উসকানি ও সহিংসতা কাম্য নয়, সব পক্ষকে সংযত থাকতে হবে
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরপরই বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোর পর নির্বাচনোত্তর রাজনীতিতে শুভ প্রাপ্তির সম্ভাবনা উজ্বল হওয়ার বদলে অনিশ্চয়তা আরও বাড়ল। তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীদের এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তারের ভয়ভীতি দেখানো, বেশ কিছু কেন্দ্র দখল করে সরকারি দল-সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে জাল ভোট, সহিংস সংঘর্ষ, পুলিশের বাড়াবাড়ি ও পক্ষপাতিত্বসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে, যার কোনো গ্রহণযোগ্য উত্তর নির্বাচন কমিশন (ইসি), প্রশাসন বা সরকার দিতে পারেনি।
নির্বাচন কমিশন ও সরকারপক্ষের এই ভূমিকা নিন্দনীয়। অনিয়ম ও অভিযোগগুলোর বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক দৃশ্যমান হস্তক্ষেপ না থাকায় পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি ঘটে। পরিণতিতে ঘোষিত ফলে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করলেও সেটা অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের জন্য স্বস্তিদায়ক হয়নি।
কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও এবং বর্জনের পরও বিএনপি-সমর্থিত মেয়র প্রার্থীরা যে পরিমাণ ভোট পেয়েছেন, তা অভাবিত। তিনটি নির্বাচনেই বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীরা তিন থেকে সোয়া তিন লাখ ও আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা সাড়ে চার থেকে সোয়া পাঁচ লাখ ভোট পেয়েছেন। তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলে ফলটা অন্য রকম হতো কিনা তা বলা মুশকিল। এটা প্রকৃতপক্ষে পুলিশ, প্রশাসন ও সরকারি দলের বাড়াবাড়ির প্রতিফলন। এই বাস্তবতা উপলব্ধি না করলে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল। একটানা অবরোধ, হরতাল, পেট্রলবোমা-ককটেলের সহিংস রাজনীতির কানাগলি থেকে বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। এখন নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতিতে যেন আবার রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে না ওঠে, সে বিষয়ে উভয় পক্ষকে প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে হবে। আর মামলা-গ্রেপ্তার নয়, পুলিশি ভয়ভীতি-হয়রানি নয় এবং অবরোধ-হরতাল-সহিংস রাজনীতিও আর নয়। দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থকে সর্বোচ্চ মূল্য দিতে হবে। ধৈর্য ও শান্তি এখন সবার জন্য প্রয়োজন।
নির্বাচন কমিশন ও সরকারপক্ষের এই ভূমিকা নিন্দনীয়। অনিয়ম ও অভিযোগগুলোর বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক দৃশ্যমান হস্তক্ষেপ না থাকায় পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি ঘটে। পরিণতিতে ঘোষিত ফলে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করলেও সেটা অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের জন্য স্বস্তিদায়ক হয়নি।
কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও এবং বর্জনের পরও বিএনপি-সমর্থিত মেয়র প্রার্থীরা যে পরিমাণ ভোট পেয়েছেন, তা অভাবিত। তিনটি নির্বাচনেই বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীরা তিন থেকে সোয়া তিন লাখ ও আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা সাড়ে চার থেকে সোয়া পাঁচ লাখ ভোট পেয়েছেন। তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলে ফলটা অন্য রকম হতো কিনা তা বলা মুশকিল। এটা প্রকৃতপক্ষে পুলিশ, প্রশাসন ও সরকারি দলের বাড়াবাড়ির প্রতিফলন। এই বাস্তবতা উপলব্ধি না করলে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল। একটানা অবরোধ, হরতাল, পেট্রলবোমা-ককটেলের সহিংস রাজনীতির কানাগলি থেকে বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। এখন নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতিতে যেন আবার রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে না ওঠে, সে বিষয়ে উভয় পক্ষকে প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে হবে। আর মামলা-গ্রেপ্তার নয়, পুলিশি ভয়ভীতি-হয়রানি নয় এবং অবরোধ-হরতাল-সহিংস রাজনীতিও আর নয়। দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থকে সর্বোচ্চ মূল্য দিতে হবে। ধৈর্য ও শান্তি এখন সবার জন্য প্রয়োজন।
No comments