‘উন্নয়ন শোভাযাত্রা’র নামে মহড়া
উদ্দেশ্যে
ছিল সরকারের কাছে বগুড়ার আট দফা ‘উন্নয়ন দাবি’ তুলে ধরা। সেই দাবি তুলে
ধরতে গতকাল বুধবার কয়েক হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে বগুড়া শহর দাপিয়ে
বেড়িয়েছেন সরকারি দল আওয়ামী লীগের সমর্থক ও নেতা-কর্মীরা।
কর্মসূচিকে দলের পক্ষ থেকে আট দফা দাবি তুলে ধরার ‘উন্নয়ন শোভাযাত্রা’ বলা হলেও এই মহড়ার কারণে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। এতে নগরবাসীকে প্রায় দুই ঘণ্টা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
গতকাল দুপুরের দিকে শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ থেকে এই মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের হয়। এর আগে বিভিন্ন উপজেলা থেকে কয়েক শ মোটরসাইকেল নিয়ে নেতা-কর্মীরা খেলার মাঠে জড়ো হন।
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিনের ঘোষিত উন্নয়নের আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে বগুড়া পৌরসভাকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা, একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, একটি ফুটবল স্টেডিয়াম নির্মাণ, বালক ও বালিকাদের জন্য আলাদা আরও দুটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় স্থাপন, পরিকল্পিত শিল্পায়নে শিল্পপার্ক স্থাপন, সাংবাদিকদের উন্নয়নে প্রেসক্লাব ভবন নির্মাণ, শহরের যানজট নিরসনে রেললাইন সমস্যার সমাধান এবং বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জের জামথৈল হয়ে ঢাকা পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণ। গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলন ও শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে প্রীতিভোজ আয়োজনের মাধ্যমে তিনি এসব দাবি তুলে ধরেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গতকাল বেলা ১১টা থেকেই বিভিন্ন উপজেলার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল নিয়ে শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে জড়ো হন। মোটরসাইকেলের মহড়ার কারণে কার্যত বেলা ১১টা থেকেই শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। শহরের সাতমাথা, রেলগেট, বড়গোলা, দত্তবাড়ি, ইয়াকুবিয়া মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে বড় ধরনের যানজটের সৃষ্টি হয়। এরপর বেলা একটার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রা শুরুর আগে তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। পরে শোভাযাত্রার পথনির্দেশনাসহ তিনি বগুড়ার উন্নয়নে আট দফা দাবির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। শোভাযাত্রায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক টি জামান নিকেতা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আসাদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ অংশ নেন।
শোভাযাত্রাটি শেরপুর সড়ক হয়ে মাটিডালি মোড়, দ্বিতীয় বাইপাস সড়ক হয়ে বনানী মোড়, তিনমাথা ও চারমাথা হয়ে নূরানী মোড়, সেউজগাড়ি হয়ে কারমাইকেল সড়ক এবং শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়ামের সামনে থেকে গোহাইল সড়ক হয়ে পুনরায় আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাশরাফি হিরো দাবি করেন, শোভাযাত্রায় পাঁচ হাজারের বেশি মোটরসাইকেল ছিল। শোভাযাত্রা শেষে নেতা-কর্মীদের দুপুরের খাবার হিসেবে ভুনাখিচুড়ির প্যাকেট দেওয়া হয়।
শহরের ট্রাফিক পুলিশ ও পথচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল ১১টা থেকে বিভিন্ন উপজেলার নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে আসতে থাকায় শহরজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এরপর মূল শোভাযাত্রাটি বের হলে শহরের দৃশ্যপটই পাল্টে যায়। যানজটে নাকাল পথচারীদের অবর্ণনীয় ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
শহরের জলেশ্বরতলার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শামিম হোসেন বলেন, ‘ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার জন্য দুপুর ১২টার দিকে ইয়াকুবিয়া মোড় থেকে রিকশা নিয়ে বড়গোলার দিকে যাচ্ছিলাম। অন্যদিন যেখানে পাঁচ মিনিটেই পৌঁছানো যেত সেখানে তীব্র যানজটে আধঘণ্টাতেও পৌঁছাতে পারিনি।’ রিকশাচালক মোকামতলার আলমগীর হোসেন বলেন, ‘অন্যদিন বেলা গড়াতে না গড়াতেই ৩৫০ থ্যাকে ৪০০ টেকা কামাই হচ্চিল। অ্যাজক্যার জ্যামে হামাকেরে কপাল পুড়িচে। বেলা চারডা বাজে যাচ্চে ১৫০ টেকাই কামাই হয়নি।’
বগুড়া পৌরসভার মেয়র এ কে এম মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যে আট দফা দাবির কথা বলা হচ্ছে তার সবই বগুড়াবাসীর প্রাণের দাবি। এসব দাবির প্রতি সবারই সমর্থন আছে। এই দাবি এত দিন পূরণ না হওয়া আওয়ামী লীগেরই ব্যর্থতা। সেই ব্যর্থতা ঢাকতে আওয়ামী লীগ নেতাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার কৌশল অভিনবই বটে। আট দফার সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম চালুসহ অন্য দাবিও পূরণ করা দরকার।’
বগুড়ার পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক বলেন, বগুড়ার উন্নয়নে আট দফা দাবিতে ‘উন্নয়ন শোভাযাত্রা’ বের করা হবে বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল। শোভাযাত্রার কারণে যেন কোনো প্রকার যানজটের সৃষ্টি না হয় সে জন্য ট্রাফিক পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান বলেন, ‘আট দফা দাবির পাশাপাশি বর্তমান সরকারের ছয় বছরে বগুড়াসহ দেশজুড়ে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অভিনন্দন এবং তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ে এই শোভাযাত্রা বের করা হয়।’
কর্মসূচিকে দলের পক্ষ থেকে আট দফা দাবি তুলে ধরার ‘উন্নয়ন শোভাযাত্রা’ বলা হলেও এই মহড়ার কারণে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। এতে নগরবাসীকে প্রায় দুই ঘণ্টা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
গতকাল দুপুরের দিকে শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ থেকে এই মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের হয়। এর আগে বিভিন্ন উপজেলা থেকে কয়েক শ মোটরসাইকেল নিয়ে নেতা-কর্মীরা খেলার মাঠে জড়ো হন।
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিনের ঘোষিত উন্নয়নের আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে বগুড়া পৌরসভাকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা, একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, একটি ফুটবল স্টেডিয়াম নির্মাণ, বালক ও বালিকাদের জন্য আলাদা আরও দুটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় স্থাপন, পরিকল্পিত শিল্পায়নে শিল্পপার্ক স্থাপন, সাংবাদিকদের উন্নয়নে প্রেসক্লাব ভবন নির্মাণ, শহরের যানজট নিরসনে রেললাইন সমস্যার সমাধান এবং বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জের জামথৈল হয়ে ঢাকা পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণ। গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলন ও শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে প্রীতিভোজ আয়োজনের মাধ্যমে তিনি এসব দাবি তুলে ধরেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গতকাল বেলা ১১টা থেকেই বিভিন্ন উপজেলার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল নিয়ে শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে জড়ো হন। মোটরসাইকেলের মহড়ার কারণে কার্যত বেলা ১১টা থেকেই শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। শহরের সাতমাথা, রেলগেট, বড়গোলা, দত্তবাড়ি, ইয়াকুবিয়া মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে বড় ধরনের যানজটের সৃষ্টি হয়। এরপর বেলা একটার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রা শুরুর আগে তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। পরে শোভাযাত্রার পথনির্দেশনাসহ তিনি বগুড়ার উন্নয়নে আট দফা দাবির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। শোভাযাত্রায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক টি জামান নিকেতা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আসাদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ অংশ নেন।
শোভাযাত্রাটি শেরপুর সড়ক হয়ে মাটিডালি মোড়, দ্বিতীয় বাইপাস সড়ক হয়ে বনানী মোড়, তিনমাথা ও চারমাথা হয়ে নূরানী মোড়, সেউজগাড়ি হয়ে কারমাইকেল সড়ক এবং শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়ামের সামনে থেকে গোহাইল সড়ক হয়ে পুনরায় আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাশরাফি হিরো দাবি করেন, শোভাযাত্রায় পাঁচ হাজারের বেশি মোটরসাইকেল ছিল। শোভাযাত্রা শেষে নেতা-কর্মীদের দুপুরের খাবার হিসেবে ভুনাখিচুড়ির প্যাকেট দেওয়া হয়।
শহরের ট্রাফিক পুলিশ ও পথচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল ১১টা থেকে বিভিন্ন উপজেলার নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে আসতে থাকায় শহরজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এরপর মূল শোভাযাত্রাটি বের হলে শহরের দৃশ্যপটই পাল্টে যায়। যানজটে নাকাল পথচারীদের অবর্ণনীয় ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
শহরের জলেশ্বরতলার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শামিম হোসেন বলেন, ‘ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার জন্য দুপুর ১২টার দিকে ইয়াকুবিয়া মোড় থেকে রিকশা নিয়ে বড়গোলার দিকে যাচ্ছিলাম। অন্যদিন যেখানে পাঁচ মিনিটেই পৌঁছানো যেত সেখানে তীব্র যানজটে আধঘণ্টাতেও পৌঁছাতে পারিনি।’ রিকশাচালক মোকামতলার আলমগীর হোসেন বলেন, ‘অন্যদিন বেলা গড়াতে না গড়াতেই ৩৫০ থ্যাকে ৪০০ টেকা কামাই হচ্চিল। অ্যাজক্যার জ্যামে হামাকেরে কপাল পুড়িচে। বেলা চারডা বাজে যাচ্চে ১৫০ টেকাই কামাই হয়নি।’
বগুড়া পৌরসভার মেয়র এ কে এম মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যে আট দফা দাবির কথা বলা হচ্ছে তার সবই বগুড়াবাসীর প্রাণের দাবি। এসব দাবির প্রতি সবারই সমর্থন আছে। এই দাবি এত দিন পূরণ না হওয়া আওয়ামী লীগেরই ব্যর্থতা। সেই ব্যর্থতা ঢাকতে আওয়ামী লীগ নেতাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার কৌশল অভিনবই বটে। আট দফার সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম চালুসহ অন্য দাবিও পূরণ করা দরকার।’
বগুড়ার পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক বলেন, বগুড়ার উন্নয়নে আট দফা দাবিতে ‘উন্নয়ন শোভাযাত্রা’ বের করা হবে বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল। শোভাযাত্রার কারণে যেন কোনো প্রকার যানজটের সৃষ্টি না হয় সে জন্য ট্রাফিক পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান বলেন, ‘আট দফা দাবির পাশাপাশি বর্তমান সরকারের ছয় বছরে বগুড়াসহ দেশজুড়ে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অভিনন্দন এবং তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ে এই শোভাযাত্রা বের করা হয়।’
No comments