ঝুঁকি নিতে চায়নি ক্ষমতাসীনরা
তিন
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে দুই
ধরনের মত রয়েছে। একটি পক্ষ মনে করছেন, বিজয়ের ব্যপারে ক্ষমতাসীনরা নিশ্চিত
হতে চেয়েছে। তারা ঝুঁকি নিতে চাননি। অপরপক্ষের মত, ভোটের যে অবস্থা ছিল
তাতে তিনটির মধ্যে চট্টগ্রামসহ দুটিতে আওয়ামী লীগ নিশ্চিতভাবে জয়ী হতো।
সরকারি একটি সংস্থার জরিপ প্রসঙ্গ টেনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য বুধবার সকালে যুগান্তরকে বলেন, ওই জরিপে উত্তরে ভালো অবস্থানের কথা বলা হলেও ভোটের পর মনে হচ্ছে আমরা দক্ষিণেই ভালো করতাম। তাই বাড়তি কিছু করার প্রয়োজন ছিল না।
উপদেষ্টা পরিষদের ওই সদস্য ছাড়াও একজন সাংগঠনিক সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী সংসদের এক সদস্যের সঙ্গে কথা বললে তারা দুই ধরনের মত দেন। প্রথম পক্ষটি মনে করেন, ঝুঁকি না নিলে আগের সিটি নির্বাচনের পুনরাবৃত্তিও হতে পারত। তাহলে বিশ্ববাসীর কাছে কী বার্তা যেত? পেট্রলবোমা ও আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মেরেও জয়ী হয়েছে বিএনপি। তাহলে আমরা যে অভিযোগ করে আসছি, তা কীভাবে নিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়? এ প্রশ্ন করেন ওই নেতা।
ওই তিন নেতার সঙ্গে কথা বললে তাদের দুজন দাবি করেন নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির বিষয়ে আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড কিছুই জানে না। এ ব্যাপারে তাদের কোনো নির্দেশ ছিল না। আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ-যুবলীগের অতি উৎসাহী নেতাকর্মীরা ফাঁকা মাঠ পেয়ে কিছু বাড়াবাড়ি করেছে। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ওপর মহলের আস্কারা না পেলে এ ধরনের কাজ করার সাহস কি কেউ পায়? জবাবে ওই দুই নেতা বলেন, ২ হাজার ৭শ ভোট কেন্দ্রের সব কটাতে কি বাড়াবাড়ি হয়েছে? না, মাত্র কয়েকটি কেন্দ্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। যা মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে, তা ভোটের সার্বিক চিত্র নয়। কিছু গণমাধ্যম এটাকে বৃহৎ আকার দেয়ার চেষ্টা করছে।
তবে উপদেষ্টা পরিষদের ওই সদস্যের কণ্ঠে ছিল স্পষ্ট ক্ষোভ। তার মতে, কম হোক বেশি হোক- ভোট ডাকাতি বা জালিয়াতি এবং ভোট কেন্দ্র দখলের যে অভিযোগগুলো আমাদের বিরুদ্ধে এসেছে তা সচেতনভাবে পরিহার করা যেত। কারণ আওয়ামী লীগের ইতিহাসে জোর- জবরদস্তির কোনো ঘটনা নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিটি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক মেয়র প্রার্থী যুগান্তরকে বলেন, তার জানামতে কোনো নেতাকর্মীকে জোর-জবরদস্তি করার জন্য বলা হয়নি। হলে সেটা তিনি জানতেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়, এ ধরনের ঘটনা তো ঘটেছে। যে জন্য বিএনপি নির্বাচন বর্জন করল? জবাবে তিনি বলেন, আমি বলব না একেবারেই কিছু হয়নি। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে বিএনপি পূর্বপরিকল্পিতভাবেই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বর্জন করেছে। বিচ্ছিন্ন ঘটনা না থাকলেও তারা এটা করত।
ভোটে কারচুপি বা জালিয়াতির অভিযোগ খণ্ডন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের মানুষ তাদের (বিএনপি) প্রত্যাখ্যান করেছে। তার প্রত্যাশা দেশবাসীও বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বহু নির্বাচন হয়েছে। সাংবাদিকরা নিশ্চয় স্বীকার করবেন, এর আগে পাঁচটি নির্বাচন হয়েছে। সেবারেও যতটুকু ঘটনা ঘটেছে, এবার তাও ঘটেনি। এবারেও নির্বাচন সব থেকে শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছিলেন, নিশ্চিত পরাজয় জেনেই বিএনপি পূর্বপরিকল্পিতভাবে আন্দোলনের ইস্যু তৈরি করতে ভোট বর্জন করেছে। তিনি অনিয়মের সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
সরকারি একটি সংস্থার জরিপ প্রসঙ্গ টেনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য বুধবার সকালে যুগান্তরকে বলেন, ওই জরিপে উত্তরে ভালো অবস্থানের কথা বলা হলেও ভোটের পর মনে হচ্ছে আমরা দক্ষিণেই ভালো করতাম। তাই বাড়তি কিছু করার প্রয়োজন ছিল না।
উপদেষ্টা পরিষদের ওই সদস্য ছাড়াও একজন সাংগঠনিক সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী সংসদের এক সদস্যের সঙ্গে কথা বললে তারা দুই ধরনের মত দেন। প্রথম পক্ষটি মনে করেন, ঝুঁকি না নিলে আগের সিটি নির্বাচনের পুনরাবৃত্তিও হতে পারত। তাহলে বিশ্ববাসীর কাছে কী বার্তা যেত? পেট্রলবোমা ও আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মেরেও জয়ী হয়েছে বিএনপি। তাহলে আমরা যে অভিযোগ করে আসছি, তা কীভাবে নিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়? এ প্রশ্ন করেন ওই নেতা।
ওই তিন নেতার সঙ্গে কথা বললে তাদের দুজন দাবি করেন নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির বিষয়ে আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড কিছুই জানে না। এ ব্যাপারে তাদের কোনো নির্দেশ ছিল না। আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ-যুবলীগের অতি উৎসাহী নেতাকর্মীরা ফাঁকা মাঠ পেয়ে কিছু বাড়াবাড়ি করেছে। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ওপর মহলের আস্কারা না পেলে এ ধরনের কাজ করার সাহস কি কেউ পায়? জবাবে ওই দুই নেতা বলেন, ২ হাজার ৭শ ভোট কেন্দ্রের সব কটাতে কি বাড়াবাড়ি হয়েছে? না, মাত্র কয়েকটি কেন্দ্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। যা মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে, তা ভোটের সার্বিক চিত্র নয়। কিছু গণমাধ্যম এটাকে বৃহৎ আকার দেয়ার চেষ্টা করছে।
তবে উপদেষ্টা পরিষদের ওই সদস্যের কণ্ঠে ছিল স্পষ্ট ক্ষোভ। তার মতে, কম হোক বেশি হোক- ভোট ডাকাতি বা জালিয়াতি এবং ভোট কেন্দ্র দখলের যে অভিযোগগুলো আমাদের বিরুদ্ধে এসেছে তা সচেতনভাবে পরিহার করা যেত। কারণ আওয়ামী লীগের ইতিহাসে জোর- জবরদস্তির কোনো ঘটনা নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিটি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক মেয়র প্রার্থী যুগান্তরকে বলেন, তার জানামতে কোনো নেতাকর্মীকে জোর-জবরদস্তি করার জন্য বলা হয়নি। হলে সেটা তিনি জানতেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়, এ ধরনের ঘটনা তো ঘটেছে। যে জন্য বিএনপি নির্বাচন বর্জন করল? জবাবে তিনি বলেন, আমি বলব না একেবারেই কিছু হয়নি। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে বিএনপি পূর্বপরিকল্পিতভাবেই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বর্জন করেছে। বিচ্ছিন্ন ঘটনা না থাকলেও তারা এটা করত।
ভোটে কারচুপি বা জালিয়াতির অভিযোগ খণ্ডন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের মানুষ তাদের (বিএনপি) প্রত্যাখ্যান করেছে। তার প্রত্যাশা দেশবাসীও বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বহু নির্বাচন হয়েছে। সাংবাদিকরা নিশ্চয় স্বীকার করবেন, এর আগে পাঁচটি নির্বাচন হয়েছে। সেবারেও যতটুকু ঘটনা ঘটেছে, এবার তাও ঘটেনি। এবারেও নির্বাচন সব থেকে শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছিলেন, নিশ্চিত পরাজয় জেনেই বিএনপি পূর্বপরিকল্পিতভাবে আন্দোলনের ইস্যু তৈরি করতে ভোট বর্জন করেছে। তিনি অনিয়মের সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
No comments