এখনো জরুরি অবস্থার পরিস্থিতি হয়নি : সংসদে প্রধানমন্ত্রী, দেশে অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে : ড. কামাল
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের জানমাল নিরাপত্তার জন্য আমরা যথাযথ
ব্যবস্থা নিয়েছি। এখনো দেশে ইমার্জেন্সি দেবার মতো পরিস্থিতি হয়নি। তিনি
বলেন, টক শো করে নানাভাবে এসব স্বপ্ন দেখে কোন লাভ হবেনা। দেশকে আবার ওই
ধরণের অসাংবিধানিক পন্থায় আমরা কখনো ছেড়ে দিতে দেবনা এবং জনগনও এটা চায় না।
আর কেউ যদি এটা করতে চায় জনগনই রুখে দেবে, এতে কোন সন্দেহ নেই।
বুধবার বিকেলে সংসদে প্রশ্নোত্তরে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরীর এক সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিকালে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়াার সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
তাজুল ইসলাম চৌধুরী অভিযোগ করেন টকশোতে আন্দোলনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম উসকানি দেয়া হচ্ছে এবং মদদ দেয়া হচ্ছে। এগুলো বন্ধে প্রধানমন্ত্রী পদক্ষেপ নেবেন কিনা জানতে চান তিনি।
জবাবে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা টক শো করে তাদের শুভ বুদ্ধি হবে কিনা বা বুদ্ধির গোড়ায় ধোয়াটা কে দেবে। কারণ তাদের টার্গেটতো আমি। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে আমার বিরুদ্ধেই বেশী বলে যেটা আমি দেখি। কাজেই এটা কে তাদেরকে বুঝাবে। এর মধ্যে কিছু লোক আছে তারা বসে আছে গতান্ত্রিক নীতি ব্যবস্থা থাকলে উনাদের খুব একটা ভালো লাগেনা। অসাংবিধানিকভাবে পন্থায় ক্ষমতায় আসলে তাদের গুরত্ব বাড়ে। কখনোই অসাংবিধানিক পন্থা আনা যায় কিনা সেই চেষ্টায়ই ব্যস্ত। কিন্তু ভুলে গেছেন তারা যে এবারের পার্লামেন্টে সংবিধানের সংশোধন করে ৭ম অনুচ্ছেদে যে খ ধারা যুক্ত হয়েছে সেই খ ধারায় স্পষ্ট লেখা আছে কেউ যদি সংবিধান লংঘন করে ক্ষমতা দখল করে তাহলে শান্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য করা হবে এমকি এখানে ক্যাপিটাল পানিসমেন্টেরও ব্যবস্থা আছে।
৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যার পর বাাংলাদেশে বাংলাদেশে বার বার ক্যু হয়েছে। প্রায় ১৮/১৯টা ক্যু হয়েেেছ এই বাংলাদেশে। বহু মানুষ মারা গেছে। বহু হতাহত হয়েছে। আমরা চাইনা এই দেশে আর ওই ধরনের ঘটনা ঘটুক। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল ৯১ থেকে ৯৬ সালে তাদের অপকর্মের কারনে অথবা ৮১, সাল থেকে ৮২ সাল পর্যন্ত এরপর ৭৬ সাল থেকে ৮২ সাল পর্যন্ত বিএনপি যখন ক্ষমতায় তখন তাদের অপকর্মের কারণে এদেশে মার্শাল এসেছে, এদেশে অসাংবিধানিতক পন্থা এসেছে। আর ৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যার পর তখন মার্শাল জারি করে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবেে ক্ষমতা দখল করেছে। ঠিক ২০০১ থেকে ২০০৬ বিএনপি ক্ষমতায় তাদের দু:শাসন জঙ্গীবাদী কর্মকান্ড তাদের কারণেই আবার সেই ২০০৭ সালে এক এগার এর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ইমার্জেন্সি দেয়া হয়েছে। একটা কথা বিএনপি ভুলে যায় অনেকেই বলে হয়ে যাচ্ছে ইমার্জেন্সি হয়ে যাচ্ছে। ইমার্জেন্সি লাগবে কেন ? আইন শৃংখলা রক্ষাকারি সংস্থা আছে। কিভাবে এধরণের সন্ত্রাস দমাতে হয় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জনগন যখন আমাদের সাথে আবশ্যই আমরা এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইয়াজ উদ্দিন সাহেব ইমার্জেন্সি দিতে পেরেছিলেন কারণ তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উনি নিজে অথ্যাৎ এক্সিকিউটিভ হ্যাড অথ্যাৎ সরকার প্রধানও সে রাষ্ট্রপ্রধানও তিনি। এখন যদি ইমার্জেন্সি দিতে হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে লিখে দিতে হবে রাষ্ট্রপতিকে তখন রাষ্ট্রপতি ইমার্জেন্সি ঘোষনা করতে পারবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা ককটেল মারছে আইন শৃংখলা রক্ষাকারি সজাগ। ইতিমধ্যেই অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা হুকুমদাতা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং অর্থের যোগান কোথা থেকে আসছে, অর্থ কে দিচ্ছে সেটাও আমরা খুজে বের করছি।। আর গান পাউডার বিক্রি, খোলা পেট্রোল বিক্রি এগুলো নিয়ন্ত্রণ করছি। আমি নির্দেশ দিয়ে দিয়েছি খোলা পেট্রোল বিক্রি করতে পারবেনা, গান পাউডার কোথা থেকে আসছে সেটাও খোজা হবে। আর যেই বোতল করে ককটেলবানাে হচ্ছে সেই বোতল কোথায় তৈরী হচ্ছে সেটাও খুজে বের করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাজেই আমরা এখানে চুপ করে থাকিনাই। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে টক শো অলাদের ব্যাপারে জানিনা। টক কথা বলা তাদের অভ্যাস। বিরোধী দলকে ( জাতীয় পার্টি) বলবো টকশোঅলাদের ব্যাপারে আপনারাই যা পারেন বলেন।
বুধবার বিকেলে সংসদে প্রশ্নোত্তরে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরীর এক সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিকালে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়াার সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
তাজুল ইসলাম চৌধুরী অভিযোগ করেন টকশোতে আন্দোলনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম উসকানি দেয়া হচ্ছে এবং মদদ দেয়া হচ্ছে। এগুলো বন্ধে প্রধানমন্ত্রী পদক্ষেপ নেবেন কিনা জানতে চান তিনি।
জবাবে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা টক শো করে তাদের শুভ বুদ্ধি হবে কিনা বা বুদ্ধির গোড়ায় ধোয়াটা কে দেবে। কারণ তাদের টার্গেটতো আমি। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে আমার বিরুদ্ধেই বেশী বলে যেটা আমি দেখি। কাজেই এটা কে তাদেরকে বুঝাবে। এর মধ্যে কিছু লোক আছে তারা বসে আছে গতান্ত্রিক নীতি ব্যবস্থা থাকলে উনাদের খুব একটা ভালো লাগেনা। অসাংবিধানিকভাবে পন্থায় ক্ষমতায় আসলে তাদের গুরত্ব বাড়ে। কখনোই অসাংবিধানিক পন্থা আনা যায় কিনা সেই চেষ্টায়ই ব্যস্ত। কিন্তু ভুলে গেছেন তারা যে এবারের পার্লামেন্টে সংবিধানের সংশোধন করে ৭ম অনুচ্ছেদে যে খ ধারা যুক্ত হয়েছে সেই খ ধারায় স্পষ্ট লেখা আছে কেউ যদি সংবিধান লংঘন করে ক্ষমতা দখল করে তাহলে শান্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য করা হবে এমকি এখানে ক্যাপিটাল পানিসমেন্টেরও ব্যবস্থা আছে।
৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যার পর বাাংলাদেশে বাংলাদেশে বার বার ক্যু হয়েছে। প্রায় ১৮/১৯টা ক্যু হয়েেেছ এই বাংলাদেশে। বহু মানুষ মারা গেছে। বহু হতাহত হয়েছে। আমরা চাইনা এই দেশে আর ওই ধরনের ঘটনা ঘটুক। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল ৯১ থেকে ৯৬ সালে তাদের অপকর্মের কারনে অথবা ৮১, সাল থেকে ৮২ সাল পর্যন্ত এরপর ৭৬ সাল থেকে ৮২ সাল পর্যন্ত বিএনপি যখন ক্ষমতায় তখন তাদের অপকর্মের কারণে এদেশে মার্শাল এসেছে, এদেশে অসাংবিধানিতক পন্থা এসেছে। আর ৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যার পর তখন মার্শাল জারি করে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবেে ক্ষমতা দখল করেছে। ঠিক ২০০১ থেকে ২০০৬ বিএনপি ক্ষমতায় তাদের দু:শাসন জঙ্গীবাদী কর্মকান্ড তাদের কারণেই আবার সেই ২০০৭ সালে এক এগার এর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ইমার্জেন্সি দেয়া হয়েছে। একটা কথা বিএনপি ভুলে যায় অনেকেই বলে হয়ে যাচ্ছে ইমার্জেন্সি হয়ে যাচ্ছে। ইমার্জেন্সি লাগবে কেন ? আইন শৃংখলা রক্ষাকারি সংস্থা আছে। কিভাবে এধরণের সন্ত্রাস দমাতে হয় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জনগন যখন আমাদের সাথে আবশ্যই আমরা এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইয়াজ উদ্দিন সাহেব ইমার্জেন্সি দিতে পেরেছিলেন কারণ তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উনি নিজে অথ্যাৎ এক্সিকিউটিভ হ্যাড অথ্যাৎ সরকার প্রধানও সে রাষ্ট্রপ্রধানও তিনি। এখন যদি ইমার্জেন্সি দিতে হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে লিখে দিতে হবে রাষ্ট্রপতিকে তখন রাষ্ট্রপতি ইমার্জেন্সি ঘোষনা করতে পারবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা ককটেল মারছে আইন শৃংখলা রক্ষাকারি সজাগ। ইতিমধ্যেই অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা হুকুমদাতা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং অর্থের যোগান কোথা থেকে আসছে, অর্থ কে দিচ্ছে সেটাও আমরা খুজে বের করছি।। আর গান পাউডার বিক্রি, খোলা পেট্রোল বিক্রি এগুলো নিয়ন্ত্রণ করছি। আমি নির্দেশ দিয়ে দিয়েছি খোলা পেট্রোল বিক্রি করতে পারবেনা, গান পাউডার কোথা থেকে আসছে সেটাও খোজা হবে। আর যেই বোতল করে ককটেলবানাে হচ্ছে সেই বোতল কোথায় তৈরী হচ্ছে সেটাও খুজে বের করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাজেই আমরা এখানে চুপ করে থাকিনাই। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে টক শো অলাদের ব্যাপারে জানিনা। টক কথা বলা তাদের অভ্যাস। বিরোধী দলকে ( জাতীয় পার্টি) বলবো টকশোঅলাদের ব্যাপারে আপনারাই যা পারেন বলেন।
দেশে অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে : ড. কামাল
সংবিধান
বিশেষজ্ঞ বিশিষ্ট আইনজীবি ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন দেশে
অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে মন্তব্য করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস্ত্র
ঘটনার নেপথ্যে কারা রয়েছে তাদের অবিলম্বে খুঁজে বের করার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সরকার আসল অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে পরস্পরের
বিরুদ্ধে দোষারোপের রাজনীতি শুরু করছে।
ড. কামাল বলেন, কারা পেট্রল বোমা মারছে কে এগুলো বানাচ্ছে তাদের খুঁজে বের করে সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে তারা মনে করছে আমরা ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছি। তিনি সকলকে বাড়ির ছাদে গিয়ে একযোগে স্বৈরাচার নিপাত যাক শ্লোগান দেয়ার আহবান জানান ।
ড. কামাল বলেন, এখন যা চলছে তা হলো প্রতারণার রাজনীতি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে সকাল তেকে রাত পর্যন্ত জাতির সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে।
গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মরহুম সাইফউদ্দিন আহমেদ মানিক এর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার ইডেন কমপ্রেক্সে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্মরণসভায় ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।
ড. কামাল বলেন, কারা পেট্রল বোমা মারছে কে এগুলো বানাচ্ছে তাদের খুঁজে বের করে সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে তারা মনে করছে আমরা ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছি। তিনি সকলকে বাড়ির ছাদে গিয়ে একযোগে স্বৈরাচার নিপাত যাক শ্লোগান দেয়ার আহবান জানান ।
ড. কামাল বলেন, এখন যা চলছে তা হলো প্রতারণার রাজনীতি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে সকাল তেকে রাত পর্যন্ত জাতির সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে।
গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মরহুম সাইফউদ্দিন আহমেদ মানিক এর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার ইডেন কমপ্রেক্সে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্মরণসভায় ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।
No comments