চট্টগ্রামে অতিরিক্ত ভোট বাতিলের নেপথ্যে by মহিউদ্দীন জুয়েল
চট্টগ্রাম
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনেক কেন্দ্রে মোট ভোটারের চেয়ে অতিরিক্ত ভোট
পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। ৪৭ হাজার ২৯২ ভোট বাতিল করার ঘটনায় নির্বাচন কমিশন থেকে
বেরিয়ে এসেছে এমনি চাঞ্চল্যকর তথ্য। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সেই নির্বাচনে ৮ লাখ
৬৮ হাজার ৬৬৩ ভোট প্রথম দফায় গণনা করা হয়। পরে সেখান থেকে যাচাই বাছাই করে
৮ লাখ ২১ হাজার ৩৭১ ভোট চূড়ান্ত বলে জানায় কমিশন। জানা গেছে, সিটি
করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে এবার মোট ভোটার ছিল ১৮ লাখ। কেন্দ্র ছিল ৭১৯টি।
তবে এর মধ্যে জাল ভোটের ঘটনা ঘটেছে ৬৪০টির বেশি কেন্দ্রে। কোন কোন বুথে
নির্দিষ্ট ভোটারের চেয়ে বেশি ভোট বাক্মে পড়েছে। তবে কিভাবে এসব ভোট জমা পড়লো সেই বিষয়ে কোন জবাব কমিশন না দিলেও ধারণা করা হচ্ছে, ব্যালেট পেপার বাইরে সরবরাহ হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে। ফতেয়াবাদ
সিটি করপোরেশন বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণ পাহাড়তলী সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিসিএসআইআর ল্যাব উচ্চ বিদ্যালয়, হামজারবাগ সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়, পার্শ্ববর্তী বাকশ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়,
মোহাম্মদপুর মোহাম্মদীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরপাড়া মুহাম্মদীয়
এবেতায়ী মাদ্রাসা, পতেঙ্গা লালদিয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জালালিয়া
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিন পতেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
নাজিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পতেঙ্গা সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ
বিদ্যালয়, ব্যারিস্টার সুলতান আহমেদ ডিগ্রি কলেজ, অফিসার্স কলোনির নৌপরিবার
শিশু নিকেতন, দক্ষিণ হালিশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এয়ারপোর্ট রোডের
কাটাখালী আলী শাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ হালিশহরের বেপজা স্কুল
অ্যান্ড কলেজ, বাকলিয়া কর্মাশিয়াল ইনস্টিটিউট, আন্দরকিল্লা গভর্মেন্ট
মুসলিম হাইস্কুল, কদম মোবারক এমওয়াই উচ্চ বিদ্যালয়, মুসলিম এডুকেশন উচ্চ
বিদ্যালয়, রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনি সিটি কপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়, ঘাটফরহাদবেগ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক কেন্দ্রে এমন গড়মিলের চিত্র পেয়েছে
নির্বাচন কমিশন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দক্ষিণ পতেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দিতে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের হাতে প্রথমে ধরা পড়েন আবু তোরাব নামের এক ব্যক্তি। পরে তাকে টানা ৪ ঘণ্টা আটকে রাখার ঘটনায় চড়াও হয় সরকারদলীয় প্রার্থীর লোকজনেরা। বিষয়টি জানাজানি হলে নিজের জীবন রক্ষার্থে তাকে ছেড়ে দেন নির্বাচন কর্মকর্তা।
তবে জাল ভোটের চিত্রটি বেশি চোখে পড়ে রেলওয়ে এমপ্লয়ীজ হাইস্কুলে। এখানে সিদ্দিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তি মহিলা বুথের সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার অনিল কুমার সাহার সামনে জাল ভোট দিতে শুরু করলে সবাই তাকে বাধা দেন। পরে এই ব্যক্তি দলবল নিয়ে সেখানে ঢুকে এক ঘণ্টায় ১০০টির বেশি ভোট দেন একাই।
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নাছিরাবাদ কেন্দ্র -১ এ গতকাল সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, স্থানীয় এমইএস কলেজের ছাত্রলীগ সমর্থিত একটি গ্রুপ সেখানে জালভোট দিয়ে ব্যালট বক্স আগাম ভরাট করে রাখে। অর্থাৎ ভোরবেলা থেকেই সেখানে জাল ভোট দেয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন আজম নাছিরের লোকজনেরা।
একই রকম ঘটনা ঘটেছে পাহাড়তলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজেও। ১৩ নং ওয়ার্ডের এই কেন্দ্রে ভোট দিতে পারেননি অনেক ভোটার। স্থানীয় সিএনজিচালক আরিফুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ কাউন্সিলর হিরনের লোকজন আমার ভোট দিয়ে ফেলেছে। বলেছে, চুপচাপ বাড়ি চলে যেতে।
টাইগারপাস বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দিতে এসে বাড়ি ফিরে গেছেন আরও একজন। এরা হলেন- মাসুম আহমেদ। তিনি নগরীর জিইসি মোড়ের একটি সাইবার দোকানের মালিক। এই বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল তার সঙ্গে কথা হয় নির্বাচনী কেন্দ্রে।
তিনি ভোটার নম্বর দেখিয়ে বলেন, এই দেখুন আমার ভোটার আইডি। ভেতর থেকে বলা হয়েছে সকাল সাড়ে ৮টায় নাকি ভোট দিয়েছে কে বা কারা। আমি প্রিজাইডিং অফিসারকে বলেছি। কিন্তু তিনি কিছু করতে পারছেন না।
বিএসআইআর ল্যাবরেটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সেখানে আগাম ভোট জমা করা হয়। কারা করলো এই ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছুই জানা না গেলেও কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার বলেন, সকালের দিকে বাইরের বেশ কিছু বোমা ফুটে। এরপর কিছু ছেলে পেলে ভেতরে ঢুকলো। তারপর আর কিছুই জানিনা। এই কেন্দ্রের অন্যএকটি বুথ থেকে স্বাক্ষর-সিল ছাড়া ৫৩টি ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে সেখানে হাতিমার্কা প্রতীকে সিল মারা ব্যালেট পেপার পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তবে বড় ঘটনাটি ঘটে অলি আহমদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এখান ভোট শুরু হওয়ার আগে ১০০০ ও পরের একঘন্টার মধ্যে ৫০০ জালভোট জমা হয়। সকাল ১০টার মধ্যে ভোটারশূন্য হয়ে পড়ে পুরো কেন্দ্র। দলে দলে সবাই বাড়ি ফিরতে শুরু করেন।
তবে গতকাল সন্ধ্যায় এই বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক কর্মকর্তা আবদুল বাতেন মানবজমিনকে বলেন, যেসব ভোট আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। এসব ভোট কি অতিরিক্ত ভোট কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোটগুলো নিয়ম অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য হয়নি। এসব ভোট যেভাবে পড়ার কথা সেই নিয়মে বক্মে ছিল না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দক্ষিণ পতেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দিতে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের হাতে প্রথমে ধরা পড়েন আবু তোরাব নামের এক ব্যক্তি। পরে তাকে টানা ৪ ঘণ্টা আটকে রাখার ঘটনায় চড়াও হয় সরকারদলীয় প্রার্থীর লোকজনেরা। বিষয়টি জানাজানি হলে নিজের জীবন রক্ষার্থে তাকে ছেড়ে দেন নির্বাচন কর্মকর্তা।
তবে জাল ভোটের চিত্রটি বেশি চোখে পড়ে রেলওয়ে এমপ্লয়ীজ হাইস্কুলে। এখানে সিদ্দিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তি মহিলা বুথের সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার অনিল কুমার সাহার সামনে জাল ভোট দিতে শুরু করলে সবাই তাকে বাধা দেন। পরে এই ব্যক্তি দলবল নিয়ে সেখানে ঢুকে এক ঘণ্টায় ১০০টির বেশি ভোট দেন একাই।
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নাছিরাবাদ কেন্দ্র -১ এ গতকাল সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, স্থানীয় এমইএস কলেজের ছাত্রলীগ সমর্থিত একটি গ্রুপ সেখানে জালভোট দিয়ে ব্যালট বক্স আগাম ভরাট করে রাখে। অর্থাৎ ভোরবেলা থেকেই সেখানে জাল ভোট দেয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন আজম নাছিরের লোকজনেরা।
একই রকম ঘটনা ঘটেছে পাহাড়তলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজেও। ১৩ নং ওয়ার্ডের এই কেন্দ্রে ভোট দিতে পারেননি অনেক ভোটার। স্থানীয় সিএনজিচালক আরিফুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ কাউন্সিলর হিরনের লোকজন আমার ভোট দিয়ে ফেলেছে। বলেছে, চুপচাপ বাড়ি চলে যেতে।
টাইগারপাস বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দিতে এসে বাড়ি ফিরে গেছেন আরও একজন। এরা হলেন- মাসুম আহমেদ। তিনি নগরীর জিইসি মোড়ের একটি সাইবার দোকানের মালিক। এই বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল তার সঙ্গে কথা হয় নির্বাচনী কেন্দ্রে।
তিনি ভোটার নম্বর দেখিয়ে বলেন, এই দেখুন আমার ভোটার আইডি। ভেতর থেকে বলা হয়েছে সকাল সাড়ে ৮টায় নাকি ভোট দিয়েছে কে বা কারা। আমি প্রিজাইডিং অফিসারকে বলেছি। কিন্তু তিনি কিছু করতে পারছেন না।
বিএসআইআর ল্যাবরেটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সেখানে আগাম ভোট জমা করা হয়। কারা করলো এই ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছুই জানা না গেলেও কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার বলেন, সকালের দিকে বাইরের বেশ কিছু বোমা ফুটে। এরপর কিছু ছেলে পেলে ভেতরে ঢুকলো। তারপর আর কিছুই জানিনা। এই কেন্দ্রের অন্যএকটি বুথ থেকে স্বাক্ষর-সিল ছাড়া ৫৩টি ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে সেখানে হাতিমার্কা প্রতীকে সিল মারা ব্যালেট পেপার পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তবে বড় ঘটনাটি ঘটে অলি আহমদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এখান ভোট শুরু হওয়ার আগে ১০০০ ও পরের একঘন্টার মধ্যে ৫০০ জালভোট জমা হয়। সকাল ১০টার মধ্যে ভোটারশূন্য হয়ে পড়ে পুরো কেন্দ্র। দলে দলে সবাই বাড়ি ফিরতে শুরু করেন।
তবে গতকাল সন্ধ্যায় এই বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক কর্মকর্তা আবদুল বাতেন মানবজমিনকে বলেন, যেসব ভোট আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। এসব ভোট কি অতিরিক্ত ভোট কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোটগুলো নিয়ম অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য হয়নি। এসব ভোট যেভাবে পড়ার কথা সেই নিয়মে বক্মে ছিল না।
No comments