এরশাদ এখন কী করবেন? by আবদুর রহমান
১৯৮২
সাল থেকে ৩৩ বছর যাবৎ দেশ শাসন করেছেন ও করে আসছেন যথাক্রমে সাবেক
রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, বেগম খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা। তাই গত
৩৩ বছরে দেশের যেসব সুপরিবর্তন হয়েছে, তার কৃতিত্বের দাবিদার এই তিন
রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান। তেমনি তাদের ক্ষমতায় থাকা ও যাওয়াকে কেন্দ্র
করে ১৯৮৮-৯০, ১৯৯৪-৯৬, ২০০৬-০৭ এবং সর্বশেষ ২০১৩ থেকে অদ্যাবধি যেসব সঙ্কট
আমজনতাকে শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুর্দশায় নিপতিত করেছে, তার
দায়ও তারা এড়াতে পারেন না। জনগণ ভোট দিয়ে তাদের ওপর আস্থা স্থাপন করলেও
তারা জনগণকে প্রতিদানে কতটুকু দিয়েছেন? আর জেনারেল এরশাদ নিজ স্বার্থে
ভূমিকা রাখলেও জনগণের স্বার্থের দিকে তাকাননি। ১৯৯৪ সালে তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের দাবিতে ১৪৭ জন এমপি সংসদ থেকে পদত্যাগ করলেন। সেই সাথে দেশবাসীকে
১৭৩ দিন হরতাল ও ৪৫ দিন অবরোধ ‘উপহার’ দিলেন এবং সরকারি কর্মচারীদের উসকানি
দিয়ে একরকম বিদ্রোহ ঘটিয়েছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করে ১৯৯৬
সালে ক্ষমতাসীন হয়েই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে রিট
দায়ের করা হয়। তা হলে তাদের এই দাবির পেছনে জনগণের স্বার্থ বড় ছিল, না
দলীয় স্বার্থই ছিল মুখ্য? আবার ২০০৬-০৭ সালে ক্ষমতাসীন দল ক্ষমতায় থাকার
নিশ্চয়তার জন্য এবং বিরোধী দল ক্ষমতায় যাওয়া নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্দোলন
শুরু করে দেয়। সংবিধান মোতাবেক ২ নম্বর অপশনে থাকা ব্যক্তিত্বকে প্রধান
উপদেষ্টা না করে ৬ নম্বর অপশনে থাকা মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে তত্ত্বাবধায়ক
সরকারপ্রধান করায় আওয়ামী লীগের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। অথচ ২০১৩ সালে বিশিষ্ট
নাগরিকেরা মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচনকালীন সরকারপ্রধানের দায়িত্ব
পালনের অনুরোধ জানানোর বিরুদ্ধেও তাদের ক্ষোভ দেখা গেছে। আন্দোলনে ব্যর্থ
হয়ে নিজেরাই স্বীকার করলেন, সেনাপ্রধান নিয়ন্ত্রিত সরকারটি তাদের আন্দোলনের
ফসল। এসব কার্যকলাপে জনগণের কোনো স্বার্থ নিহিত ছিল কি?
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৯৯৪ সালে সংসদ থেকে যে ১৪৭ জন এমপি পদত্যাগ করেছিলেন, তাদের মধ্যে বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বর্তমান মন্ত্রিসভার বেশির ভাগ মন্ত্রী, যেমন- তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, রাশেদ খান মেনন, শাহজাহান খান এবং সেই সাথে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছাড়াও জেনারেল এরশাদের দলের ৩৫ জন এমপি। আবার তারাই ২০১১ সালে সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করতে পারেন কোন নৈতিক যুক্তিতে? কোন সংসদীয় রীতিনীতি মোতাবেক একই দাবিতে সংসদ থেকে পদত্যাগ এবং ওই দাবি পাস হওয়ার পর সংসদে তা বাতিলের পক্ষে ভোট দেয়া হলো?
চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চেয়ে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে উপহার দিয়ে দেশে ইতিহাস সৃষ্টি করবেন।’ বিরোধী দল বলল, এটা সম্ভব নয়। ২০১৪-এর ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে কী তামাশা দেখা গেল, তা সবাই জানে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে ৬৩ শতাংশ, ’৯৬-এর নির্বাচনে ৬৬ শতাংশ, ২০০১-এর নির্বাচনে ৭৩ শতাংশ এবং ২০০৮-এর নির্বাচনে যেখানে ৮৯ শতাংশ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন, সেখানে ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৮০ শতাংশ হ্রাস পেয়ে তা মাত্র ৯ শতাংশে নেমে এলো কেন? যে সরকার পরাজয়ের আশঙ্কায় ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন আট বছর ধরে আটকিয়ে রেখেছে, সেই সরকারের কথিত জনপ্রিয়তার ধুয়া তুলে সব কিছু বৈধ করাকে জনগণ কিভাবে নিয়েছেন, তা একবার ভেবে দেখুন। ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচন যদি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হতো তাহলে ঢাকা শহরের বর্তমান ১৫ জন এমপির একজনও হয়তো নির্বাচিত হতে পারতেন না। বুদ্ধিজীবীরা এই অমোঘ সত্যটি আড়াল করে যাচ্ছেন কেন?
সাবেক রাষ্ট্রপতি জেনারেল এরশাদের বর্তমান বয়স ৮৫ বছর ও তার বেগমের বয়স ৮০ বছর। তারা ৯ বছর ক্ষমতায় থেকে ২৪ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকার গ্লানিতে ভুগছেন। তাদের অনেক দিনের খায়েস ছিল আবার ক্ষমতায় যাওয়ার। এরশাদ ২০১১ সাল থেকে ঘোষণা দিয়ে আসছেন ২০১৪-এর নির্বাচনে এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে ১৫১ আসন পেয়ে ক্ষমতায় যাবেন। আওয়ামী লীগের ভুলে এবং ২০ দলীয় জোটের নির্বাচন বর্জনের কারণে এই বৃদ্ধ জেনারেলের ভাগ্যে ২০১৩ সালে শিকে ছিঁড়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি যদি ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে এককভাবে নির্বাচন করতেন, তাহলে নির্বাচনী মাঠের যে ফাঁকা অবস্থা ছিল তাতে তার দলের পক্ষে ১৬০-১৭০টি আসনে জয়ী হওয়া অসম্ভব ছিল না। শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকা সত্ত্বেও মতিয়া চৌধুরী, শামসুল হক টুকু, কামাল মজুমদার, ইলিয়াস মোল্লা প্রমুখ কারচুপির আশ্রয় না নিলে অখ্যাত প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হতেন। কিন্তু এরশাদ নিজের ছোট ভাইসহ দলে তার বিশ্বস্ত অনুসারীদের বিভ্রান্ত করে আপস রোগে আক্রান্ত হয়ে সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হলেন। নিজের লোকদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়ে তিনি নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগকে ১৫৪টি আসন দিয়ে ক্ষমতাসীন করলেন কেন? তার এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী না দেয়া এবং নির্বাচনের মাধ্যমে তার বেগমকে বিরোধী দলের নেতা বানানোর প্রহসন বর্তমান সঙ্কটের একটা বড় কারণ। তাই তাকে বর্তমান সঙ্কট মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
আল্লাহ এরশাদকে অনেক হায়াত দিয়েছেন। একজন রাজনীতিবিদের ৫৮ বছর চাকরি, ৩৩ বছর রাজনীতিতে বিচরণ কম কথা নয়। তিনি সঙ্কট মোচনে ভূমিকা না রেখে ২০১৯ পর্যন্ত কিভাবে সরকারে থাকা যায়, সেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, যা জনগণের কাছে মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। ২০১৯ সালে তার বয়স হবে ৯০ বছর ও তার স্ত্রীর বয়স হবে ৮৫ বছর। একজন বাঙালি ৯০ বছর বেঁচে থাকলেও নেতৃত্বদানের মতো শারীরিক সক্ষমতা থাকে না। এর বড় উদাহরণ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু, কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ট্রো এবং ইন্দোনেশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট সুহার্তো। এরশাদ যদি ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচনের সংসদ থেকে দলবল নিয়ে পদত্যাগ করে বেরিয়ে এসে জনগণের কাতারে শামিল হন, তাহলে তার অতীত কলঙ্কের কিছুটা হলেও মোচন হবে।
সিদ্ধান্ত নিতে হবে তিনি জনগণের সাথে থেকে নন্দিত হবেন, না ভোটারবিহীন নির্বাচিত ব্যক্তিদের সাথে থেকে জননিন্দিত হবেন। তিনি যদি জীবন সায়াহ্নে এসে নিজের বিবেকের কাছে জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে নিজেই জবাব পেয়ে যাবেন, এই মুহূর্তে তাকে কী করতে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৯৯৪ সালে সংসদ থেকে যে ১৪৭ জন এমপি পদত্যাগ করেছিলেন, তাদের মধ্যে বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বর্তমান মন্ত্রিসভার বেশির ভাগ মন্ত্রী, যেমন- তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, রাশেদ খান মেনন, শাহজাহান খান এবং সেই সাথে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছাড়াও জেনারেল এরশাদের দলের ৩৫ জন এমপি। আবার তারাই ২০১১ সালে সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করতে পারেন কোন নৈতিক যুক্তিতে? কোন সংসদীয় রীতিনীতি মোতাবেক একই দাবিতে সংসদ থেকে পদত্যাগ এবং ওই দাবি পাস হওয়ার পর সংসদে তা বাতিলের পক্ষে ভোট দেয়া হলো?
চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চেয়ে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে উপহার দিয়ে দেশে ইতিহাস সৃষ্টি করবেন।’ বিরোধী দল বলল, এটা সম্ভব নয়। ২০১৪-এর ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে কী তামাশা দেখা গেল, তা সবাই জানে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে ৬৩ শতাংশ, ’৯৬-এর নির্বাচনে ৬৬ শতাংশ, ২০০১-এর নির্বাচনে ৭৩ শতাংশ এবং ২০০৮-এর নির্বাচনে যেখানে ৮৯ শতাংশ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন, সেখানে ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৮০ শতাংশ হ্রাস পেয়ে তা মাত্র ৯ শতাংশে নেমে এলো কেন? যে সরকার পরাজয়ের আশঙ্কায় ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন আট বছর ধরে আটকিয়ে রেখেছে, সেই সরকারের কথিত জনপ্রিয়তার ধুয়া তুলে সব কিছু বৈধ করাকে জনগণ কিভাবে নিয়েছেন, তা একবার ভেবে দেখুন। ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচন যদি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হতো তাহলে ঢাকা শহরের বর্তমান ১৫ জন এমপির একজনও হয়তো নির্বাচিত হতে পারতেন না। বুদ্ধিজীবীরা এই অমোঘ সত্যটি আড়াল করে যাচ্ছেন কেন?
সাবেক রাষ্ট্রপতি জেনারেল এরশাদের বর্তমান বয়স ৮৫ বছর ও তার বেগমের বয়স ৮০ বছর। তারা ৯ বছর ক্ষমতায় থেকে ২৪ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকার গ্লানিতে ভুগছেন। তাদের অনেক দিনের খায়েস ছিল আবার ক্ষমতায় যাওয়ার। এরশাদ ২০১১ সাল থেকে ঘোষণা দিয়ে আসছেন ২০১৪-এর নির্বাচনে এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে ১৫১ আসন পেয়ে ক্ষমতায় যাবেন। আওয়ামী লীগের ভুলে এবং ২০ দলীয় জোটের নির্বাচন বর্জনের কারণে এই বৃদ্ধ জেনারেলের ভাগ্যে ২০১৩ সালে শিকে ছিঁড়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি যদি ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে এককভাবে নির্বাচন করতেন, তাহলে নির্বাচনী মাঠের যে ফাঁকা অবস্থা ছিল তাতে তার দলের পক্ষে ১৬০-১৭০টি আসনে জয়ী হওয়া অসম্ভব ছিল না। শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকা সত্ত্বেও মতিয়া চৌধুরী, শামসুল হক টুকু, কামাল মজুমদার, ইলিয়াস মোল্লা প্রমুখ কারচুপির আশ্রয় না নিলে অখ্যাত প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হতেন। কিন্তু এরশাদ নিজের ছোট ভাইসহ দলে তার বিশ্বস্ত অনুসারীদের বিভ্রান্ত করে আপস রোগে আক্রান্ত হয়ে সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হলেন। নিজের লোকদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়ে তিনি নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগকে ১৫৪টি আসন দিয়ে ক্ষমতাসীন করলেন কেন? তার এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী না দেয়া এবং নির্বাচনের মাধ্যমে তার বেগমকে বিরোধী দলের নেতা বানানোর প্রহসন বর্তমান সঙ্কটের একটা বড় কারণ। তাই তাকে বর্তমান সঙ্কট মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
আল্লাহ এরশাদকে অনেক হায়াত দিয়েছেন। একজন রাজনীতিবিদের ৫৮ বছর চাকরি, ৩৩ বছর রাজনীতিতে বিচরণ কম কথা নয়। তিনি সঙ্কট মোচনে ভূমিকা না রেখে ২০১৯ পর্যন্ত কিভাবে সরকারে থাকা যায়, সেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, যা জনগণের কাছে মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। ২০১৯ সালে তার বয়স হবে ৯০ বছর ও তার স্ত্রীর বয়স হবে ৮৫ বছর। একজন বাঙালি ৯০ বছর বেঁচে থাকলেও নেতৃত্বদানের মতো শারীরিক সক্ষমতা থাকে না। এর বড় উদাহরণ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু, কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ট্রো এবং ইন্দোনেশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট সুহার্তো। এরশাদ যদি ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচনের সংসদ থেকে দলবল নিয়ে পদত্যাগ করে বেরিয়ে এসে জনগণের কাতারে শামিল হন, তাহলে তার অতীত কলঙ্কের কিছুটা হলেও মোচন হবে।
সিদ্ধান্ত নিতে হবে তিনি জনগণের সাথে থেকে নন্দিত হবেন, না ভোটারবিহীন নির্বাচিত ব্যক্তিদের সাথে থেকে জননিন্দিত হবেন। তিনি যদি জীবন সায়াহ্নে এসে নিজের বিবেকের কাছে জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে নিজেই জবাব পেয়ে যাবেন, এই মুহূর্তে তাকে কী করতে হবে।
No comments