আশি ভাগ গ্রাহক প্রত্যন্ত এলাকার by সৈকত দেওয়ান
খাগড়াছড়ি
জেলার সদর উপজেলার চার নম্বর প্রকল্প গ্রামের দোকানদার তোতো চাকমা এখন রাত
সাড়ে নয়টা-দশটা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখেন। এতে তাঁর বিক্রির পরিমাণ আগের
তুলনায় অনেক বেড়েছে। একই উপজেলার চেলাছড়া গ্রামের একটি গির্জায় মোটরের
সাহায্যে তোলা হচ্ছে পানি, চলছে কম্পিউটার, ঘুরছে বৈদ্যুতিক পাখা।
বিদ্যুৎবিহীন প্রত্যন্ত এই এলাকাগুলোতে এসব সম্ভব হয়েছে সৌরবিদ্যুৎ
ব্যবহার করে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খাগড়াছড়ি জেলায় দুটি সংস্থা
‘গ্রামীণ শক্তি’ ও ‘ব্রাইট গ্রিন এনার্জি ফাউন্ডেশন’ সরাসরি অথবা কিস্তিতে
সৌর প্যানেল বিক্রি করে। জেলায় গত দুই বছরে সৌরবিদ্যুতের গ্রাহকসংখ্যা
বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজারে। উৎপাদন হচ্ছে এক হাজার ৫০ কিলোওয়াটের বেশি
বিদ্যুৎ। খাগড়াছড়ি জেলা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে চার নম্বর প্রকল্প
গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের এক–তৃতীয়াংশ পরিবার সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার
করছে। এই গ্রামের বাসিন্দা ও ছোট দোকানের মালিক তোতো চাকমা দুই বছর ধরে
সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন। তিনি বলেন, ‘আগে কুপি জ্বালাতাম। দোকানের
জিনিসপত্রে কালি পড়ত। সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে এখন সে সমস্যা নেই।
ছেলেমেয়েরাও পড়াশোনা করতে পারছে।’
একই উপজেলার চেলাছড়া গ্রামের চেলাছড়া ব্যাপটিস্টে ব্যবহার হচ্ছে দুই হাজার ওয়াটের সৌরবিদ্যুতের প্যানেল। গির্জার তত্ত্বাবধায়ক (পালক) যশোবর্ধন ত্রিপুরা বলেন, ‘বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আগাপের সহযোগিতায় গির্জায় সৌরবিদ্যুতের প্যানেল বসেছে। এতে পানির মোটর চালাতে পারছি। এই গির্জায় প্রতিদিন ২০০ শিশুর জন্য খাবার তৈরি হয়। পানি না পেলে খাবার তৈরি করা সম্ভব হতো না।’
গ্রামীণ শক্তি খাগড়াছড়ি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক ত্রিশ্বতী চাকমা জানান, খাগড়াছড়ি জেলায় তিনটি আঞ্চলিক কার্যালয় ও ১৭টি শাখা কার্যালয়ের সাহায্যে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতি মাসে গড়ে ১২০০ গ্রাহক সৌর প্যানেল নিয়ে যান। এর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ৩৪ কিলোওয়াট। এ হিসাবে গত দুই বছরে ২৫ হাজারের অধিক গ্রাহক সৌরবিদ্যুতের সুবিধা নিয়েছেন।
ব্রাইট গ্রিন এনার্জি ফাউন্ডেশনের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক উপায়ন চাকমা জানান, সংস্থার নয়টি শাখা কার্যালয় রয়েছে। গত দুই বছরে তাঁদের প্রতিষ্ঠান প্রায় সাড়ে ছয় হাজার সৌর প্যানেল বিক্রি করেছে। এসব প্যানেল থেকে ২২৩ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
উভয় সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সৌর প্যানেল গ্রাহকদের মধ্যে ৮০ শতাংশই প্রত্যন্ত ও বিদ্যুৎবিহীন গ্রামের বাসিন্দা। বাকি ২০ শতাংশ বিদ্যুতায়ন অঞ্চলের গ্রাহক। খাগড়াছড়িতে বিদ্যুতের ঘন ঘন বিভ্রাটের কারণে অনেকে বিকল্প হিসেবে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। কর্মকর্তারা আরও জানান, জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার রামশিরা ও বেলছড়ি বাজার সম্পূর্ণ সৌরবিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। বাজারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সৌরবিদ্যুৎ থাকায় গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে।
একই উপজেলার চেলাছড়া গ্রামের চেলাছড়া ব্যাপটিস্টে ব্যবহার হচ্ছে দুই হাজার ওয়াটের সৌরবিদ্যুতের প্যানেল। গির্জার তত্ত্বাবধায়ক (পালক) যশোবর্ধন ত্রিপুরা বলেন, ‘বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আগাপের সহযোগিতায় গির্জায় সৌরবিদ্যুতের প্যানেল বসেছে। এতে পানির মোটর চালাতে পারছি। এই গির্জায় প্রতিদিন ২০০ শিশুর জন্য খাবার তৈরি হয়। পানি না পেলে খাবার তৈরি করা সম্ভব হতো না।’
গ্রামীণ শক্তি খাগড়াছড়ি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক ত্রিশ্বতী চাকমা জানান, খাগড়াছড়ি জেলায় তিনটি আঞ্চলিক কার্যালয় ও ১৭টি শাখা কার্যালয়ের সাহায্যে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতি মাসে গড়ে ১২০০ গ্রাহক সৌর প্যানেল নিয়ে যান। এর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ৩৪ কিলোওয়াট। এ হিসাবে গত দুই বছরে ২৫ হাজারের অধিক গ্রাহক সৌরবিদ্যুতের সুবিধা নিয়েছেন।
ব্রাইট গ্রিন এনার্জি ফাউন্ডেশনের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক উপায়ন চাকমা জানান, সংস্থার নয়টি শাখা কার্যালয় রয়েছে। গত দুই বছরে তাঁদের প্রতিষ্ঠান প্রায় সাড়ে ছয় হাজার সৌর প্যানেল বিক্রি করেছে। এসব প্যানেল থেকে ২২৩ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
উভয় সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সৌর প্যানেল গ্রাহকদের মধ্যে ৮০ শতাংশই প্রত্যন্ত ও বিদ্যুৎবিহীন গ্রামের বাসিন্দা। বাকি ২০ শতাংশ বিদ্যুতায়ন অঞ্চলের গ্রাহক। খাগড়াছড়িতে বিদ্যুতের ঘন ঘন বিভ্রাটের কারণে অনেকে বিকল্প হিসেবে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। কর্মকর্তারা আরও জানান, জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার রামশিরা ও বেলছড়ি বাজার সম্পূর্ণ সৌরবিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। বাজারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সৌরবিদ্যুৎ থাকায় গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে।
No comments