মাদক ছেড়ে তাঁরা আলোর পথে
সাভার মডেল থানার সামনে সেলাইযন্ত্র পাওয়া সাভারের বেদেপল্লির নারীরা l ছবি: প্রথম আলো |
পোশাক
কারখানায় চাকরি করে সংসার চালাতেন সাভারের পোড়াবাড়ির সোহাগ মিয়া।
পরিবারের সব চাহিদা পূরণ করতে না পারলেও অভাব ছিল না। সর্বনাশা মাদকের
ছোবলে সেই পরিবারটিই একসময় অভাব-অনটনে পড়ে। চাকরি ছেড়ে নেশা আর সংসারের
খরচ জোগাতে সোহাগ জড়িয়ে পড়েন মাদক ব্যবসায়।
মাদকের টানে সোহাগের মতোই সর্বনাশের পথে পা বাড়িয়েছিলেন ওই এলাকার শতাধিক যুবক ও তরুণ। ঢাকা জেলা পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় তাঁরা এখন নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। অন্ধকার থেকে আলোর পথে আনতে তাঁদের নানা প্রতিষ্ঠানে চাকরির ব্যবস্থা করার পাশাপাশি অর্ধশত মাদকাসক্ত ও দরিদ্র পরিবারের নারীদের মাঝে বিতরণ করা হয় সেলাই যন্ত্র। আর এসব যন্ত্র ক্রয়ে সহায়তা করে কুয়েতের একটি প্রতিষ্ঠান।
গতকাল বুধবার সাভার মডেল থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেন পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান। এর আগে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহায়তায় তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। পর্যায়ক্রমে আরও ১০০ পরিবারকে এই সহায়তা দেওয়া হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সাভার পৌরসভার অপরপুর, কাঞ্চনপুর ও পোড়াবাড়ি এলাকায় বেদে সম্প্রদায়ের অন্তত ২০ হাজার পরিবারের বসবাস। কয়েক বছর ধরে তাদের অনেকেই জড়িয়ে পড়ে মাদক ব্যবসায়। ধীরে ধীরে ওই এলাকা পরিচিত পায় মাদক পিল্ল হিসেবে। এলাকাকে মাদকমুক্ত করতে কয়েকজন যুবক ও তরুণ মিলে গড়ে তোলেন ‘পোড়াবাড়ি সমাজ কল্যাণ সংঘ’। ওই সংঘের সদস্যরা মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। উল্টো মাদক ব্যবসায়ীদের রোষানলে পড়ে নানা হয়রানির শিকার হন তাঁরা। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে এসব নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর টনক নড়ে পুলিশ প্রশাসনের। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে নেওয়া হয় পুনর্বাসনের উদ্যোগ।
পোড়াবাড়ি সমাজ কল্যাণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক রমজান আহমেদ বলেন, ‘পুলিশের অন্য রকম সহযোগিতায় আমরা আলোর পথ দেখতে শুরু করেছি।’
সেলাই যন্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পেশাগত কাজ করতে গিয়ে সাভারের পোড়াবাড়ি, অপরপুর ও কাঞ্চনপুর এলাকায় মাদকের আস্তানা খুঁজে পাই। পিছিয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠীকে আলোর পথ দেখাতে আইন প্রয়োগের পরিবর্তে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিই। এতে সাড়া পাওয়া যায়।’
মাদকের টানে সোহাগের মতোই সর্বনাশের পথে পা বাড়িয়েছিলেন ওই এলাকার শতাধিক যুবক ও তরুণ। ঢাকা জেলা পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় তাঁরা এখন নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। অন্ধকার থেকে আলোর পথে আনতে তাঁদের নানা প্রতিষ্ঠানে চাকরির ব্যবস্থা করার পাশাপাশি অর্ধশত মাদকাসক্ত ও দরিদ্র পরিবারের নারীদের মাঝে বিতরণ করা হয় সেলাই যন্ত্র। আর এসব যন্ত্র ক্রয়ে সহায়তা করে কুয়েতের একটি প্রতিষ্ঠান।
গতকাল বুধবার সাভার মডেল থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেন পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান। এর আগে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহায়তায় তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। পর্যায়ক্রমে আরও ১০০ পরিবারকে এই সহায়তা দেওয়া হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সাভার পৌরসভার অপরপুর, কাঞ্চনপুর ও পোড়াবাড়ি এলাকায় বেদে সম্প্রদায়ের অন্তত ২০ হাজার পরিবারের বসবাস। কয়েক বছর ধরে তাদের অনেকেই জড়িয়ে পড়ে মাদক ব্যবসায়। ধীরে ধীরে ওই এলাকা পরিচিত পায় মাদক পিল্ল হিসেবে। এলাকাকে মাদকমুক্ত করতে কয়েকজন যুবক ও তরুণ মিলে গড়ে তোলেন ‘পোড়াবাড়ি সমাজ কল্যাণ সংঘ’। ওই সংঘের সদস্যরা মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। উল্টো মাদক ব্যবসায়ীদের রোষানলে পড়ে নানা হয়রানির শিকার হন তাঁরা। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে এসব নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর টনক নড়ে পুলিশ প্রশাসনের। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে নেওয়া হয় পুনর্বাসনের উদ্যোগ।
পোড়াবাড়ি সমাজ কল্যাণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক রমজান আহমেদ বলেন, ‘পুলিশের অন্য রকম সহযোগিতায় আমরা আলোর পথ দেখতে শুরু করেছি।’
সেলাই যন্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পেশাগত কাজ করতে গিয়ে সাভারের পোড়াবাড়ি, অপরপুর ও কাঞ্চনপুর এলাকায় মাদকের আস্তানা খুঁজে পাই। পিছিয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠীকে আলোর পথ দেখাতে আইন প্রয়োগের পরিবর্তে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিই। এতে সাড়া পাওয়া যায়।’
No comments