং কমিশন ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণ করায় সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ও জনআস্থা ধূলিসাৎ হয়েছে। তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশের সংঘাতময় রাজনীতি থেকে উত্তরণে ইতিবাচক সুযোগের সৃষ্টি হয়েছিল, কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনই সামগ্রিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতির ঝুঁকি পুনরায় সৃষ্টি হয়েছে।
বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নিন্দা : এদিকে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের নামে সরকার জনগণের সঙ্গে প্রহসন করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। বুধবার পৃথক পৃথক বিবৃতিতে তারা দাবি করে, এবারের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ছিলও গত ৫ জানুয়ারির ধাপ্পাবাজির নির্বাচনেরই ধারাবাহিকতা।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)-এর সভাপতি আ স ম আবদুর রব এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বলেন, সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন ৫ জানুয়ারির নির্বাচনী প্রহসনেরই নতুন সংস্করণ। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সবাই বর্জন করে এবং ৫ ভাগ ভোট নিয়ে আওয়ামী জোট নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করে। আর এবার তিনটি সিটিতেই সরকারি দল কেন্দ্র দখল করে সিল মেরে অধিকাংশ কেন্দ্রেই সকাল ১০টার মধ্যে বাক্সভর্তি করে নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করেছে।
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর ও সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বলেন, তিন সিটিতে নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতি হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন অনির্বাচিত সরকার গণতন্ত্রের যে মুখোশ পরতে চেয়েছিল তা বিফলে গেছে। প্রমাণিত হয়েছে তিন সিটি নির্বাচন ছিল ৫ জানুয়ারির ধাপ্পাবাজির নির্বাচনেরই ধারাবাহিকতা।
বাসদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরী বলেন, এ নির্বাচন আরেকবার প্রমাণ করল অবৈধ-অগণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসনের ফলস্বরূপ গণধিকৃত মহাজোট সরকারের গ্রহণযোগ্যতার পুনরুদ্ধার ও গত ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দেয়ার চক্রান্তের অংশ হিসেবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিন সিটি নির্বাচনকে তামাশা ও প্রহসন আখ্যা দিয়ে ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, প্রহসনের সিটি নির্বাচন ৫ জানুয়ারির কলংকজনক নির্বাচনকেও পরাজিত করেছে। ভোট কেন্দ্র দখল, ভোট কারচুপি ও ভোট ডাকাতির মহোৎসবের মাধ্যমে তিন সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনের নামে সরকার জনগণের সঙ্গে প্রহসন ও প্রতারণা করেছে।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী বলেন, ডিজিটাল ভোট জালিয়াতির মহোৎসব বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছে।
No comments