বছরজুড়ে অবহেলা, শুধু দুই দিবসে ধোয়ামোছা by অরূপ রায়
(১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে লাগানো ফুল গাছে পানি দিচ্ছেন স্মৃতিসৌধে কর্মরত এক মালি l প্রথম আলো) বছরে
দুটো দিন। ২৬ মার্চ আর ১৬ ডিসেম্বর। এ দুই জাতীয় দিবস এলেই শুরু হয়
সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ধোয়ামোছা ও মেরামতের এক মহাযজ্ঞ। বছর বছর চলে
একই কাজ। পাস হয় নতুন বিল, খরচ হয় ইচ্ছেমতো। জাতীয় এই স্থাপনার বাকি
সময়টা কাটে নীরবতায়, অবহেলায়। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বীর বাঙালির
লড়াই আর শহীদদের প্রতি জাতির কৃতজ্ঞতার নিদর্শন জাতীয় এই স্মৃতিসৌধ।
রাজধানী থেকে ৩৩ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে সাভারের নবীনগর
এলাকায় ১০৮ একর জমির ওপর এই সৌধের নির্মাণ শুরু ১৯৭২ সালে। শেষ হয় ১৯৮৮
সালে। এই স্মৃতিসৌধের মূল আকর্ষণ মিনার বা স্মৃতিস্তম্ভ।
স্বাধীনতা-সংগ্রামের সাতটি পর্যায়কে তাৎপর্যমণ্ডিত করে তৈরি করা হয়েছে
১৫০ ফুট উঁচু সাতটি ত্রিভুজ আকৃতির মিনার। এ ছাড়া এই স্থাপনা এলাকায়
রয়েছে পায়ে চলার পথ, কৃত্রিম হ্রদ, সাঁকো, অজ্ঞাতনামা শহীদদের কবর, বাগান
আর সবুজ বলয়। প্রতিবারের মতো এবারও এসে গেছে ১৬ ডিসেম্বর, বিজয় দিবস।
সঙ্গে কয়েক দিন ধরে শুরুও হয়ে গেছে ধোয়ামোছা, রং-তুলির আঁচড় আর
মেরামতের কাজ। এ বছর এ কাজে বরাদ্দ ২৪ লাখ টাকা। গণপূর্ত বিভাগের একটি
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, স্মৃতিসৌধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রয়েছেন ৭৪ জন
কর্মকর্তা-কর্মচারী। বিশাল এই জনবল থাকার পরও এর রক্ষণাবেক্ষণে প্রতিবছর
ঠিকাদারি বিল তৈরি করতে হয়।
সরেজমিন: গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা। স্মৃতিসৌধে গিয়ে কোনো দর্শনার্থীর দেখা মেলেনি। ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে ওই দিন থেকে দর্শনার্থীদের ভেতরে প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া না হলেও বাইরে উৎসুক জনতার ভিড় ছিল প্রচুর। তাঁরা ভেতরে যেতে বচসায় জড়াচ্ছিলেন নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে। সংবাদকর্মীদের জন্য প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত থাকার সুবাদে ভেতরে প্রবেশ করে কিছুদূর এগোতেই চোখে পড়ল সেনাসদস্যদের প্রস্তুতি। চলছে বিজয় দিবসে শ্রদ্ধা জানানোর অনুশীলন। স্মৃতিসৌধের নানা স্থানে বুলার লাইট স্থাপন করতে দেখা গেল। বৈদ্যুতিক সহকারী আমির আলী ও মাইজুল হক বলেন, স্মৃতিসৌধ এলাকায় তিন শতাধিক বুলার লাইট ছিল। এর মধ্যে অনেকগুলোই চুরি হয়ে গেছে। তাই বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৭টি নতুন বুলার লাইট স্থাপন করা হচ্ছে। মূল ফটক দিয়ে শহীদবেদিতে যাওয়ার পথে রং-তুলির আঁচড় দিচ্ছিলেন জামাল হোসেন। বললেন, সপ্তাহ খানেক ধরে এ কাজ করছেন তাঁরা। পথের পাশে ও নানা বাঁকে রয়েছে ছোট ছোট ফুলের বাগান। বছরের অধিকাংশ সময় বাগানগুলো প্রায় মলিন হয়ে থাকে। এখন সেগুলো ফুলে ফুলে ভরিয়ে তোলা হয়েছে। গত রোববার স্মৃতিসৌধের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মিজানুর রহমানের সঙ্গে আলাপকালে তিনি স্মৃতিসৌধ সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকার কথা জানালেও গতকাল সোমবারও রং-তুলি, ধোয়ামোছার কাজ করতে দেখা যায়।
কোটি টাকার ধোয়ামোছা-বাতি মেরামত: গণপূর্ত বিভাগ সূত্র জানায়, বিজয় দিবস উপলক্ষে এবার ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ের খাত নির্ধারণ করা হয়েছে। নিয়োগ করা হয়েছে ১২ জন ঠিকাদার। এই ব্যয়ের মধ্যে ভিআইপি লাউঞ্জ ও সীমানাপ্রাচীর মেরামত, স্মৃতিস্তম্ভ পরিষ্কারে ধরা হয়েছে ১২ লাখ টাকা। ধোয়ামোছা, রং-তুলি, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম আর হালকা মেরামতের কাজে বাকি ১২ লাখ টাকা। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসসহ বছরের অন্য সময়ে খরচে বরাদ্দ থাকে আরও প্রায় ৭৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে কেবল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণেই খরচ হয় অন্তত ২৩ লাখ টাকা। স্মৃতিসৌধের ২ নম্বর ফটকের পাশেই ভিআইপি লাউঞ্জ। রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানসহ বিদেশি অতিথিরা এলে অনেক সময় এখানেই বিশ্রাম নেন। লাউঞ্জের একটি কক্ষের দেয়ালের চারপাশে হার্ডবোর্ড স্থাপন আর রং করে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ পেয়েছে মেসার্স কিংস এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে তিন লাখ টাকা। তবে বৃহস্পতিবার শুধু রঙের কাজ ছাড়া আর কোনো কাজ চোখে পড়েনি। মিনার ধোয়ামোছার কাজ পেয়েছে হক ব্রাদার্স। এ কাজে বরাদ্দ প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। পাঁচ বছর ধরেই হক ব্রাদার্স এ কাজ করে আসছে। স্মৃতিসৌধের কয়েকজন কর্মচারী বলেন, হক ব্রাদার্সের নামে কাজ দেখানো হলেও কাজ করছেন মূলত স্মৃতিসৌধের কর্মচারীরা। শুধু পানি স্প্রে করে মিনার পরিষ্কার করেন তাঁরা। আর এ কাজেই প্রতিবছর করা হয় চার-পাঁচ লাখ টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা। তবে হক ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী ফয়জুর রহমান বলেন, চুক্তি অনুযায়ী সোডা আর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে স্তম্ভ ধোয়ামোছা করা হয়। এ কাজে টাকা তছরুপের সুযোগ নেই। পায়ে চলার পথসহ অন্য স্থাপনা মেরামত ও রং-তুলির কাজও তেমন চোখে পড়েনি। কিছু শ্রমিক পায়ে চলার পথের কয়েক শ ইট আংশিক রং করার পাশাপাশি সিমেন্ট আর বালু দিয়ে কয়েকটি স্থানে সামান্য মেরামতের কাজ করেছেন। অথচ এ কাজেই ব্যয় দেখানো হয়েছে ১১ লাখ টাকা।
হকার-ছিনতাইকারী, পোস্টার: স্মৃতিসৌধের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বছরজুড়ে চলতে থাকে হকার ও ছিনতাইকারীদের উৎপাত। মূল ফটকের সামনে গড়ে তোলা হয় গাড়ির গ্যারেজ। ফলে স্মৃতিসৌধে বেড়াতে এসে দর্শনার্থীরা সম্মুখীন হন নানা সমস্যার। বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মৃতিসৌধের সামনের সব দোকানপাট, গ্যারেজ সাময়িকভাবে তুলে দেওয়া হলেও মূল ফটকের দুপাশের সীমানাপ্রাচীর ছেয়ে ফেলা হয়েছে নানা রঙের পোস্টার-বিলবোর্ডে। এগুলোর প্রায় সবই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ আর ছাত্রলীগের। যুবলীগের পক্ষ থেকে মূল ফটকের দুপাশে বিলবোর্ড দিয়েছেন রাসেল দেওয়ান। বিলবোর্ডে তাঁর ছবির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সাংসদ এনামুর রহমানের ছবি। এই রাসেল দেওয়ান এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। মাস খানেক আগেও চাঁদাবাজি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি।
বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা: বিজয় দিবস সামনে রেখে স্মৃতিসৌধ এলাকা নেওয়া হয়েছে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার আওতায়। পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আনা হয়েছে প্রায় তিন হাজার পুলিশ সদস্য।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য: স্মৃতিসৌধের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মিজানুর রহমান বলেন, স্মৃতিসৌধের রক্ষণাবেক্ষণেরÿকাজ চলে সারা বছরই। তবে ১৬ ডিসেম্বর আর ২৬ মার্চ বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। তা ছাড়া বছরে মাত্র এক কোটি টাকা বরাদ্দ থাকায় প্রয়োজনীয় সব সংস্কারকাজ করা সম্ভব হয় না।
সরেজমিন: গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা। স্মৃতিসৌধে গিয়ে কোনো দর্শনার্থীর দেখা মেলেনি। ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে ওই দিন থেকে দর্শনার্থীদের ভেতরে প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া না হলেও বাইরে উৎসুক জনতার ভিড় ছিল প্রচুর। তাঁরা ভেতরে যেতে বচসায় জড়াচ্ছিলেন নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে। সংবাদকর্মীদের জন্য প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত থাকার সুবাদে ভেতরে প্রবেশ করে কিছুদূর এগোতেই চোখে পড়ল সেনাসদস্যদের প্রস্তুতি। চলছে বিজয় দিবসে শ্রদ্ধা জানানোর অনুশীলন। স্মৃতিসৌধের নানা স্থানে বুলার লাইট স্থাপন করতে দেখা গেল। বৈদ্যুতিক সহকারী আমির আলী ও মাইজুল হক বলেন, স্মৃতিসৌধ এলাকায় তিন শতাধিক বুলার লাইট ছিল। এর মধ্যে অনেকগুলোই চুরি হয়ে গেছে। তাই বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৭টি নতুন বুলার লাইট স্থাপন করা হচ্ছে। মূল ফটক দিয়ে শহীদবেদিতে যাওয়ার পথে রং-তুলির আঁচড় দিচ্ছিলেন জামাল হোসেন। বললেন, সপ্তাহ খানেক ধরে এ কাজ করছেন তাঁরা। পথের পাশে ও নানা বাঁকে রয়েছে ছোট ছোট ফুলের বাগান। বছরের অধিকাংশ সময় বাগানগুলো প্রায় মলিন হয়ে থাকে। এখন সেগুলো ফুলে ফুলে ভরিয়ে তোলা হয়েছে। গত রোববার স্মৃতিসৌধের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মিজানুর রহমানের সঙ্গে আলাপকালে তিনি স্মৃতিসৌধ সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকার কথা জানালেও গতকাল সোমবারও রং-তুলি, ধোয়ামোছার কাজ করতে দেখা যায়।
কোটি টাকার ধোয়ামোছা-বাতি মেরামত: গণপূর্ত বিভাগ সূত্র জানায়, বিজয় দিবস উপলক্ষে এবার ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ের খাত নির্ধারণ করা হয়েছে। নিয়োগ করা হয়েছে ১২ জন ঠিকাদার। এই ব্যয়ের মধ্যে ভিআইপি লাউঞ্জ ও সীমানাপ্রাচীর মেরামত, স্মৃতিস্তম্ভ পরিষ্কারে ধরা হয়েছে ১২ লাখ টাকা। ধোয়ামোছা, রং-তুলি, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম আর হালকা মেরামতের কাজে বাকি ১২ লাখ টাকা। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসসহ বছরের অন্য সময়ে খরচে বরাদ্দ থাকে আরও প্রায় ৭৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে কেবল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণেই খরচ হয় অন্তত ২৩ লাখ টাকা। স্মৃতিসৌধের ২ নম্বর ফটকের পাশেই ভিআইপি লাউঞ্জ। রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানসহ বিদেশি অতিথিরা এলে অনেক সময় এখানেই বিশ্রাম নেন। লাউঞ্জের একটি কক্ষের দেয়ালের চারপাশে হার্ডবোর্ড স্থাপন আর রং করে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ পেয়েছে মেসার্স কিংস এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে তিন লাখ টাকা। তবে বৃহস্পতিবার শুধু রঙের কাজ ছাড়া আর কোনো কাজ চোখে পড়েনি। মিনার ধোয়ামোছার কাজ পেয়েছে হক ব্রাদার্স। এ কাজে বরাদ্দ প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। পাঁচ বছর ধরেই হক ব্রাদার্স এ কাজ করে আসছে। স্মৃতিসৌধের কয়েকজন কর্মচারী বলেন, হক ব্রাদার্সের নামে কাজ দেখানো হলেও কাজ করছেন মূলত স্মৃতিসৌধের কর্মচারীরা। শুধু পানি স্প্রে করে মিনার পরিষ্কার করেন তাঁরা। আর এ কাজেই প্রতিবছর করা হয় চার-পাঁচ লাখ টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা। তবে হক ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী ফয়জুর রহমান বলেন, চুক্তি অনুযায়ী সোডা আর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে স্তম্ভ ধোয়ামোছা করা হয়। এ কাজে টাকা তছরুপের সুযোগ নেই। পায়ে চলার পথসহ অন্য স্থাপনা মেরামত ও রং-তুলির কাজও তেমন চোখে পড়েনি। কিছু শ্রমিক পায়ে চলার পথের কয়েক শ ইট আংশিক রং করার পাশাপাশি সিমেন্ট আর বালু দিয়ে কয়েকটি স্থানে সামান্য মেরামতের কাজ করেছেন। অথচ এ কাজেই ব্যয় দেখানো হয়েছে ১১ লাখ টাকা।
হকার-ছিনতাইকারী, পোস্টার: স্মৃতিসৌধের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বছরজুড়ে চলতে থাকে হকার ও ছিনতাইকারীদের উৎপাত। মূল ফটকের সামনে গড়ে তোলা হয় গাড়ির গ্যারেজ। ফলে স্মৃতিসৌধে বেড়াতে এসে দর্শনার্থীরা সম্মুখীন হন নানা সমস্যার। বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মৃতিসৌধের সামনের সব দোকানপাট, গ্যারেজ সাময়িকভাবে তুলে দেওয়া হলেও মূল ফটকের দুপাশের সীমানাপ্রাচীর ছেয়ে ফেলা হয়েছে নানা রঙের পোস্টার-বিলবোর্ডে। এগুলোর প্রায় সবই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ আর ছাত্রলীগের। যুবলীগের পক্ষ থেকে মূল ফটকের দুপাশে বিলবোর্ড দিয়েছেন রাসেল দেওয়ান। বিলবোর্ডে তাঁর ছবির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সাংসদ এনামুর রহমানের ছবি। এই রাসেল দেওয়ান এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। মাস খানেক আগেও চাঁদাবাজি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি।
বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা: বিজয় দিবস সামনে রেখে স্মৃতিসৌধ এলাকা নেওয়া হয়েছে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার আওতায়। পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আনা হয়েছে প্রায় তিন হাজার পুলিশ সদস্য।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য: স্মৃতিসৌধের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মিজানুর রহমান বলেন, স্মৃতিসৌধের রক্ষণাবেক্ষণেরÿকাজ চলে সারা বছরই। তবে ১৬ ডিসেম্বর আর ২৬ মার্চ বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। তা ছাড়া বছরে মাত্র এক কোটি টাকা বরাদ্দ থাকায় প্রয়োজনীয় সব সংস্কারকাজ করা সম্ভব হয় না।
No comments