নেতানিয়াহুর বক্তব্যে ইরান সম্পর্কে নতুন কিছু নেই
ইরানের সঙ্গে অব্যাহত আলোচনার মাধ্যমে চুক্তি অনুষ্ঠিত হলে তা দেশটিকে পারমাণবিক বোমা তৈরির পথ করে দেবে বলে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মন্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
তিনি নেতানিয়াহুর ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে বলেন, ‘তার বক্তব্য আমি শুনিনি। তবে সেটির ট্রান্সক্রিপ্ট দেখে নতুন কিছু পাইনি।’ নেতানিয়াহু তার বক্তব্যে তেহরানের সঙ্গে সমঝোতার জন্য বাস্তবসম্মত কোনো বিকল্প পথ দেখাননি। ওবামা আরও বলেন, নেতানিয়াহুর সঙ্গে তিনি দেখা করবেন না। কারণ নেতানিয়াহু মার্চে অনুষ্ঠেয় তার দেশের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে সিনিয়র ডেমোক্রেট নেতারাও নেতানিয়াহুর বক্তব্যের সমালোচনায় সরব হয়েছেন। ওবামা বলেন, নেতানিয়াহু সমস্যা সমাধানের কোনো গ্রহণযোগ্য বিকল্প প্রস্তাব দিতে পারেননি। তিনি যে প্রস্তাব দিয়েছেন সেটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কারণ এর মাধ্যমে আমাদের অগোচরে নতুন করে পারমাণবিক কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার সুযোগ পাবে ইরান। ওবামা আরও বলেন, ইরানকে কোনো ভালো বিকল্প পথ না দিয়ে শুধু নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা যাবে না। অপরদিকে ডেমোক্রেট কংগ্রেসম্যান স্টিভ কোহেন বলেছেন, নেতানিয়াহু যে নাটক উপস্থাপন করেছেন তাতে তিনি অস্কার পেতে পারেন। তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় নেতানিয়াহু সম্ভবত তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য সফল হয়েছেন। আমি নিশ্চিত, তার এ বক্তব্য ইসরাইলের আসন্ন নির্বাচনে বেশ ভূমিকা রাখবে।
ডেমোক্রেট সিনেটর ডায়ানে ফিনস্টেইন বলেছেন, আমি আশা করছি, নেতানিয়াহুর এ বক্তব্যের কারণে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির সম্ভাবনা নস্যাৎ হবে না।
এর আগে নেতানিয়াহু তার ভাষণে বলেন, এটা (অনুষ্ঠিতব্য চুক্তি) ইরানের বোমা তৈরির পথ বন্ধ করবে না, বরং এটা ইরানকে বোমা তৈরির পথ করে দেবে। বিশ্ববাসীকে ইরানের বিরুদ্ধে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে যুদ্ধবাজ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করা ইসরাইলি এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইরানের বিজয়যাত্রা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা বলে আসছি, বাজে চুক্তির চেয়ে কোনো চুক্তি না হওয়াই ভালো। এটা একটি বাজে চুক্তি, খুবই বাজে চুক্তি। প্রসঙ্গত, শিগগিরই ইরানের পরমাণু ইস্যুতে বিশ্বের শক্তিধর ছয় রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন ও জার্মানির সঙ্গে দেশটির একটি চুক্তি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। চুক্তি স্বাক্ষর বন্ধ করার উদ্দেশ্যে সর্বাÍক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এরই ধারাবাহিকতায় রিপাবলিকানদের আমন্ত্রণে হোয়াইট হাউসের বিরোধিতা সত্ত্বেও কংগ্রেসে এ ভাষণ দিলেন নেতানিয়াহু। তবে তিনি এই সফরে প্রেসিডেন্ট ওবামার সাক্ষাৎ পাবেন না। বিবিসি, আলজাজিরা, এএফপি।
তিনি নেতানিয়াহুর ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে বলেন, ‘তার বক্তব্য আমি শুনিনি। তবে সেটির ট্রান্সক্রিপ্ট দেখে নতুন কিছু পাইনি।’ নেতানিয়াহু তার বক্তব্যে তেহরানের সঙ্গে সমঝোতার জন্য বাস্তবসম্মত কোনো বিকল্প পথ দেখাননি। ওবামা আরও বলেন, নেতানিয়াহুর সঙ্গে তিনি দেখা করবেন না। কারণ নেতানিয়াহু মার্চে অনুষ্ঠেয় তার দেশের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে সিনিয়র ডেমোক্রেট নেতারাও নেতানিয়াহুর বক্তব্যের সমালোচনায় সরব হয়েছেন। ওবামা বলেন, নেতানিয়াহু সমস্যা সমাধানের কোনো গ্রহণযোগ্য বিকল্প প্রস্তাব দিতে পারেননি। তিনি যে প্রস্তাব দিয়েছেন সেটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কারণ এর মাধ্যমে আমাদের অগোচরে নতুন করে পারমাণবিক কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার সুযোগ পাবে ইরান। ওবামা আরও বলেন, ইরানকে কোনো ভালো বিকল্প পথ না দিয়ে শুধু নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা যাবে না। অপরদিকে ডেমোক্রেট কংগ্রেসম্যান স্টিভ কোহেন বলেছেন, নেতানিয়াহু যে নাটক উপস্থাপন করেছেন তাতে তিনি অস্কার পেতে পারেন। তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় নেতানিয়াহু সম্ভবত তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য সফল হয়েছেন। আমি নিশ্চিত, তার এ বক্তব্য ইসরাইলের আসন্ন নির্বাচনে বেশ ভূমিকা রাখবে।
ডেমোক্রেট সিনেটর ডায়ানে ফিনস্টেইন বলেছেন, আমি আশা করছি, নেতানিয়াহুর এ বক্তব্যের কারণে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির সম্ভাবনা নস্যাৎ হবে না।
এর আগে নেতানিয়াহু তার ভাষণে বলেন, এটা (অনুষ্ঠিতব্য চুক্তি) ইরানের বোমা তৈরির পথ বন্ধ করবে না, বরং এটা ইরানকে বোমা তৈরির পথ করে দেবে। বিশ্ববাসীকে ইরানের বিরুদ্ধে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে যুদ্ধবাজ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করা ইসরাইলি এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইরানের বিজয়যাত্রা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা বলে আসছি, বাজে চুক্তির চেয়ে কোনো চুক্তি না হওয়াই ভালো। এটা একটি বাজে চুক্তি, খুবই বাজে চুক্তি। প্রসঙ্গত, শিগগিরই ইরানের পরমাণু ইস্যুতে বিশ্বের শক্তিধর ছয় রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন ও জার্মানির সঙ্গে দেশটির একটি চুক্তি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। চুক্তি স্বাক্ষর বন্ধ করার উদ্দেশ্যে সর্বাÍক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এরই ধারাবাহিকতায় রিপাবলিকানদের আমন্ত্রণে হোয়াইট হাউসের বিরোধিতা সত্ত্বেও কংগ্রেসে এ ভাষণ দিলেন নেতানিয়াহু। তবে তিনি এই সফরে প্রেসিডেন্ট ওবামার সাক্ষাৎ পাবেন না। বিবিসি, আলজাজিরা, এএফপি।
No comments