নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে -প্রধানমন্ত্রী
সিটি
করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপি হলে এত কম ভোট কেন পড়েছে- এ প্রশ্ন তুলেছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ভোট দিতে বাধা দেয়া হলে বিএনপির
প্রার্থীরা এত ভোট পেলো কোথা থেকে। গতকাল গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে
আয়োজিত পৃথক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সন্ধ্যায় ঢাকার নব নির্বাচিত
দুই মেয়র ও দল সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার
সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি তাদের উদ্দেশে কথা বলেন। এর
আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হরতাল-অবরোধে নিহতদের পরিবার, আহত ও
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহন মালিকদের সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এ
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, মানুষ কেন তাদের ভোট দেবে। বরং
জনগণ তাদের চিরদিন ঘৃণা করবে। কারণ, তারা মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে,
জীবন্ত মানুষ পুড়ে মেরেছে এবং মানুষের দুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে।
সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিপুল সংখ্যক ভোটারের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপি একটি বা দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে নির্বাচন বর্জন করতে চেয়েছিল। কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অধিক সতর্কতার জন্য তারা এটা করতে পারেনি। দেশে এর আগে অনুষ্ঠিত ৫ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের চেয়েও ২৮ তারিখের নির্বাচন অধিক শান্তিপূর্ণ ছিল। ২ হাজার ৭শ’র মধ্যে মাত্র কয়েকটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত ও কিছু বুথে গোলযোগ হয়েছে। তিনি বলেন, কেবল মেয়র নয় কাউন্সিলর পদেও সিটি নির্বাচন হয়েছে। এজন্য কিছু ঘটনা ঘটেছে এবং তা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে। হিসেব করলে দেখা যাবে পূর্ববর্তী নির্বাচন ও বিশ্বের অন্যান্য স্থানের নির্বাচনী গোলযোগের চেয়ে এই ঘটনা ছিল খুবই নগণ্য। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে বিএনপির এই অভিযোগ নাকচ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোট দিতে বাধা দেয়া হলে বিএনপির প্রার্থীরা এত ভোট পেল কিভাবে। নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ২৫৮টি চেকে মোট ১০ কোটি ৪৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এর মধ্যে নিহতদের আত্মীয়স্বজন ও আহত ব্যক্তিদের ৮ কোটি ৪১ লাখ এবং ৬৫ জন বাস মালিককে ২ কোটি ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই ভয়াবহ নির্বাচনী কারচুপি থেকে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। আমরা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) চালু করতে চেয়েছি। এখন অনেক উন্নত দেশ ও প্রতিবেশী দেশ ভারতে এই ইভিএম ব্যবস্থায় ভোট নেয়া হয়। কিন্তু খালেদা জিয়া এর বিরোধিতা করেন। কারণ তার ভোট ছিনতাইয়ের নীলনকশা ছিল। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া গত ৩ মাস হত্যার নেশায় মেতেছিলেন। মানুষের জীবন-জীবিকা অচল করে দিয়েছেন এবং ১৫ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থীর ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পর মানুষ কিভাবে ওই দলটিকে ভোট দেবে?
নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমেদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, আমি তাকে প্রশ্ন করি যে তিনি জিয়ার হ্যাঁ ও না ভোট, তার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং বেগম জিয়ার ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন দেখেছেন কিনা? প্রকৃতপক্ষে তারা তাদের নিজেদের ত্রুটি দেখতে পান না। আমাদের দেশের একশ্রেণীর মানুষ একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কিন্তু বিএনপি ও জামায়াতের ধ্বংসযজ্ঞে বিপুল জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগের ব্যাপারে তারা সম্পূর্ণভাবে নীরব থাকেন।
সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিপুল সংখ্যক ভোটারের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপি একটি বা দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে নির্বাচন বর্জন করতে চেয়েছিল। কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অধিক সতর্কতার জন্য তারা এটা করতে পারেনি। দেশে এর আগে অনুষ্ঠিত ৫ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের চেয়েও ২৮ তারিখের নির্বাচন অধিক শান্তিপূর্ণ ছিল। ২ হাজার ৭শ’র মধ্যে মাত্র কয়েকটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত ও কিছু বুথে গোলযোগ হয়েছে। তিনি বলেন, কেবল মেয়র নয় কাউন্সিলর পদেও সিটি নির্বাচন হয়েছে। এজন্য কিছু ঘটনা ঘটেছে এবং তা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে। হিসেব করলে দেখা যাবে পূর্ববর্তী নির্বাচন ও বিশ্বের অন্যান্য স্থানের নির্বাচনী গোলযোগের চেয়ে এই ঘটনা ছিল খুবই নগণ্য। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে বিএনপির এই অভিযোগ নাকচ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোট দিতে বাধা দেয়া হলে বিএনপির প্রার্থীরা এত ভোট পেল কিভাবে। নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ২৫৮টি চেকে মোট ১০ কোটি ৪৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এর মধ্যে নিহতদের আত্মীয়স্বজন ও আহত ব্যক্তিদের ৮ কোটি ৪১ লাখ এবং ৬৫ জন বাস মালিককে ২ কোটি ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই ভয়াবহ নির্বাচনী কারচুপি থেকে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। আমরা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) চালু করতে চেয়েছি। এখন অনেক উন্নত দেশ ও প্রতিবেশী দেশ ভারতে এই ইভিএম ব্যবস্থায় ভোট নেয়া হয়। কিন্তু খালেদা জিয়া এর বিরোধিতা করেন। কারণ তার ভোট ছিনতাইয়ের নীলনকশা ছিল। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া গত ৩ মাস হত্যার নেশায় মেতেছিলেন। মানুষের জীবন-জীবিকা অচল করে দিয়েছেন এবং ১৫ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থীর ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পর মানুষ কিভাবে ওই দলটিকে ভোট দেবে?
নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমেদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, আমি তাকে প্রশ্ন করি যে তিনি জিয়ার হ্যাঁ ও না ভোট, তার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং বেগম জিয়ার ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন দেখেছেন কিনা? প্রকৃতপক্ষে তারা তাদের নিজেদের ত্রুটি দেখতে পান না। আমাদের দেশের একশ্রেণীর মানুষ একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কিন্তু বিএনপি ও জামায়াতের ধ্বংসযজ্ঞে বিপুল জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগের ব্যাপারে তারা সম্পূর্ণভাবে নীরব থাকেন।
No comments