সর্বজনীন নির্বাচন পরিষদ গঠনের দাবি
সকল
দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সমঝোতার মানসিকতা নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ
নির্বাচনকে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে ‘সর্বজনীন নির্বাচন পরিষদ’ গঠন করার
দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মানবধিকার সমন্বয় পরিষদ-বামাসপ। বিশ্ব মানবাধিকার
দিবস উপলক্ষে বুধবার বিকালে রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট বার অডিটরিয়ামে বামাসপ
আয়োজিত সেমিনারে এ দাবি জানানো হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা
এম. হাফিজউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন
বামাসপ সভাপতি ও গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এ এইচ এম নোমান।
নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনের পরিচালনায় বক্তব্য
রাখেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের
উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের
সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, জতীয়
পার্টির (মঞ্জু) অতিরিক্ত মহা-সচিব সাদেক সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বিপ্লবী
ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সাবেক নির্বাচন কমিশনার
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন, ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের
পরিচালক ড. আব্দুল আলীম, সাবেক পদস্থ সরকারী কর্মকর্তা মো. আজ্হার আলী
তালুকদার, বামাসপ সহ-সভাপতি এডভোকেট আবুল কাশেম, ড. গোলাম রহমান ভূইয়া
প্রমুখ। মূল বক্তব্যে বামাসপ সভাপতি এ এইচ এম নোমান বলেন, “জাতীয়
নির্বাচনকে সুষ্ঠু, গ্রহণীয় করতে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ,
জনপ্রতিনিধি, আগ্রহী ব্যক্তি, জোট ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধি সমন্বয়ে
‘সার্বজনীন নির্বাচন পরিষদ’ গঠন করা যেতে পারে। এ পরিষদ নির্বাচন কালে
প্রার্থী প্রাক-মনোনয়ন, প্রচারণা, নির্বাচন পরিচালনা ও ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত
নির্বাচন কমিশনের সহায়ক দায়িত্ব পালন করবে। এ পরিষদ পাঁচ স্তর বিশিষ্ট
জাতীয়, জেলা, আসন/উপজেলা, ইউনিয়ন, ভোট কেন্দ্র পর্যায়ে গঠন করে নির্বাচন
শুরু ও ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সহায়ক দায়িত্ব পালন করবে। এ
পরিষদের মেয়াদকাল হবে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন থেকে পূর্বের নয় মাস ও
পরবর্তী তিন মাস অর্থাৎ ১২ মাস।”
No comments