দারুণ জয়ে গ্রুপ শীর্ষে বার্সেলোনা
পিএসজির
বিপক্ষে দারুণ এক জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের গ্রুপে শীর্ষস্থানটা
দখলে নিয়ে নিয়েছে বার্সেলোনা। কাল ন্যু ক্যাম্পে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের
দলকে মেসির দল হারিয়েছে ৩-১ গোলে। দুর্দান্ত এই জয় বার্সেলোনাকে এনে
দিয়েছে টানা অষ্টমবারের মতো ইউরোপ-সেরা হওয়ার এই প্রতিযোগিতায়
গ্রুপপর্বের শীর্ষস্থান। ইব্রাহিমোভিচের প্রথমার্ধের গোল অবশ্য
দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল বার্সাকে। তবে আক্রমণভাগের ত্রয়ী-তারকা লিওনেল
মেসি, নেইমার ও লুইস সুয়ারেজ দলকে দুশ্চিন্তামুক্ত করেন দারুণ ঢংয়েই।
প্রথমার্ধেই মেসি-নেইমারের যুগল বার্সাকে এগিয়ে রেখেছিল। দ্বিতীয়ার্ধে
সুয়ারেজ জয়টাকেই কেবল নিশ্চিত করেছেন। এই জয়ে প্রথম পর্বে পিএসজির কাছে
৩-২ গোলে হারের মধুর প্রতিশোধটাও নেওয়া হয়ে গেল বার্সেলোনার।
খেলার ১৫ মিনিটে ইব্রাহিমোভিচ পিএসজিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন বার্সেলোনা রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগে। লুকাস মাউরার ক্রসটি ব্লেইস মাতুইদির পা ঘুরে যখন ইব্রাহিমোভিচের কাছে আসে, তখন পিএসজির সেরা খেলোয়াড়টিকে কেন যেন ফাঁকাই রেখে দিয়েছিল বার্সেলোনা রক্ষণব্যূহ। সুবর্ণ-সুযোগ হাতের মুঠোয় পেয়ে তা পায়ে ঠেলার কোনো কারণই দেখেননি এই সুইডিশ তারকা।
পিএসজি এগিয়ে যাওয়ার পর শোকস্তব্ধ ন্যু ক্যাম্পকে আনন্দে ভাসাতে অবশ্য একেবারেই দেরি করেননি মেসি। পিছিয়ে পড়ার মাত্র চার মিনিটের মধ্যেই স্কোরলাইন ১-১ করে ফেলেন আর্জেন্টাইন তারকা। হাভিয়ের মাচেরানোর কাছ থেকে বল পেয়ে পিএসজির সীমানায় ক্রস ফেলেন লুইস সুয়ারেজ। ডান দিক দিয়ে অনেকটা দৌড়ে এসে উরুগুইয়ান সতীর্থের ক্রসটিকে গোলে পরিণত করেন মেসি।
কাল অসাধারণ এক গোলে বার্সেলোনাকে সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছে দেন নেইমার। ডান প্রান্ত থেকে পিএসজির এক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে দুরন্ত এক কোনাকুনি শটে করা নেইমারের গোলটি ছিল দৃষ্টিনন্দন। দ্বিতীয়ার্ধে বার্সেলোনার জয়সূচক গোলটি আসে মেসি-নেইমার আর সুয়ারেজের যৌথ প্রচেষ্টায়। মেসির পাস থেকে নেইমারের নেওয়া শট ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সালভাতোরে শিরিগু। ফিরতি বলটি দারুণ শটে সুয়ারেজ ঠেলে দেন জালে।
পিএসজির বিপক্ষে কালকের ম্যাচটি বার্সা খেলতে নেমেছিল এক পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে। জয় ছাড়া গত্যন্তরহীন এই ম্যাচের চ্যালেঞ্জ জয় দিয়ে উতরানোর পর স্বভাবতই দারুণ তৃপ্ত ছিলেন কোচ এনরিকে। নিয়মিত রাইট ব্যাক দানি আলভেজের অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন ধরনের সংযোজন-বিয়োজন করেই মাঠে দল নামাতে হয়েছিল তাঁকে। মেসি-নেইমার-সুয়ারেজ—এই তারকাকে একাদশে রেখে পেদ্রোকে মধ্যমাঠের দায়িত্বে এনে বিশ্লেষকদের ভ্রুকুটি কিন্তু ঠিকই দেখেছেন এনরিকে। ৩-২-৩-২ ফরমেশনটিকে অনেকেই উচ্চাভিলাষী বললেও এই ফরমেশনেই কিন্তু কাল পিএসজিকে দারুণভাবেই টেক্কা দিয়েছে বার্সেলোনা। তবে ম্যাচে বার্সা রক্ষণের নড়বড়ে অবস্থাটা টের পাওয়া গেছে সারাক্ষণই।
তবে শেষ অবধি জয়টাই স্বস্তি আর তৃপ্তি এনে দিয়েছে এনরিকেকে। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘এই ম্যাচে জয় ছাড়া আমাদের সামনে বিকল্প কিছু ছিল না। আমার মনে হয় আমরা একটা দারুণ ম্যাচই খেলেছি।’
ফরমেশনে নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও আকারে-ইঙ্গিতে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর এই ফরমেশনটি নেইমার ও লিওনেল মেসিকে অনেক বেশি জায়গা নিয়ে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে, ‘আমরা সব সময়ই এমন একটা ফরমেশনে খেলতে চেয়েছি, যা প্রতিপক্ষকে সমস্যায় ফেলবে। আমার মনে হয় আমরা আজ ওটাই করতে পেরেছি।’ সূত্র: রয়টার্স।
খেলার ১৫ মিনিটে ইব্রাহিমোভিচ পিএসজিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন বার্সেলোনা রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগে। লুকাস মাউরার ক্রসটি ব্লেইস মাতুইদির পা ঘুরে যখন ইব্রাহিমোভিচের কাছে আসে, তখন পিএসজির সেরা খেলোয়াড়টিকে কেন যেন ফাঁকাই রেখে দিয়েছিল বার্সেলোনা রক্ষণব্যূহ। সুবর্ণ-সুযোগ হাতের মুঠোয় পেয়ে তা পায়ে ঠেলার কোনো কারণই দেখেননি এই সুইডিশ তারকা।
পিএসজি এগিয়ে যাওয়ার পর শোকস্তব্ধ ন্যু ক্যাম্পকে আনন্দে ভাসাতে অবশ্য একেবারেই দেরি করেননি মেসি। পিছিয়ে পড়ার মাত্র চার মিনিটের মধ্যেই স্কোরলাইন ১-১ করে ফেলেন আর্জেন্টাইন তারকা। হাভিয়ের মাচেরানোর কাছ থেকে বল পেয়ে পিএসজির সীমানায় ক্রস ফেলেন লুইস সুয়ারেজ। ডান দিক দিয়ে অনেকটা দৌড়ে এসে উরুগুইয়ান সতীর্থের ক্রসটিকে গোলে পরিণত করেন মেসি।
কাল অসাধারণ এক গোলে বার্সেলোনাকে সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছে দেন নেইমার। ডান প্রান্ত থেকে পিএসজির এক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে দুরন্ত এক কোনাকুনি শটে করা নেইমারের গোলটি ছিল দৃষ্টিনন্দন। দ্বিতীয়ার্ধে বার্সেলোনার জয়সূচক গোলটি আসে মেসি-নেইমার আর সুয়ারেজের যৌথ প্রচেষ্টায়। মেসির পাস থেকে নেইমারের নেওয়া শট ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সালভাতোরে শিরিগু। ফিরতি বলটি দারুণ শটে সুয়ারেজ ঠেলে দেন জালে।
পিএসজির বিপক্ষে কালকের ম্যাচটি বার্সা খেলতে নেমেছিল এক পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে। জয় ছাড়া গত্যন্তরহীন এই ম্যাচের চ্যালেঞ্জ জয় দিয়ে উতরানোর পর স্বভাবতই দারুণ তৃপ্ত ছিলেন কোচ এনরিকে। নিয়মিত রাইট ব্যাক দানি আলভেজের অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন ধরনের সংযোজন-বিয়োজন করেই মাঠে দল নামাতে হয়েছিল তাঁকে। মেসি-নেইমার-সুয়ারেজ—এই তারকাকে একাদশে রেখে পেদ্রোকে মধ্যমাঠের দায়িত্বে এনে বিশ্লেষকদের ভ্রুকুটি কিন্তু ঠিকই দেখেছেন এনরিকে। ৩-২-৩-২ ফরমেশনটিকে অনেকেই উচ্চাভিলাষী বললেও এই ফরমেশনেই কিন্তু কাল পিএসজিকে দারুণভাবেই টেক্কা দিয়েছে বার্সেলোনা। তবে ম্যাচে বার্সা রক্ষণের নড়বড়ে অবস্থাটা টের পাওয়া গেছে সারাক্ষণই।
তবে শেষ অবধি জয়টাই স্বস্তি আর তৃপ্তি এনে দিয়েছে এনরিকেকে। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘এই ম্যাচে জয় ছাড়া আমাদের সামনে বিকল্প কিছু ছিল না। আমার মনে হয় আমরা একটা দারুণ ম্যাচই খেলেছি।’
ফরমেশনে নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও আকারে-ইঙ্গিতে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর এই ফরমেশনটি নেইমার ও লিওনেল মেসিকে অনেক বেশি জায়গা নিয়ে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে, ‘আমরা সব সময়ই এমন একটা ফরমেশনে খেলতে চেয়েছি, যা প্রতিপক্ষকে সমস্যায় ফেলবে। আমার মনে হয় আমরা আজ ওটাই করতে পেরেছি।’ সূত্র: রয়টার্স।
No comments