অপমানিত, ক্ষুব্ধ সাবিনা ইয়াসমীন by মনজুর কাদের
বিটিভির
৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীনকে নিয়ে
নির্মিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা বলেও শেষ মুহূর্তে অংশ নেননি
সেরাকণ্ঠখ্যাত গায়ক ইমরান। তাঁর এই আচরণে অপমানিত, ক্ষুব্ধ হয়েছেন
কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন। এ প্রসঙ্গে সাবিনা ইয়াসমীন বলেন, ‘গান
গাইতে এসেছে এখনো দুদিন হয়নি। তার মতো একটা বাচ্চা ছেলের কাছ থেকে এ ধরনের
আচরণ সত্যিই দুঃখজনক। আমি রীতিমতো অপমানিত ও ক্ষুব্ধ। একই সঙ্গে বিস্মিত
তার এই আচরণে। ওর এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ সত্যিই ক্ষমার অযোগ্য। কী বলব বুঝে
উঠতে পারছি না। গান গাইতে এসে অল্প কদিনের মধ্যেই যদি এমন আচরণ হয়, তাহলে
তো তার ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখছি।’
একজন শিল্পীকে কেবল ভালো গান গাইলেই চলে না, মানুষ হিসেবেও ভালো হতে হয়। এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন ও অপেশাদার আচরণ ইমরানের বড় শিল্পী হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। বললেন, ‘একজন শিল্পীর জীবনে কমিটমেন্ট রক্ষা করাটা অনেক বেশি জরুরি।’
বিটিভির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশের বিশিষ্ট শিল্পীদের নিয়ে সাত দিনের অনুষ্ঠান নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সাবিনা ইয়াসমীনের এই অনুষ্ঠান। ৬ ডিসেম্বর সাবিনা ইয়াসমীনকে নিয়ে নির্মিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের ব্যাপারে ইমরান তাঁর সম্মতি জানিয়েছিলেন। কথা ছিল, সাবিনা ইয়াসমীনের একটি কালজয়ী দ্বৈত গানে কণ্ঠ দেবেন ঝিলিক ও ইমরান। ৯ তারিখ গানটি ধারণ করার তারিখও নির্ধারিত ছিল। যথাসময়ে ঝিলিক বিটিভির স্টুডিওতে হাজির হলেও একেবারে শেষ মুহূর্তে শারীরিক অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে ইমরান সেখানে উপস্থিত হননি।
সাবিনা ইয়াসমীন বলেন, ‘ইমরানের এ আচরণ অপেশাদার। বিটিভির এই অনুষ্ঠানের জন্য আমিই ঝিলিক, কোনাল ও ইমরানের নাম প্রস্তাব করি। এর মধ্যে অসুস্থ সত্ত্বেও ঝিলিক ও কোনাল অনুষ্ঠানের কাজ খুব ভালোভাবেই সম্পন্ন করেছে। ইমরান অসুস্থতার কথা বললেও শুনেছি সে মোটেও অসুস্থ ছিল না।’
এদিকে এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেননি ইমরান। তিনি বলেন, ‘গানটি ধারণের দেড়-দুই ঘণ্টা আগে আমি বুঝতে পারি আমার কণ্ঠ গান গাওয়ার অবস্থায় নেই। আমি আমার অপারগতার কথা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিই। আমি তাঁদের অন্য একজন শিল্পীকে খুঁজে নেওয়ারও অনুরোধ করি।’
প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে ইমরান অবশ্য প্রথমে গান ধারণের এক দিন আগে অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর অপারগতা প্রকাশের কথা জানিয়েছিলেন। পরে আবার নিজে থেকেই ৯ ডিসেম্বরের কথা বলেন।
এদিকে সাবিনা ইয়াসমীনকে নিয়ে নির্মিত এ অনুষ্ঠানটির সমন্বয়কারী আরিফ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইমরান কথা দিয়ে কথা রাখেনি। তার অপেশাদার আচরণের কথা অনেকের কাছ থেকেই শুনেছি। এবার নিজেই সেই আচরণের শিকার হলাম।’
এদিকে অনুষ্ঠানটির প্রযোজক মাহবুবা ফেরদৌস প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিটিভির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশের বিশিষ্ট শিল্পীদের নিয়ে আমরা সাত দিনের অনুষ্ঠান নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছি। তারই অংশ হিসেবে সাবিনা ইয়াসমীনের এই অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ইমরান অংশগ্রহণের ব্যাপারে সম্মতি জানায়। সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে অপারগতার কথা জানানোয় একজন গুণী শিল্পীর মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে, পাশাপাশি বিষয়টি টেলিভিশনের জন্য দুঃখজনক।’
এদিকে অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিটিভির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি রেকর্ডিংয়ের দিন সন্ধ্যায় না হলেও ১০ বার ফোন করেছি। অথচ সে ফোন ওঠানোর প্রযোজন মনে করেনি। এমনকি পরে কলব্যাকও করেনি। তার এই আচরণ সত্যিই দুঃখজনক।’
একজন শিল্পীকে কেবল ভালো গান গাইলেই চলে না, মানুষ হিসেবেও ভালো হতে হয়। এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন ও অপেশাদার আচরণ ইমরানের বড় শিল্পী হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। বললেন, ‘একজন শিল্পীর জীবনে কমিটমেন্ট রক্ষা করাটা অনেক বেশি জরুরি।’
বিটিভির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশের বিশিষ্ট শিল্পীদের নিয়ে সাত দিনের অনুষ্ঠান নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সাবিনা ইয়াসমীনের এই অনুষ্ঠান। ৬ ডিসেম্বর সাবিনা ইয়াসমীনকে নিয়ে নির্মিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের ব্যাপারে ইমরান তাঁর সম্মতি জানিয়েছিলেন। কথা ছিল, সাবিনা ইয়াসমীনের একটি কালজয়ী দ্বৈত গানে কণ্ঠ দেবেন ঝিলিক ও ইমরান। ৯ তারিখ গানটি ধারণ করার তারিখও নির্ধারিত ছিল। যথাসময়ে ঝিলিক বিটিভির স্টুডিওতে হাজির হলেও একেবারে শেষ মুহূর্তে শারীরিক অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে ইমরান সেখানে উপস্থিত হননি।
সাবিনা ইয়াসমীন বলেন, ‘ইমরানের এ আচরণ অপেশাদার। বিটিভির এই অনুষ্ঠানের জন্য আমিই ঝিলিক, কোনাল ও ইমরানের নাম প্রস্তাব করি। এর মধ্যে অসুস্থ সত্ত্বেও ঝিলিক ও কোনাল অনুষ্ঠানের কাজ খুব ভালোভাবেই সম্পন্ন করেছে। ইমরান অসুস্থতার কথা বললেও শুনেছি সে মোটেও অসুস্থ ছিল না।’
এদিকে এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেননি ইমরান। তিনি বলেন, ‘গানটি ধারণের দেড়-দুই ঘণ্টা আগে আমি বুঝতে পারি আমার কণ্ঠ গান গাওয়ার অবস্থায় নেই। আমি আমার অপারগতার কথা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিই। আমি তাঁদের অন্য একজন শিল্পীকে খুঁজে নেওয়ারও অনুরোধ করি।’
প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে ইমরান অবশ্য প্রথমে গান ধারণের এক দিন আগে অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর অপারগতা প্রকাশের কথা জানিয়েছিলেন। পরে আবার নিজে থেকেই ৯ ডিসেম্বরের কথা বলেন।
এদিকে সাবিনা ইয়াসমীনকে নিয়ে নির্মিত এ অনুষ্ঠানটির সমন্বয়কারী আরিফ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইমরান কথা দিয়ে কথা রাখেনি। তার অপেশাদার আচরণের কথা অনেকের কাছ থেকেই শুনেছি। এবার নিজেই সেই আচরণের শিকার হলাম।’
এদিকে অনুষ্ঠানটির প্রযোজক মাহবুবা ফেরদৌস প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিটিভির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশের বিশিষ্ট শিল্পীদের নিয়ে আমরা সাত দিনের অনুষ্ঠান নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছি। তারই অংশ হিসেবে সাবিনা ইয়াসমীনের এই অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ইমরান অংশগ্রহণের ব্যাপারে সম্মতি জানায়। সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে অপারগতার কথা জানানোয় একজন গুণী শিল্পীর মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে, পাশাপাশি বিষয়টি টেলিভিশনের জন্য দুঃখজনক।’
এদিকে অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিটিভির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি রেকর্ডিংয়ের দিন সন্ধ্যায় না হলেও ১০ বার ফোন করেছি। অথচ সে ফোন ওঠানোর প্রযোজন মনে করেনি। এমনকি পরে কলব্যাকও করেনি। তার এই আচরণ সত্যিই দুঃখজনক।’
No comments