একাত্তরে গোপনে পতাকা তৈরি করতেন আবু বক্কর by আসলাম-উদ-দৌলা
একাত্তরের
যুদ্ধ চলছে। চারদিকে বর্বরতা। অগ্নিঝরা সময়ে নিজের জীবনকে তুচ্ছ ভেবে
গোপনে তৈরি করেছিলেন বাংলাদেশের পতাকা। রাজশাহী শহরের এবং বাইরের সব পতাকাই
তার হাতে তৈরি। উড়ছিল ওই সময় চারদিকে। এই সাহসী যোদ্ধার নাম আবু বক্কর।
বয়সের ভারে আজ তিনি নুইয়ে পড়েছেন। প্রতিদিন নগরীর গণকপাড়া এলাকায় খোলা
আকাশের নিচে সেলাই মেশিন নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় তাকে। ছয় ছেলে ও পাঁচ
মেয়ে নিয়ে তার অভাবের সংসার। এক সময় তার নিজস্ব টেইলার্স থাকলেও মামলা
সংক্রান্ত সময় তা খোয়া যায়।
সূত্রমতে, মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারের পাশাপাশি জীবন বাজি রেখে মুক্তি সংগ্রামের প্রদীপ জ্বেলে রেখেছিলেন শ্রমজীবী মানুষরা। এ সময় রাজশাহীতে বিভিন্ন এলাকা প্রতিদিন হাজার হাজার পতাকা উড়েছে। পুলিশের ধাওয়া ও গুলির মুখে পতাকা হাতে মিছিল করেছেন রাজশাহীর সংগ্রামী জনতা। তাদের সেই সংগ্রাম সফল হয়েছে। তবে এই পতাকা তৈরির পেছনের কারিগরদের খোঁজ কেউ রাখে না। মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে গভীর রাতে নগরীর ভুবনমোহন পার্ক এলাকায় ইউরেকা টেইলার্সের দরজা বন্ধ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পতাকা তৈরি করতেন যুবক বয়সী কারিগর আবু বক্কর। তখন তিনি ২২ বছরের টগবগে তরুণ। টেইলার্সটির মালিক ছিলেন সিরাজ উদ্দিন। অনেক আগেই তিনি মারা গেছেন। পাননি কোন সম্মাননা। পতাকা কারিগর আবু বক্কর সিদ্দিকও এখন বয়সের ভারে ও দারিদ্র্যের ঘাত-প্রতিঘাতে জর্জরিত। পাকসেনারা পতাকা কারিগর আবু বক্করকে ধরেতে স্বাধীনতা লাভের কয়েকদিন আগে হানা দেয়। কিন্তু সেদিন আবু বক্কর ফুটবল মাঠে থাকায় প্রাণে বেঁচে গেছেন। আজ সেদিনের তরুণ আবু বক্কর বার্ধক্যের কাছে পরাজিত। ছেলে-মেয়েদের মুখে আহার তুলে দিতে দিনরাত সেলাই মেশিনে আওয়াজ তুলছেন। জীবনযুদ্ধে কোনভাবে হার মানতে নারাজ তিনি। পতাকা কারিগর আবু বক্কর সিদ্দিক মানবজমিনকে জানান, এখন আর কেউ খোঁজ-খবর রাখেন না। স্বাধীনতা যুদ্ধের দিনগুলো ‘ইউরেকা টেইলার্সে’ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মিটিং করতো। সে সময় কোন প্রত্যাশা ছিল না। দেশের প্রতি ভালবাসা থেকে রাতের আঁধারে পতাকা তৈরি করেছেন। এখন বয়স হয়েছে, শারীরিক ও অর্থনৈতিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। নিজস্ব একটি টেইলার্স দিয়েছিলেন। কিন্তু মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় তাও খোয়া যায়। সে সময় অনেকেই আশার বাণী শুনিয়ে ছিলেন। সরকারের পর সরকার পরিবর্তন হয়, কিন্তু তার ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয় না। শেষ বয়সে এসে তিনি স্বীকৃতি চান। যদি তার ছেলেদের কারও চাকরির ব্যবস্থা করা হয় তাহলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারতেন।
সূত্রমতে, মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারের পাশাপাশি জীবন বাজি রেখে মুক্তি সংগ্রামের প্রদীপ জ্বেলে রেখেছিলেন শ্রমজীবী মানুষরা। এ সময় রাজশাহীতে বিভিন্ন এলাকা প্রতিদিন হাজার হাজার পতাকা উড়েছে। পুলিশের ধাওয়া ও গুলির মুখে পতাকা হাতে মিছিল করেছেন রাজশাহীর সংগ্রামী জনতা। তাদের সেই সংগ্রাম সফল হয়েছে। তবে এই পতাকা তৈরির পেছনের কারিগরদের খোঁজ কেউ রাখে না। মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে গভীর রাতে নগরীর ভুবনমোহন পার্ক এলাকায় ইউরেকা টেইলার্সের দরজা বন্ধ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পতাকা তৈরি করতেন যুবক বয়সী কারিগর আবু বক্কর। তখন তিনি ২২ বছরের টগবগে তরুণ। টেইলার্সটির মালিক ছিলেন সিরাজ উদ্দিন। অনেক আগেই তিনি মারা গেছেন। পাননি কোন সম্মাননা। পতাকা কারিগর আবু বক্কর সিদ্দিকও এখন বয়সের ভারে ও দারিদ্র্যের ঘাত-প্রতিঘাতে জর্জরিত। পাকসেনারা পতাকা কারিগর আবু বক্করকে ধরেতে স্বাধীনতা লাভের কয়েকদিন আগে হানা দেয়। কিন্তু সেদিন আবু বক্কর ফুটবল মাঠে থাকায় প্রাণে বেঁচে গেছেন। আজ সেদিনের তরুণ আবু বক্কর বার্ধক্যের কাছে পরাজিত। ছেলে-মেয়েদের মুখে আহার তুলে দিতে দিনরাত সেলাই মেশিনে আওয়াজ তুলছেন। জীবনযুদ্ধে কোনভাবে হার মানতে নারাজ তিনি। পতাকা কারিগর আবু বক্কর সিদ্দিক মানবজমিনকে জানান, এখন আর কেউ খোঁজ-খবর রাখেন না। স্বাধীনতা যুদ্ধের দিনগুলো ‘ইউরেকা টেইলার্সে’ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মিটিং করতো। সে সময় কোন প্রত্যাশা ছিল না। দেশের প্রতি ভালবাসা থেকে রাতের আঁধারে পতাকা তৈরি করেছেন। এখন বয়স হয়েছে, শারীরিক ও অর্থনৈতিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। নিজস্ব একটি টেইলার্স দিয়েছিলেন। কিন্তু মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় তাও খোয়া যায়। সে সময় অনেকেই আশার বাণী শুনিয়ে ছিলেন। সরকারের পর সরকার পরিবর্তন হয়, কিন্তু তার ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয় না। শেষ বয়সে এসে তিনি স্বীকৃতি চান। যদি তার ছেলেদের কারও চাকরির ব্যবস্থা করা হয় তাহলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারতেন।
No comments