সরকার একটি মানুষকেই ভয় পায়, তিনি তারেক রহমান -মির্জা ফখরুল
সরকার
কেবল তারেক রহমানকেই ভয় পায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বরেছেন, বর্তমান সরকার শুধু একটি
মানুষকেই ভয় পায়, তিনি তারেক রহমান। এজন্য তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া
হচ্ছে। তাকে ভয় পাওয়ার একটিই কারণ, তারেক রহমান দেশের মানুষের নয়নমণি।
তিনি দেশে ফিরলে লাখ লাখ মানুষের যে ঢল বয়ে যাবে তাতে সরকার ভেসে যাবে
বানের জলের মতো। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মহিলা দল
আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। মির্জা আলমগীর বলেন, এই
অবৈধ সরকার জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসে আছে। এ পাথরকে সরাতে আন্দোলনের কোন
বিকল্প নেই। এ জন্য ভেদাভেদ ভুলে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার
আহ্বান জানান তিনি। নারী ইস্যুতে মহিলা দলকে আরও বেশি সক্রিয় হওয়ার তাগিদ
মির্জা আলমগীর বলেন, নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য দলের মধ্যেও আপনাদের সোচ্চার
হতে হবে। পুলিশ যেদিন নারী শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর হামলা চালালো সেদিনই
মহিলা দলের উচিত ছিল রাজপথে নেমে আসা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীদের উপর পুরুষ পুলিশরা
কি নির্মমভাবে পেছন থেকে লাথি মেরেছে, এর বিরুদ্ধেও মহিলা দলের রাস্তায়
নামা উচিত ছিল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, বিশ্ব মানবাধিকার দিবস
গেল। ওইদিন মহিলা দল এই অবৈধ-অনৈতিক সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে
নির্মমভাবে নিহত ও গুমের শিকারে পরিণত হওয়া হতভাগ্যদের মা-বোন,
স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মহিলা দল একটি মিছিল করতে পারতো। যা অনেক আন্দোলনের
চেয়ে বেশি কার্যকর হতো। মির্জা আলমগীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বাংলাদেশকে নারীস্থান বলে যা বোঝাতে চান তার সঙ্গে আমরা একমত নই।
প্রধানমন্ত্রী নারী, সংসদ উপনেতা নারী, স্পিকার নারী, বিরোধীদলীয় নেতা
নারী। নারীর এই ক্ষমতায়নের জন্য যদি তিনি নারীস্থান বলে থাকেন তাহলে তার
সঙ্গে আমরা একমত নই। একদিকে তারা নারীস্থান বলে অন্যদিকে নির্যাতন করে।
আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব তার বক্তব্যে
দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও
আইনজীবী ব্যারিস্টার ড. তুহিন মালিকের নামে মামলার প্রতিবাদ জানান। তিনি
বলেন, শেখ হাসিনা বলেন- দেশে নাকি মিডিয়া অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে। আজকে
সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই মামলা হয়। হয়রানি করা হয়। এক তরুণ একটি
প্যারোডি লেখার কারণে তাকে সাত বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। ফেসবুকে একটি লাইন
লেখার জন্য একজন উচ্চ পদস্থ সামরিক অফিসারের বিরুদ্ধে বিচার চলছে। আমরা কথা
বললেই মামলা দেওয়া হচ্ছে। এই হচ্ছে তার নমুনা।
No comments