হিটলার-মুসোলিনীকেও হার মানিয়েছে সরকারের দমননীতি : ২০ দল
সরকারের
দমননীতি স্বৈরাচার হিটলার-মুসোলিনীর কঠোরতাকেও হার মানিয়েছে বলে মন্তব্য
করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। গণআন্দোলন স্তব্ধ করতে সরকার সাজানো
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে গুম, হত্যা অপহরণ ও নির্যাতন নিপীড়ণের মহোৎসবে
মেতে উঠেছে। আজ সোমবার এক বিবৃতিতে ২০ দলের পক্ষে এ মন্তব্য করেন বিএনপির
যুগ্ম-মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু। তিনি বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিসহ অন্যান্য
গণদাবিতে ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে যখন দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সংগ্রাম
চলছে তখন বর্তমান ক্ষমতাসীন দল গণআন্দোলন স্তব্ধ করতে নিজেদের দলীয় লোকদের
দিয়ে সাজানো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে সারাদেশে
বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদেরকে হত্যা, গুম, অপহরণ ও নির্যাতন নিপীড়ণের মহোৎসবে
মেতে উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপির অন্যতম যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন
আহমেদকে আজ থেকে ১৩ দিন আগে অপহরণ করে নিখোঁজ রাখা হয়েছে। তার পরিবার,
দেশের সুশীল সমাজ, আপামর জনসাধারণ এবং দল ও জোটের শত আকুতিতেও সরকার এখন
পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান দিচ্ছে না। এ ধরনের ধারাবাহিক মর্মন্তুদ ও
হৃদয়বিদারক ঘটনায় গোটা জাতি স্তম্ভিত, হতবাক ও শোকে ম্রিয়মান হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একটি প্রহসণের নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হাতছাড়া না করতে এখন রাষ্ট্রীয় শক্তির অপপ্রয়োগের মরণখেলায় মেতে উঠেছে। শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার নামে দেশব্যাপী বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর দমন নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে অবৈধ সরকার এখন গদি রক্ষার জন্য হিটলার-মুসোলিনীর কঠোরতাকেও হার মানিয়েছে। দেশব্যাপী ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের মধ্য দিয়ে হিটলার-মুসোলিনীর গুপ্ত বাহিনীর আদলে দেশের ঐতিহ্যবাহী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজেদের কব্জায় নিয়ে দেশকে চরম নৈরাজ্যকর অবস্থার মধ্যে নিপতিত করেছে।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, বাড়ির ভেতরে কিংবা বাইরে কোথাও কোনো নাগরিকের জীবন-জীবিকা এখন শঙ্কামুক্ত নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিরোধী দলীয় কোনো নেতাকর্মীকে বেআইনীভাবে ধরতে গিয়ে তাকে না পেয়ে পরিবারের নিরপরাধ সদস্যকে আটক ও তাদের সাথে অশালীন আচরণ এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মনে হয় স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও আমরা যেন এক মগের মুল্লুকে বসবাস করছি। দেশের বিভিন্ন জেলায় যৌথবাহিনীর নামে বিশেষ বাহিনী বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের আটক করার পর তাদের লাশ পাওয়া যাচ্ছে রাস্তার ধারে, খালে-বিলে, ডোবা-নালায়। কোনো কোনো লাশের পরিচয়ও মিলছে না।
বিএনপির এই যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, এহেন পরিস্থিতি দেশের প্রতিটি জনপদে। বর্তমান স্বৈরশাসক দেশে গুম, খুন, গুপ্তহত্যা ও অপহরণের যে ভয়াল সংস্কৃতি চালু করেছে তা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার কাছেও প্রমাণিত। ধারাবাহিক এসব নারকীয় ঘটনায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো প্রতিনিয়ত গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহৃত সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা-হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রদত্ত বিবৃতি আন্তর্জাতিক মহলসহ দেশের ১৬ কোটি মানুষের সেই উদ্বেগ উৎকন্ঠারই প্রতিধ্বণি।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, দেশের আপামর জনসাধারণ ও ২০ দলীয় জোট আশা করে-সরকার দেশের স্বার্থে ও মানুষের কল্যাণার্থে সংলাপের মাধ্যমে বর্তমান সঙ্কটের সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে এগিয়ে আসবে। ২০ দলীয় জোট আবারো জোট ঘোষিত সব কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য দেশবাসীকে উদাত্ত আহবান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একটি প্রহসণের নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হাতছাড়া না করতে এখন রাষ্ট্রীয় শক্তির অপপ্রয়োগের মরণখেলায় মেতে উঠেছে। শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার নামে দেশব্যাপী বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর দমন নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে অবৈধ সরকার এখন গদি রক্ষার জন্য হিটলার-মুসোলিনীর কঠোরতাকেও হার মানিয়েছে। দেশব্যাপী ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের মধ্য দিয়ে হিটলার-মুসোলিনীর গুপ্ত বাহিনীর আদলে দেশের ঐতিহ্যবাহী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজেদের কব্জায় নিয়ে দেশকে চরম নৈরাজ্যকর অবস্থার মধ্যে নিপতিত করেছে।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, বাড়ির ভেতরে কিংবা বাইরে কোথাও কোনো নাগরিকের জীবন-জীবিকা এখন শঙ্কামুক্ত নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিরোধী দলীয় কোনো নেতাকর্মীকে বেআইনীভাবে ধরতে গিয়ে তাকে না পেয়ে পরিবারের নিরপরাধ সদস্যকে আটক ও তাদের সাথে অশালীন আচরণ এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মনে হয় স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও আমরা যেন এক মগের মুল্লুকে বসবাস করছি। দেশের বিভিন্ন জেলায় যৌথবাহিনীর নামে বিশেষ বাহিনী বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের আটক করার পর তাদের লাশ পাওয়া যাচ্ছে রাস্তার ধারে, খালে-বিলে, ডোবা-নালায়। কোনো কোনো লাশের পরিচয়ও মিলছে না।
বিএনপির এই যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, এহেন পরিস্থিতি দেশের প্রতিটি জনপদে। বর্তমান স্বৈরশাসক দেশে গুম, খুন, গুপ্তহত্যা ও অপহরণের যে ভয়াল সংস্কৃতি চালু করেছে তা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার কাছেও প্রমাণিত। ধারাবাহিক এসব নারকীয় ঘটনায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো প্রতিনিয়ত গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহৃত সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা-হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রদত্ত বিবৃতি আন্তর্জাতিক মহলসহ দেশের ১৬ কোটি মানুষের সেই উদ্বেগ উৎকন্ঠারই প্রতিধ্বণি।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, দেশের আপামর জনসাধারণ ও ২০ দলীয় জোট আশা করে-সরকার দেশের স্বার্থে ও মানুষের কল্যাণার্থে সংলাপের মাধ্যমে বর্তমান সঙ্কটের সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে এগিয়ে আসবে। ২০ দলীয় জোট আবারো জোট ঘোষিত সব কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য দেশবাসীকে উদাত্ত আহবান জানান তিনি।
No comments