জননিরাপত্তায় বিশুদ্ধ পানি ও ব্যবস্থাপনা by আবুল হাসান ও খন রঞ্জন রায়
মানব
সভ্যতার ক্রমবিকাশের জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। খাদ্য উৎপাদনের
স্থিতিশীলতা অর্জন নির্ভর করে মূলত সেই দেশের পানিসম্পদের ওপর, যার বেশির
ভাগই কৃষিকাজে ব্যবহার করা হয়। ফসলের উৎপাদনশীলতার ৫২ শতাংশ নির্ভর করে
পানির জোগানের ওপর, অবশিষ্ট নির্ভর করে বীজ, সার, মাটির উর্বরতা, রোগ-পোকা
দমন এবং কলাকৌশলের ওপর। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিপ্লোমা অর্জনকারীরা আমাদের দেশে
কৃষি বিপ্লব ঘটিয়ে দুই ফসলি জমিকে তিন ফসলি, তিন ফসলিকে চার ফসলি জমিতে
রূপান্তর ঘটিয়েছেন। ফলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
এ দিকে পানীয়জলে আর্সেনিক দূষণ সবচেয়ে ভয়াবহ বাংলাদেশে। ৫৩টি জেলা ও ২৪৯টি উপজেলার নলকূপে আর্সেনিক বেশি মাত্রায় পাওয়া গেছে। ব্রিটিশ জিওলজিক্যাল সার্ভে ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সমীক্ষা অনুযায়ী, ২৭ শতাংশ নলকূপে ৫০ পিপিবির বেশি এবং ৪৬ শতাংশ নলকূপে ১০ পিপিবির বেশি আর্সেনিক পাওয়া গেছে। এ তথ্য সাধারণত অগভীর নলকূপের বিষয়ে। গভীর নলকূপে (১৫০ মিটারের বেশি গভীর) মাত্র এক শতাংশ নলকূপে ৫০ পিপিবির বেশি এবং ৫ শতাংশ নলকূপে ১০ পিপিবির বেশি মাত্রায় আর্সেনিক রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় ৫০ মিলিয়ন লোক আর্সেনিকগ্রস্ত এলাকায় বসবাস করছেন। এ সংস্থার কয়েক দশকের প্রচেষ্টা এবং পানির জন্য বছরে হাজার কোটি টাকা খরচ করা সত্ত্বেও সারা বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ ‘জল ও মল’ সংশ্লিষ্ট রোগে প্রাণ হারায়। আরো হাজার হাজার মানুষ রুগ্ণ হয়ে পড়ে। অথচ এই মৃত্যু ও অসুস্থতা প্রায় সম্পূর্ণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
পানিবিজ্ঞান (Hydrology) পানিপ্রবাহের বিজ্ঞান কয়েক শ’ বছরে অনেক এগিয়েছে। এগিয়েছে নির্মাণ প্রযুক্তি, যন্ত্র প্রযুক্তি (Hydrodynamics) মাপজোক নিয়ন্ত্রক-ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি। নদীর পানিকে ধরে রেখে নিয়ন্ত্রিতভাবে প্রবাহিত করিয়ে বন্যা-খরা অনেকটা নিয়ন্ত্রণ বা কৃষি সেচের উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে। বড় বড় জলাধার এখন বিশ্বের অনেক বড় নদীর অঙ্গে অঙ্গীভূত।
বাংলাদেশের পানিসংক্রান্ত যাবতীয় তদারকি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওপর ন্যস্ত। এতে কর্মরত ১৮ হাজার ৪১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর তেমন কারোই পানিসংক্রান্ত প্রযুক্তিগত শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ নেই। এর ফলে পানি উন্নয়ন সংক্রান্ত বাজেটের ৩০ ভাগ অর্থ ‘পানিতে যায়’। প্রযুক্তিজ্ঞানহীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যর্থতায় জাতি মূল্য দিচ্ছে। পরিত্রাণের পথ এ সংক্রান্ত প্রযুক্তি শিক্ষা। সমাজের মানবিক ও অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য ওয়াটার টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা শিক্ষা সহায়ক হতে পারে পানি সঙ্কট মোকাবেলায়।
আবুল হাসান ও খন রঞ্জন রায়
এ দিকে পানীয়জলে আর্সেনিক দূষণ সবচেয়ে ভয়াবহ বাংলাদেশে। ৫৩টি জেলা ও ২৪৯টি উপজেলার নলকূপে আর্সেনিক বেশি মাত্রায় পাওয়া গেছে। ব্রিটিশ জিওলজিক্যাল সার্ভে ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সমীক্ষা অনুযায়ী, ২৭ শতাংশ নলকূপে ৫০ পিপিবির বেশি এবং ৪৬ শতাংশ নলকূপে ১০ পিপিবির বেশি আর্সেনিক পাওয়া গেছে। এ তথ্য সাধারণত অগভীর নলকূপের বিষয়ে। গভীর নলকূপে (১৫০ মিটারের বেশি গভীর) মাত্র এক শতাংশ নলকূপে ৫০ পিপিবির বেশি এবং ৫ শতাংশ নলকূপে ১০ পিপিবির বেশি মাত্রায় আর্সেনিক রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় ৫০ মিলিয়ন লোক আর্সেনিকগ্রস্ত এলাকায় বসবাস করছেন। এ সংস্থার কয়েক দশকের প্রচেষ্টা এবং পানির জন্য বছরে হাজার কোটি টাকা খরচ করা সত্ত্বেও সারা বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ ‘জল ও মল’ সংশ্লিষ্ট রোগে প্রাণ হারায়। আরো হাজার হাজার মানুষ রুগ্ণ হয়ে পড়ে। অথচ এই মৃত্যু ও অসুস্থতা প্রায় সম্পূর্ণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
পানিবিজ্ঞান (Hydrology) পানিপ্রবাহের বিজ্ঞান কয়েক শ’ বছরে অনেক এগিয়েছে। এগিয়েছে নির্মাণ প্রযুক্তি, যন্ত্র প্রযুক্তি (Hydrodynamics) মাপজোক নিয়ন্ত্রক-ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি। নদীর পানিকে ধরে রেখে নিয়ন্ত্রিতভাবে প্রবাহিত করিয়ে বন্যা-খরা অনেকটা নিয়ন্ত্রণ বা কৃষি সেচের উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে। বড় বড় জলাধার এখন বিশ্বের অনেক বড় নদীর অঙ্গে অঙ্গীভূত।
বাংলাদেশের পানিসংক্রান্ত যাবতীয় তদারকি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওপর ন্যস্ত। এতে কর্মরত ১৮ হাজার ৪১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর তেমন কারোই পানিসংক্রান্ত প্রযুক্তিগত শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ নেই। এর ফলে পানি উন্নয়ন সংক্রান্ত বাজেটের ৩০ ভাগ অর্থ ‘পানিতে যায়’। প্রযুক্তিজ্ঞানহীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যর্থতায় জাতি মূল্য দিচ্ছে। পরিত্রাণের পথ এ সংক্রান্ত প্রযুক্তি শিক্ষা। সমাজের মানবিক ও অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য ওয়াটার টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা শিক্ষা সহায়ক হতে পারে পানি সঙ্কট মোকাবেলায়।
আবুল হাসান ও খন রঞ্জন রায়
No comments