মার্কিন-ভারত আঁতাত ও ভারত-চীন সম্পর্ক by বদরুদ্দীন উমর

ভারতের মোদি সরকার কর্তৃক প্রথম একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ এবং গত ২৬ জানুয়ারি সে অনুষ্ঠানে ওবামার উপস্থিতি নিয়ে ভারতের ও সেই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রচারমাধ্যম খুব গরম হয়েছিল। গরম হওয়ার কারণও ছিল। কারণ এই প্রথমবার বিশ্বে ঠাণ্ডা যুদ্ধের অবসানের পর ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এক দীর্ঘমেয়াদি স্ট্র্যাটেজিক সম্পর্কে জড়িত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে এ চুক্তির উদ্দেশ্য দক্ষিণ এশিয়া থেকে নিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল পর্যন্ত চীনের ক্রমবর্ধমান আধিপত্য এবং অগ্রগতি রোধ করা। এ সম্পর্কিত চুক্তিতে কংগ্রেসের মনমোহন সিং সরকার শেষ পর্যন্ত সম্মত হয়নি। কিন্তু মোদি ও তার দল বিজেপি এবং তাদের আদর্শিক নেতা আরএসএস স্বাভাবিকভাবে এ ধরনের চুক্তির পক্ষপাতী বরাবর থেকেছে, যদিও ২০০২ সালে গুজরাটে মোদি সরকার কর্তৃক এক বিরাট গণহত্যার মাধ্যমে হাজার হাজার নিরীহ মুসলমানকে হত্যার পর বিশ্ব জনমত মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হওয়ার কারণে আমেরিকাও মোদির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন না করে তার বিরোধিতা করেছিল। এমনকি মোদিকে তারা আমেরিকার ভিসা পর্যন্ত দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল। তবে মূলত দুই কারণে মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই অবস্থার পরিবর্তন হয়। প্রথমত, চীনের অগ্রগতি ও আধিপত্য প্রতিহত করার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তাগিদ এবং দ্বিতীয়ত, আমেরিকায় প্রভাবশালী গুজরাটি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গে মোদির দীর্ঘদিনের যোগাযোগ ও সম্পর্ক। মোদি তার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় প্রেসিডেন্ট ওবামাকে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো এবং তাৎক্ষণিকভাবে ওবামা কর্তৃক সে আমন্ত্রণ গ্রহণ ছিল ভারত-মার্কিন সম্পর্কের মোড় পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এক বড় পদক্ষেপ। ওবামা দিলি্লতে এসে ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি করেন, তাতে বিগত কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে আমেরিকার এক ধরনের শীতল সম্পর্কের অবসান তো ঘটেই, উপরন্তু আপাতদৃষ্টিতে এই সম্পর্ক প্রথমবারের মতো দৃঢ়ভাবে স্থাপিত হয়। ভারত এই অঞ্চলে এখন পরিণত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজিক মিত্রে। এজন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের গাঁটছড়ার সম্পর্ক যথেষ্ট শিথিল করতেও অসুবিধাবোধ করেনি। ভারত সফরের সময় ওবামা ভারতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সন্ত্রাসবাদ ও সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে একাধিকবার পাকিস্তানকে যে ভাষায় সতর্ক করেন, সেটা ছিল এক অদৃষ্টপূর্ব ব্যাপার। বেশ নাটকীয়ভাবেই ভারত-মার্কিন সম্পর্কের এই পরিবর্তন দেখা যায়। বন্ধুত্ব তো দূরের কথা, পূর্বে মোদি এবং ওবামার মধ্যে কোনো যোগাযোগ ও সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও মোদি তার বিভিন্ন বক্তৃতায় ওবামার উপস্থিতিতে তাকে 'বারাক' বলে তার প্রথম নামে যেভাবে ১৯ বার সম্বোধন করেন (যা একমাত্র খুব নিকট বন্ধুর পক্ষেই স্বাভাবিক), সেটা ছিল এক বিস্ময়কর ব্যাপার। এভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতো একজন সদ্য পরিচিত ব্যক্তিকে সম্বোধন করতে যাওয়ার মধ্যে মোদির গ্রাম্য সংস্কৃতির পরিচয় যাই থাকুক, ওটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার হঠাৎ বন্ধুত্বের বিষয়টি সামনে আনার ব্যাপারটি জানান দেওয়ার জন্যই তিনি এ কাজ করেন। কিন্তু এসব সত্ত্বেও যেসব চুক্তি মোদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্বাক্ষর করেন, তাতে এ দুই দেশ নতুন গাঁটছড়ায় আবদ্ধ হলেও এর মধ্যে ভারতের অধস্তন অবস্থানই স্পষ্ট হয়। প্রেসিডেন্ট ওবামা আলোচনার জন্য এক বড় তালিকা নিয়ে এলেও উভয়ের মধ্যে আলোচনায় চীন প্রশ্নই অগ্রাধিকারে ছিল। তাদের মধ্যকার আলোচনায় তারা ৪৫ মিনিট চীন প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করেন। এর মধ্যে ভারতকে এই অঞ্চলে চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে খাড়া করার চেষ্টাই ছিল, যে চেষ্টা আমেরিকা পূর্ববর্তী সরকারের আমলেও করেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মাত্রাতিরিক্ত উৎসাহে চীনকে প্রতিহত করার ব্যাপারে মোদি ওবামার সঙ্গে একমত হন। এই পরিস্থিতিতে চীনা প্রেসিডেন্ট প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ভারতীয় প্রেসিডেন্টের কাছে এক শুভেচ্ছাবাণীতে ভারতকে সতর্ক করে দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফাঁদে না পড়ার কথা বলেন। ভারত-মার্কিন এই আঁতাতের পরিণতিতে দক্ষিণ এশিয়াসহ সমগ্র এশিয়ায় এক নতুন মেরুকরণের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যে পাকিস্তানের সঙ্গে রাশিয়ার দীর্ঘদিনের প্রায়-শত্রুতার সম্পর্ক ছিল, তা পরিবর্তিত হয়ে এখন উভয়ের মধ্যে এক নতুন মৈত্রী স্থাপিত হওয়ার শর্ত পূরণ হয়েছে। তাদের মধ্যে বাণিজ্যিক ও সামরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। তাছাড়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী তৎপরতা এবং ইউক্রেন নিয়ে মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে চীন-রাশিয়া সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ ও দৃঢ় হয়েছে। এই সমগ্র অঞ্চলে ভারত-মার্কিন নতুন সম্পর্কের বিপরীতে চীন-রাশিয়া-পাকিস্তান এক ধরনের জোট হিসেবে আবির্ভূত হতে চলেছে। এটা ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের বিরাট অবনতি ঘটিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সেটা যে ভারতের জন্য খুব সুবিধাজনক ব্যাপার নয়, তা বলাই বাহুল্য। অন্যদিকে ভারত-মার্কিন নতুন সম্পর্ক নিয়ে ভারতের সরকারি মহলে যে জয়জয়কার হচ্ছে, তার মধ্যেও অনেক ফাঁক আছে। ওবামা ও মোদি অনেক চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। ভারতকে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ তৈরির ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তি ও বাণিজ্যিক সহায়তা প্রদান করবে। দেশ রক্ষণ বিষয়ক একটি চুক্তি দশ বছরের জন্য নবায়ন করা হয়েছে। পারমাণবিক দায়বদ্ধতা বিষয়ক চুক্তি এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে প্রযুক্তিগত কোনো ত্রুটির জন্য কোনো দুর্ঘটনাজনিত ক্ষয়ক্ষতির দায়িত্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেবে না। এ ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের জন্য ভারত সরকারিভাবে একটি পৃথক তহবিল তৈরির ব্যবস্থা করবে। অর্থাৎ পারমাণবিক দুর্ঘটনায় ক্ষতি হলে সেটা পূরণের দায়ভার ভারতের ট্যাক্সদাতাদেরকেই বহন করতে হবে। পূর্ববর্তী ভারত সরকার এ ধরনের কোনো চুক্তিতে সম্মত না হলেও মোদি সরকার এই অধীনতামূলক চুক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে করেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ক্ষতিপূরণের বিষয়টির উল্লেখ থাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের করপোরেশনগুলো ভারতকে পারমাণবিক চুলি্ল বিক্রি করতে সম্মত হবে এমন কোনো নিশ্চয়তা যে নেই, এটা তাদের কথাবার্তা থেকে পরিষ্কার। তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে চুলি্লগুলো দেওয়ার কথা, সেগুলো এখনও পরীক্ষিত নয়। বেসরকারি হিসাব মতে, এগুলো থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে, তার মূল্য দাঁড়াবে বর্তমান মূল্যের থেকে তিনগুণ বেশি। বর্তমানের ইউনিটপ্রতি পাঁচ রুপির পরিবর্তে ১৫ রুপি। পরিবেশ সংক্রান্ত কোনো চুক্তি উভয়ের মধ্যে হয়নি, যদিও ওবামা সে চেষ্টা করেছিলেন। এতদিন পর্যন্ত শিল্পে কার্বন নিয়ন্ত্রণ বিরোধিতা করে এসেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ব্রাজিল ও ভারত। তারা কিউটো চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেনি। বর্তমানে পরিবেশের উত্তাপ বৃদ্ধি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে এবং ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্করভাবে বিপজ্জনক হওয়ার সম্ভাবনা দেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য তিনটি দেশ কার্বন নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে সম্মত হওয়া সত্ত্বেও ভারত এখনও তার তীব্র বিরোধী। তাদের জ্বালানি সমস্যা আছে। কয়লা হলো তাদের জ্বালানির এক বড় উৎস। কাজেই জ্বালানি উৎপাদনের জন্য কয়লার ব্যবহার কমিয়ে আনা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ভারতে কয়লার ওপর এই নির্ভরতার মূল কারণও ভারতের ওপর আমেরিকার চাপ। ইরান-পাকিস্তান-ভারত গ্যাস লাইনের যে চুক্তি ইরান ও পাকিস্তানের সঙ্গে চূড়ান্ত করার কথা ছিল সেটা ভারতকে বাতিল করতে হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে। মনমোহন সরকার শেষ পর্যন্ত চুক্তি স্বাক্ষর থেকে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিল। সেটা না হলে ইরানের গ্যাস ভারতের জ্বালানি প্রয়োজন অনেকখানি মিটিয়ে তাদের কয়লা-নির্ভরতা কমিয়ে আনতে পারত। কিন্তু তা সত্ত্বেও এটা বলা চলে যে, মোদি সরকার যদি পরিবেশ দূষণ গঠিত যে বিপদ সমগ্র মানবজাতিকে ধ্বংসের মুখে এগিয়ে দিচ্ছে, সে বিষয়ে সচেতন হতো এবং ভারতীয় পুঁজির মহাখেদমতগার না হতো, তাহলে অন্য তিনটি দেশের মতো তারাও কয়লার ব্যবহার কমিয়ে জ্বালানি উৎপাদনের অন্য উপায় অবলম্বন করত। কিন্তু গণবিরোধী ও বড় পুঁজির খেদমতগার হিসেবে মোদি সরকার কর্তৃক অন্য উপায়ের সন্ধান করার ক্ষমতা পর্যন্ত নেই। ভারত-মার্কিন নতুন সম্পর্ক স্থাপন এবং এ নিয়ে ভারত সরকারের দামামা বাজানো সত্ত্বেও ভারত সফরের শেষ দিনে ভারতে সাম্প্রদায়িকতা ও সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে তাদের অনুসৃত নীতি সম্পর্কে ওবামা যা বলে গেছেন, সেটা মোদির মুখে এক চপেটাঘাত ছাড়া আর কিছু নয়। সফরের তৃতীয় ও শেষ দিনে ভারত ত্যাগের আগে তিনি ছাত্রদের এক সভায় বক্তৃতা প্রসঙ্গে বলেন, ভারত যদি জনগণকে ধর্মীয় স্বাধীনতা না দেয় এবং অন্য ধর্মের প্রতি সহিষ্ণু না হয়, তাহলে তার সাফল্যের কোনো সম্ভাবনা নেই। ভারতে মুসলমান, খ্রিস্টানসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মোদি সরকার এবং আরএসএসের সংঘ পরিহারভুক্ত চরম সাম্প্রদায়িক দলগুলো যে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে, বিভিন্ন রাজ্যে যেভাবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাচ্ছে এবং গরিব মুসলমান ও খ্রিস্টানদের জোর করে ধর্মান্তরণ করছে, তাতে মোদি সরকারের এই নীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ওবামার উপরোক্ত সতর্কীকরণের সেটাই হলো প্রধান কারণ। চীন-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে বলা দরকার যে, এখন চীনের সঙ্গেই হলো ভারতের সব থেকে বড় আকারের বাণিজ্যিক সম্পর্ক। এ সম্পর্কের পরিবর্তন হলে তা ভারতের জন্য এক মহাবিপদ। এছাড়া চীনকে প্রতিহত করতে গিয়ে ভারত এ অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি লেজুড় রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা ষোল আনা। জাপান এবং অন্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক যতই খারাপ হোক, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের শক্তিকে ছোট করে দেখার উপায় নেই। তাছাড়া ভারত-মার্কিন আঁতাতের ফলে চীন-রাশিয়া-পাকিস্তানের যে নতুন স্ট্র্যাটেজিক বন্ধন স্থাপনের শর্ত তৈরি হয়েছে, এটাও ভারতের জন্য রীতিমতো এক উদ্বেগের ব্যাপার। কাজেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে চীনের বিরুদ্ধে যেভাবে দাঁড় করাতে চায় ,সেটা যে অদূর ভবিষ্যতে ভারতের জন্য বড় রকম ক্ষতির কারণ হবে, এ উপলব্ধি এখন মোদি সরকারেরও একেবারে নেই তা নয়। কাজেই চীনকে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করার জন্য ওবামার ভারত ত্যাগের পরই মোদি সরকার তাদের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে চীনে পাঠিয়েছে এবং মোদি আগামী মে মাসে চীন সফরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এসব বিবেচনা করলে ওবামার ভারত সফর এবং দুই দেশের মধ্যে নতুন গাঁটছড়া সত্ত্বেও আন্তর্জাতিকভাবে ভারতের যে এখন ত্রিশঙ্কু অবস্থা, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
২.২.২০১৫
সভাপতি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

No comments

Powered by Blogger.