ক্ষমতাসীনদের হাতে অবৈধ অস্ত্র- ঘটছে হতাহতের ঘটনা by আবু সালেহ আকন
ক্ষমতাসীনদের
কারো কারো হাতে অবৈধ অস্ত্র। আর এই অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে প্রকাশ্যেই।
কখনো কখনো পুলিশের সামনেই ব্যবহার হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর সদস্যরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নির্বিকার। প্রকাশ্যে গোলাগুলি করেও
পার পেয়ে যাচ্ছে এসব অস্ত্রধারী। এমনকি কোনো কোনো ঘটনায় থানায় মামলা
পর্যন্ত হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এসব অস্ত্রের ব্যবহার ক্রমেই
ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীনদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলগুলোতে প্রায়ই
এসব অস্ত্রের ব্যবহার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে আসন্ন
তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এসব আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা আতঙ্কের
কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগ যেসব সংঘর্ষে জড়িয়েছে তার প্রায় প্রতিটিতেই আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল ও বোমার ব্যবহার হয়েছে। দেশীয় অস্ত্র তো রয়েছেই। বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই এভাবে সংঘর্ষ হচ্ছে। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে।
গত ২০ মার্চ রাতে সিলেট নগরীর উপশহর তেররতনে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। যুবলীগ নেতা শামীম ইকবাল ও ছাত্রলীগ নেতা দুলাল মিয়া গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয় বলে স্থানীয় সূত্র জানায়। সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধ ও আরেকজন ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে শাহপরান থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, হামলার ঘটনায় দুইজন আহত হওয়ার খবর শুনেছি। তবে গোলাগুলির বিষয়ে কিছু জানা নেই।
গত ১৮ মার্চ পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বাঁধন খন্দকার নামে ছাত্রলীগের এক নেতা নিহত হন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ১৭ মার্চ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার জঙ্গল পদুয়া এলাকায় রাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৯ জন গুলিবিদ্ধ হন। সেখানে পুলিশের সামনেই প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার হয় বলে স্থানীয় সূত্র জানায়।
গত ১২ মার্চ পাবনা শহরের রামচন্দ্রপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে গোলাগুলি ও সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধ হন।
গত ১২ মার্চ রাতে সিলেটে যুবলীগ ক্যাডার পীযূষ গ্রুপের সাথে ছাত্রলীগ জেলা সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ গ্রুপের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। সংঘর্ষের সময় সরকারের গণপূর্ত ও রেজিস্ট্রি অফিসে হামলা চালানো হয়।
গত ১১ মার্চ চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশের আহ্বায়ক আব্দুল আউয়াল তুহিনের কারামুক্তি উপলক্ষে র্যালিকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া দেয়া হয়। তবে ঘটনার পর নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কাওসার সাংবাদিকদের বলেছেন, অস্ত্রের মহড়া সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।
গত ১০ মার্চ সচিবালয়ের পাশে বিদ্যুৎ ভবনে টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেখানে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে আগ্নেযাস্ত্র উঁচিয়ে সেখানে মহড়া দেয়া হয়। অথচ ঘটনার পর সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা গোলাগুলির বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি শরীয়তপুরের নড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরিত হয়।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি যশোরের চৌগাছায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আশরাফ উদ্দিন (৬০) নামের একজন নিহত হন।
এ দিকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে গ্রেফতারেরও কিছু ঘটনা ঘটেছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার দর্শনার আকন্দবাড়িয়া থেকে বোমা বানাতে গিয়ে আহত যুবলীগ কর্মী নাজমুলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। দু’দিন আগে নিজ বাসায় ছাদে বোমা বানানোর সময় সে গুরুতর আহত হয়। পরে গোপনে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
১৬ ফেব্রুয়ারি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় বিদেশী পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি এবং একটি ম্যাগাজিনসহ কায়সার নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। ওই দিন লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের পৌর কলচমা গ্রামের যুবলীগ কর্মী ওয়াসীমকে একটি বিদেশী পিস্তলসহ আটক করা হয়। স্থানীয় লোকজনের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় জনতা তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ক্ষমতাসীনদের অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার ক্রমেই আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে মানুষের মধ্যে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ নিয়ে তারাও বিপাকে রয়েছেন।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগ যেসব সংঘর্ষে জড়িয়েছে তার প্রায় প্রতিটিতেই আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল ও বোমার ব্যবহার হয়েছে। দেশীয় অস্ত্র তো রয়েছেই। বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই এভাবে সংঘর্ষ হচ্ছে। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে।
গত ২০ মার্চ রাতে সিলেট নগরীর উপশহর তেররতনে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। যুবলীগ নেতা শামীম ইকবাল ও ছাত্রলীগ নেতা দুলাল মিয়া গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয় বলে স্থানীয় সূত্র জানায়। সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধ ও আরেকজন ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে শাহপরান থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, হামলার ঘটনায় দুইজন আহত হওয়ার খবর শুনেছি। তবে গোলাগুলির বিষয়ে কিছু জানা নেই।
গত ১৮ মার্চ পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বাঁধন খন্দকার নামে ছাত্রলীগের এক নেতা নিহত হন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ১৭ মার্চ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার জঙ্গল পদুয়া এলাকায় রাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৯ জন গুলিবিদ্ধ হন। সেখানে পুলিশের সামনেই প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার হয় বলে স্থানীয় সূত্র জানায়।
গত ১২ মার্চ পাবনা শহরের রামচন্দ্রপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে গোলাগুলি ও সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধ হন।
গত ১২ মার্চ রাতে সিলেটে যুবলীগ ক্যাডার পীযূষ গ্রুপের সাথে ছাত্রলীগ জেলা সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ গ্রুপের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। সংঘর্ষের সময় সরকারের গণপূর্ত ও রেজিস্ট্রি অফিসে হামলা চালানো হয়।
গত ১১ মার্চ চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশের আহ্বায়ক আব্দুল আউয়াল তুহিনের কারামুক্তি উপলক্ষে র্যালিকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া দেয়া হয়। তবে ঘটনার পর নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কাওসার সাংবাদিকদের বলেছেন, অস্ত্রের মহড়া সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।
গত ১০ মার্চ সচিবালয়ের পাশে বিদ্যুৎ ভবনে টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেখানে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে আগ্নেযাস্ত্র উঁচিয়ে সেখানে মহড়া দেয়া হয়। অথচ ঘটনার পর সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা গোলাগুলির বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি শরীয়তপুরের নড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরিত হয়।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি যশোরের চৌগাছায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আশরাফ উদ্দিন (৬০) নামের একজন নিহত হন।
এ দিকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে গ্রেফতারেরও কিছু ঘটনা ঘটেছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার দর্শনার আকন্দবাড়িয়া থেকে বোমা বানাতে গিয়ে আহত যুবলীগ কর্মী নাজমুলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। দু’দিন আগে নিজ বাসায় ছাদে বোমা বানানোর সময় সে গুরুতর আহত হয়। পরে গোপনে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
১৬ ফেব্রুয়ারি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় বিদেশী পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি এবং একটি ম্যাগাজিনসহ কায়সার নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। ওই দিন লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের পৌর কলচমা গ্রামের যুবলীগ কর্মী ওয়াসীমকে একটি বিদেশী পিস্তলসহ আটক করা হয়। স্থানীয় লোকজনের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় জনতা তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ক্ষমতাসীনদের অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার ক্রমেই আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে মানুষের মধ্যে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ নিয়ে তারাও বিপাকে রয়েছেন।
No comments