‘এখন কী করে চলব’ -হাটহাজারীতে পেট্রলবোমায় দগ্ধ দুই ব্যক্তি by সুজন ঘোষ
(অন্ধকার নেেম এসেছে ছবি নাথের জীবনে। তাঁর স্বামী দিনমজুর রণজিৎ গত বুধবার রাতে দুর্বৃত্তের ছোড়া পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়েছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বারান্দায় কাঁদছেন ছবি নাথ (বাঁয়ে)। ভাতিজাকে িকছু একটা বলার চেষ্টা করছেন একই ঘটনায় দগ্ধ অটোরিকশাচালক সাবের আহমেদ l ছবি: প্রথম আলো) দিনমজুর
রণজিৎ নাথের প্রায় পুরো শরীর পেট্রলবোমায় ঝলসে গেছে। তাঁকে রাখা হয়েছে
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। আইসিইউ
থেকে বের হয়ে রণজিৎ নাথের স্ত্রী ছবি নাথ বলেন, ‘আমরা দুজনে
(স্বামী-স্ত্রী) মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাই। তাঁর (রণজিৎ)
চিকিৎসার খরচ কোথা থেকে জোগাড় করব আমি? আমরা এখন কী করে চলব?
স্বামী-সন্তান ছাড়া আমার আর কেউ নেই।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে হাসপাতালে রণজিৎকে দেখার পর তাঁর ভাগনি সরস্বতী নাথ প্রথম আলোকে জানান, মামার মুখ এমনভাবে পুড়েছে যে তাঁকে চেনা যাচ্ছে না। এভাবে কেউ কাউকে পোড়াতে পারে, তা কল্পনায়ও ভাবা অসম্ভব।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বুড়ির পুকুরপাড় এলাকায় গত বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পেট্রলবোমা হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে অটোরিকশাচালক সাবের আহমেদ (২৮) ও যাত্রী রণজিৎ নাথ (৩২) গুরুতর দগ্ধ হন।
আহত দুজনের স্বজনেরা জানান, হামলার পর স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে নাজিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে রাত ১২টার দিকে তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রণজিৎ নাথকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক মিশমা ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, আগুনে রণজিৎ নাথের ৮২ শতাংশ ও সাবের আহমেদের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে রণজিতের অবস্থা বেশি খারাপ। তাই তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
রণজিতের বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুরে। তাঁর দুই সন্তানের মধ্যে মেয়ে শান্তি নাথ তৃতীয় শ্রেণিতে ও ছেলে প্রান্ত নাথ প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।
স্ত্রী ছবি নাথ বলেন, ‘কোনো রকম সংসার চালাতে পারলেও সন্তানদের পড়ালেখার খরচ জোগাড় করতে পারি না। এখন তাদের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাবে।’
স্বজনেরা জানান, হাটহাজারীর চারিয়া এলাকায় বড় বোন শেফালী নাথের বাড়িতে বুধবার সকালে যান রণজিৎ। রাতে আরেক আত্মীয়র বাড়িতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের পেট্রলবোমা হামলার শিকার হন তিনি।
আইসিইউর বারান্দা থেকে বার্ন ইউনিটে গিয়ে দেখা যায়, পেট্রলবোমায় সাবেরের মুখ ঝলসে গেছে। গলা থেকে কোমর পর্যন্ত ব্যান্ডেজে মোড়ানো। তাঁর বেডের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন বড় ভাই অলি আহমেদ ও ভাতিজা।
অলি আহমেদ জানান, অটোরিকশায় গ্যাস ভরে হাটহাজারী থেকে নাজিরহাট যাচ্ছিলেন সাবের। চারিয়ার বুড়ির পুকুরপাড় এলাকায় পৌঁছানোর পর চার-পাঁচজন যুবক গাড়ি লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা ছুড়ে মারে। ওই সময় গাড়িতে সাবেরসহ পাঁচজন ছিলেন। পেছনের আসনে থাকা তিনজন যাত্রী কোনোভাবে রক্ষা পেলেও সাবের ও তাঁর পাশে বসা রণজিৎ আগুনে পুড়ে যান।
অলি আহমেদ জানান, মাত্র মাস খানেক আগে কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন সাবেরের স্ত্রী কুমরুন নাহার। এখনো পুরোপুরি সুস্থ হননি। স্বামীর অবস্থা জানতে একটু পর পর ফোন করছেন তিনি। কিন্তু সাবের ভালোভাবে কথা বলতে পারছেন না। তিনি জানান, টাকার অভাবে আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে ধার করে চলছে সাবেরের চিকিৎসা। তাঁদের বাড়ি ফটিকছড়ির দমদমা গ্রামে। সেখানেই স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকেন সাবের।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল প্রথম আলোকে জানান, অটোরিকশায় পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জামায়াত-শিবিরের ১২ জন ও বিএনপির চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে হাসপাতালে রণজিৎকে দেখার পর তাঁর ভাগনি সরস্বতী নাথ প্রথম আলোকে জানান, মামার মুখ এমনভাবে পুড়েছে যে তাঁকে চেনা যাচ্ছে না। এভাবে কেউ কাউকে পোড়াতে পারে, তা কল্পনায়ও ভাবা অসম্ভব।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বুড়ির পুকুরপাড় এলাকায় গত বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পেট্রলবোমা হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে অটোরিকশাচালক সাবের আহমেদ (২৮) ও যাত্রী রণজিৎ নাথ (৩২) গুরুতর দগ্ধ হন।
আহত দুজনের স্বজনেরা জানান, হামলার পর স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে নাজিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে রাত ১২টার দিকে তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রণজিৎ নাথকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক মিশমা ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, আগুনে রণজিৎ নাথের ৮২ শতাংশ ও সাবের আহমেদের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে রণজিতের অবস্থা বেশি খারাপ। তাই তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
রণজিতের বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুরে। তাঁর দুই সন্তানের মধ্যে মেয়ে শান্তি নাথ তৃতীয় শ্রেণিতে ও ছেলে প্রান্ত নাথ প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।
স্ত্রী ছবি নাথ বলেন, ‘কোনো রকম সংসার চালাতে পারলেও সন্তানদের পড়ালেখার খরচ জোগাড় করতে পারি না। এখন তাদের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাবে।’
স্বজনেরা জানান, হাটহাজারীর চারিয়া এলাকায় বড় বোন শেফালী নাথের বাড়িতে বুধবার সকালে যান রণজিৎ। রাতে আরেক আত্মীয়র বাড়িতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের পেট্রলবোমা হামলার শিকার হন তিনি।
আইসিইউর বারান্দা থেকে বার্ন ইউনিটে গিয়ে দেখা যায়, পেট্রলবোমায় সাবেরের মুখ ঝলসে গেছে। গলা থেকে কোমর পর্যন্ত ব্যান্ডেজে মোড়ানো। তাঁর বেডের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন বড় ভাই অলি আহমেদ ও ভাতিজা।
অলি আহমেদ জানান, অটোরিকশায় গ্যাস ভরে হাটহাজারী থেকে নাজিরহাট যাচ্ছিলেন সাবের। চারিয়ার বুড়ির পুকুরপাড় এলাকায় পৌঁছানোর পর চার-পাঁচজন যুবক গাড়ি লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা ছুড়ে মারে। ওই সময় গাড়িতে সাবেরসহ পাঁচজন ছিলেন। পেছনের আসনে থাকা তিনজন যাত্রী কোনোভাবে রক্ষা পেলেও সাবের ও তাঁর পাশে বসা রণজিৎ আগুনে পুড়ে যান।
অলি আহমেদ জানান, মাত্র মাস খানেক আগে কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন সাবেরের স্ত্রী কুমরুন নাহার। এখনো পুরোপুরি সুস্থ হননি। স্বামীর অবস্থা জানতে একটু পর পর ফোন করছেন তিনি। কিন্তু সাবের ভালোভাবে কথা বলতে পারছেন না। তিনি জানান, টাকার অভাবে আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে ধার করে চলছে সাবেরের চিকিৎসা। তাঁদের বাড়ি ফটিকছড়ির দমদমা গ্রামে। সেখানেই স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকেন সাবের।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল প্রথম আলোকে জানান, অটোরিকশায় পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জামায়াত-শিবিরের ১২ জন ও বিএনপির চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
No comments