‘ইবোলা চিকিৎসক ও কর্মীরা’ টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব
টাইম
ম্যাগাজিনের ‘২০১৪ সালের সেরা ব্যক্তিত্ব’ নির্বাচিত হলেন ইবোলার চিকিৎসক ও
স্বেচ্ছাসেবীরা। যে চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা নিজেদের জীবন বিপন্ন
করে, নানা ত্যাগ স্বীকার করে প্রতি মুহূর্তে ইবোলা রোগীদের চিকিৎসা সেবা
দিয়ে চলেছেন, তাদের সাহসী, প্রত্যয়ী ও দয়ার মানসিকতাকে শ্রদ্ধা জানাতেই
টাইমের এ উদ্যোগ। পশ্চিম আফ্রিকায় মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে এ
পর্যন্ত ৬ হাজার ৩০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব নির্বাচন
প্রসঙ্গে টাইম ম্যাগাজিনের সম্পাদক ন্যান্সি গিবস বলছিলেন, বিশ্বের বহু
স্থানে আজও সংক্রামক রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত নয়। তিনি লিখেছেন, এক
শ্রেণীর পুরুষ ও নারী স্বেচ্ছায় লড়ে চলেছেন, যার কারণে আজও পৃথিবীর বাকি
অংশের মানুষরা রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা
রয়টার্স। ন্যান্সি গিবস ওই সমস্ত মানুষদের শ্রদ্ধা জানান, যারা স্বেচ্ছায়
ইবোলা রোগীদের সেবায় মাঠে নেমেছেন, ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের মতো যে দাতব্য
সংগঠনগুলো স্বেচ্ছাসেবীদের পাঠিয়েছে, চিকিৎসক ও নার্স, অ্যাম্বুলেন্সের
চালক থেকে শুরু করে কবর দেয়ার জন্য যারা নিয়োজিত ছিলেন, তাদের সবাইকে। টাইম
ম্যাগাজিনের সম্পাদক ন্যান্সি গিবস লিখেছেন, ইবোলা একটি যুদ্ধ, এবং একটি
সতর্কবার্তা। তিনি আরও লিখেছেন, সংক্রামক রোগ থেকে আমাদের নিরাপদ রাখার
জন্য বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী হওয়ার কাছেও
অবস্থান করছেন না। ‘আমাদের’ মানে ‘প্রত্যেক’কেই বুঝিয়েছেন তিনি। ইবোলা
মহামারীতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ও প্রাণ হারিয়েছেন লাইবেরিয়া, গিনি ও
সিয়েরা লিওনের মানুষরা। নাইজেরিয়া, মালি, স্পেন, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রে
ইবোলায় অল্প সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন ও প্রাণ হারিয়েছেন।
নজিরবিহীনভাবে ইবোলা ভাইরাসে চিকিৎসক ও নার্সরাও আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকেই
প্রাণঘাতী এ সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন।
No comments