নিরুত্তাপ নিয়ন্ত্রণকক্ষের আট ঘণ্টা by মাসুদ মিলাদ ও সুজন ঘোষ
সন্ধ্যা
থেকে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রধান
নিয়ন্ত্রণকক্ষের চারপাশে থমথমে পরিবেশ। ফলাফল জানতে উৎসুক মানুষের জটলা
নেই। সন্ধ্যা সাতটার পর বিভিন্ন কেন্দ্রের ফলাফল আসতে থাকে। প্রথমে শুরু হয়
কেন্দ্রভিত্তিক মেয়র প্রার্থীদের ফলাফল ঘোষণা।
এম
এ আজিজ স্টেডিয়ামের প্যাভেলিয়নের তিনতলায় স্থাপন করা হয়েছে ঘোষণাকেন্দ্র।
সেখানে বিকেল থেকে সাংবাদিকদের ভিড় বাড়তে থাকে। বিকেলে নিয়ন্ত্রণকক্ষে
অবস্থান নেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন। এরপর আসেন আ জ ম নাছির
উদ্দিনের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মোসলেম উদ্দিন আহমেদসহ আওয়ামী লীগ
নেতারা। মাইকে ফলাফল ঘোষণা করতে থাকেন মো. আবদুল বাতেন। সন্ধ্যা সাড়ে
সাতটার দিকে নাগরিক কমিটির প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন নিয়ন্ত্রণকক্ষে
আসেন। কিছুক্ষণ সময় অবস্থান করে তিনি চলে যান।
একটানা প্রায় তিন ঘণ্টা ফলাফল ঘোষণার পর বিরতি নেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। বিরতির ফাঁকে নিয়ন্ত্রণকক্ষে সাংবাদিকদের মধ্যে আলোচনা চলছিল, বহিরাগতদের দিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল, সাংবাদিক আহত হওয়ার ঘটনা, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়াসহ অনেক কিছুই। ভোট বর্জনের পরও মোহাম্মদ মনজুুর আলমের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা দেখে অবাক হন অনেকে। কারণ মনজুর আলমের ভোট পড়েছে প্রথম তিন ঘণ্টায়। এর পরও এত ভোট? ফলাফল ঘোষণার ফাঁকে ফাঁকে সাংবাদিকদের এমন আলোচনায় ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।
রাত বাড়তে থাকায় আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকে নিয়ন্ত্রণকক্ষ ত্যাগ করেন। তবে মোসলেম উদ্দিনসহ কয়েকজন ছিলেন। এভাবে প্রায় আট ঘণ্টা পর রাত তিনটা ২৬ মিনিটে মেয়র প্রার্থীর ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। আ জ ম নাছির উদ্দিনকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা দেওয়ার পর নিয়ন্ত্রণকক্ষে থাকা দলীয় নেতাকর্মীরা হাততালি দেন। সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া জানান মোসলেম উদ্দিন আহমেদ।
বিরতির সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, ‘ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি ঘটনা ঘটলেও বড় কোনো সহিংসতা হয়নি। নির্বাচন কমিশন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে।’
মেয়র প্রার্থীদের ফলাফল ঘোষণার ফাঁকে রাত দুইটার পর কাউন্সিলর প্রার্থীদের ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়। তবে ফলাফল ঘোষণার সময় বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে কাউন্সিলর প্রার্থীরা নানা অভিযোগ নিয়ে আসতে থাকেন। উত্তর পাহাড়তলী নয় নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এরশাদ মামুনের পক্ষে একজন অভিযোগ নিয়ে আসেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে। ভোট কেন্দ্রে বোমাবাজি, ভাঙচুর ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ আনেন তিনি। এদিকে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ এনে আস্ত ব্যালট পেপারই নিয়ে আসেন ৯ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী রেহানা বেগম। একটু পরে ফলাফল পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে আসেন রামপুর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সবুর। এ প্রার্থীর অভিযোগ, প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম এরশাদ উল্লাহ একটি কেন্দ্রে ৬১ ভোট পেলেও প্রিসাইডিং অফিসারকে আটকে রেখে তা পাল্টে ৩৮১ ভোট বানিয়ে আরেকটি ফলাফল তৈরি করেন। সেটিই পাঠানো হয় প্রধান নিয়ন্ত্রণকক্ষে। ফলাফল ঘোষণার শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন এই ওয়ার্ডের ফলাফল স্থগিত করেন।
একটানা প্রায় তিন ঘণ্টা ফলাফল ঘোষণার পর বিরতি নেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। বিরতির ফাঁকে নিয়ন্ত্রণকক্ষে সাংবাদিকদের মধ্যে আলোচনা চলছিল, বহিরাগতদের দিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল, সাংবাদিক আহত হওয়ার ঘটনা, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়াসহ অনেক কিছুই। ভোট বর্জনের পরও মোহাম্মদ মনজুুর আলমের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা দেখে অবাক হন অনেকে। কারণ মনজুর আলমের ভোট পড়েছে প্রথম তিন ঘণ্টায়। এর পরও এত ভোট? ফলাফল ঘোষণার ফাঁকে ফাঁকে সাংবাদিকদের এমন আলোচনায় ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।
রাত বাড়তে থাকায় আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকে নিয়ন্ত্রণকক্ষ ত্যাগ করেন। তবে মোসলেম উদ্দিনসহ কয়েকজন ছিলেন। এভাবে প্রায় আট ঘণ্টা পর রাত তিনটা ২৬ মিনিটে মেয়র প্রার্থীর ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। আ জ ম নাছির উদ্দিনকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা দেওয়ার পর নিয়ন্ত্রণকক্ষে থাকা দলীয় নেতাকর্মীরা হাততালি দেন। সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া জানান মোসলেম উদ্দিন আহমেদ।
বিরতির সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, ‘ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি ঘটনা ঘটলেও বড় কোনো সহিংসতা হয়নি। নির্বাচন কমিশন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে।’
মেয়র প্রার্থীদের ফলাফল ঘোষণার ফাঁকে রাত দুইটার পর কাউন্সিলর প্রার্থীদের ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়। তবে ফলাফল ঘোষণার সময় বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে কাউন্সিলর প্রার্থীরা নানা অভিযোগ নিয়ে আসতে থাকেন। উত্তর পাহাড়তলী নয় নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এরশাদ মামুনের পক্ষে একজন অভিযোগ নিয়ে আসেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে। ভোট কেন্দ্রে বোমাবাজি, ভাঙচুর ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ আনেন তিনি। এদিকে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ এনে আস্ত ব্যালট পেপারই নিয়ে আসেন ৯ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী রেহানা বেগম। একটু পরে ফলাফল পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে আসেন রামপুর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সবুর। এ প্রার্থীর অভিযোগ, প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম এরশাদ উল্লাহ একটি কেন্দ্রে ৬১ ভোট পেলেও প্রিসাইডিং অফিসারকে আটকে রেখে তা পাল্টে ৩৮১ ভোট বানিয়ে আরেকটি ফলাফল তৈরি করেন। সেটিই পাঠানো হয় প্রধান নিয়ন্ত্রণকক্ষে। ফলাফল ঘোষণার শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন এই ওয়ার্ডের ফলাফল স্থগিত করেন।
২০০৫
সালের ৯ মে ফলাফল ঘোষণার সময় এই এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়ামের
সামনে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর লোকজন রাত জেগে পাহারা দিয়েছিলেন।
মহিউদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে ভোটের রায় যাতে তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকার
পাল্টাতে না পারে সেজন্যই ছিল এ ব্যবস্থা। ২০১০ সালেও ছিল মোহাম্মদ মনজুর
আলমের সমর্থকদের ভিড়। সে সময় কমিশনের ফলাফল ঘোষণায় দেরি দেখে তৎকালীন
বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীরা ভিড় জমান এ স্টেডিয়ামের চারপাশে। দুই প্রার্থীর
সমর্থকদের মধ্যে বেঁধেছিল সংঘর্ষও। এবার ভোটকেন্দ্র দখলের অভিযোগে
চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলম সকালেই ভোট
বর্জন করায় নিয়ন্ত্রণকক্ষ মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল না।
No comments