দুর্গম লোকালেয় আলো: রাঙামাটি- সৌরবিদ্যুতের আলোয় আলোকিত পাহাড় by হরি কিশোর চাকমা
পার্বত্য
চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ি গ্রামের কোনো বাড়িতে জ্বলছে বিদ্যুতের আলো,
চলছে টেলিভিশন ও কম্পিউটার। দুই বছর আগে এই দৃশ্য কেউ ভাবতে পারেনি। কিন্তু
এটি এখন সেখানকার স্বাভাবিক ঘটনা। সৌরবিদ্যুতের কল্যাণে দ্রুত বদলে যাচ্ছে
দৃশ্যপট। তিন পার্বত্য জেলায় সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার নিয়ে আজকের আয়োজন
বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম ফারুয়া ইউনিয়নের লতাপাহাড় গ্রামের বাসিন্দারা
কয়েক বছর আগেও ভাবেননি তাঁদের সন্তানেরা বিদ্যুতের আলোয় পড়াশোনা করবে,
ঘরে কম্পিউটার ও টেলিভিশন চলবে। সৌরবিদ্যুৎ যেন আক্ষরিক অর্থেই বিপ্লব
ঘটিয়েছে এই এলাকায়। কেবল এখানে নয়, আলো ছড়িয়ে পড়েছে রাঙামাটির
বিভিন্ন দুর্গম লোকালয়ে। জেলায় তিনটি সৌর প্যানেল সরবরাহকারী
প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার ৫০০। বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে সাত
লাখ ১৯ হাজার ৬০০ ওয়াট। পাংখো ও বম সম্প্রদায় অধ্যুষিত বিলাইছড়ি উপজেলার
লতাপাহাড় ছাড়াও বিলাইছড়ির পাংখোপাড়া এবং ফারুয়া বমপাড়ার শিশুরাও এখন
সৌরবিদ্যুতের আলোয় পড়াশোনা করছে। চলছে কম্পিউটারসহ নানা বৈদ্যুতিক
যন্ত্রপাতি। ওই তিন গ্রামের প্রতিটিতে আটটি প্যানেল ও আটটি ব্যাটারিসম্পন্ন
সৌরবিদ্যুৎ চলছে। গ্রাম তিনটির বাসিন্দারা এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রতিটি
গ্রামে এসব সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনে খরচ হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা।
সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সূত্রে জানা গেছে, একটি পরিবারে চারটি বাতি জ্বালাতে ৫০ ওয়াট ক্ষমতার একটি সৌর প্যানেল প্রয়োজন। নগদ কিনলে এমন একটি প্যানেলের খরচ পড়বে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা এবং তিন বছরের কিস্তিতে কিনলে ২৭ হাজার ১০০ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাঙামাটিতে গ্রামীণ শক্তি, ব্রাইট গ্রিন এনার্জি ফাউন্ডেশন ও বেঙ্গল কোম্পানি নামের তিনটি বেসরকারি কোম্পানি সৌরবিদ্যুতের প্যানেল সববরাহ করছে।
গ্রামীণ শক্তির রাঙামাটি জেলার শাখা ব্যবস্থাপক অরুণ আলো চাকমা জানান, জেলার দুর্গম এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন তথ্যসেবাকেন্দ্র ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এখন সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। সচ্ছল পরিবারগুলোর বাড়ির ছাদে শোভা পাচ্ছে সৌরবিদ্যুতের প্যানেল।
অরুণ আলো চাকমা আরও জানান, গ্রামীণ শক্তি ২০০১ সালে রাঙামাটি জেলায় কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে রাঙামাটি সদর, বরকল, জুরাছড়ি ও নানিয়ারচর উপজেলায় কার্যক্রম চলছে। এ পর্যন্ত গ্রাহকসংখ্যা ১২ হাজার ৩৮০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে রাঙামাটি সদর উপজেলায় তিন হাজার ৮৮৬, বরকল উপজেলায় ছয় হাজার ৪৮, জুরাছড়ি উপজেলায় এক হাজার ৫২৬ এবং নানিয়ারচর উপজেলায় ৯২০ জন গ্রাহক রয়েছেণ। এই প্রতিষ্ঠানের সৌর প্যানেলগুলো সর্বোচ্চ ১৩৫ ওয়াট থেকে সর্বনিম্ন ১০ ওয়াট ক্ষমতার হয়ে থাকে বলে তিনি জানান।
রাঙামাটিতে সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহের আরও একটি প্রতিষ্ঠান ব্রাইট গ্রিন এনার্জি ফাউন্ডেশন (বিজিইএফ)। প্রতিষ্ঠানটি রাঙামাটিতে কাজ শুরু করে ২০১১-১২ সালে। বিজিইএফের রাঙামাটি আঞ্চলিক পরিচালক ঊষা কিরণ চাকমা জানান, রাঙামাটি জেলায় তাঁদের প্রতিষ্ঠান থেকে এ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার গ্রাহক সৌরবিদ্যুৎ নিয়েছে।
প্রান্তিক এলাকার বহু পরিবার সৌরবিদ্যুতের সুবিধা পেয়ে খুশি। বরকল উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী বড় হরিণা ইউনিয়নের বড় হরিণামুখ গ্রামের দুই সন্তানের বাবা নন্দ চাকমা বলেন, ‘বাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনের পর আমার দুই মেয়ের পড়াশোনায় অনেক সুবিধা হয়েছে। এ ছাড়া বাড়ির ছোটখাটো কাজগুলো প্রয়োজনে গভীর রাত পর্যন্ত করা যায়।’
জুরাছড়ি উপজেলার দুমদুম্যা ইউনিয়নের ফকিরাছড়া এলাকার বাসিন্দা প্রিয়ময় তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘সৌরবিদ্যুৎ একদিকে কেরোসিনের চেয়ে অনেক কম খরচ। আর শুধু সুইচ টিপে চালাতেও সুবিধা। এখন আমাদের দুর্গম পাহাড়ে সৌরবিদ্যুৎ খুবই জনপ্রিয়।’ তবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও সহজ শর্তে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনে সহযোগিতা দরকার বলে তিনি মনে করেন।
সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সূত্রে জানা গেছে, একটি পরিবারে চারটি বাতি জ্বালাতে ৫০ ওয়াট ক্ষমতার একটি সৌর প্যানেল প্রয়োজন। নগদ কিনলে এমন একটি প্যানেলের খরচ পড়বে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা এবং তিন বছরের কিস্তিতে কিনলে ২৭ হাজার ১০০ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাঙামাটিতে গ্রামীণ শক্তি, ব্রাইট গ্রিন এনার্জি ফাউন্ডেশন ও বেঙ্গল কোম্পানি নামের তিনটি বেসরকারি কোম্পানি সৌরবিদ্যুতের প্যানেল সববরাহ করছে।
গ্রামীণ শক্তির রাঙামাটি জেলার শাখা ব্যবস্থাপক অরুণ আলো চাকমা জানান, জেলার দুর্গম এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন তথ্যসেবাকেন্দ্র ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এখন সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। সচ্ছল পরিবারগুলোর বাড়ির ছাদে শোভা পাচ্ছে সৌরবিদ্যুতের প্যানেল।
অরুণ আলো চাকমা আরও জানান, গ্রামীণ শক্তি ২০০১ সালে রাঙামাটি জেলায় কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে রাঙামাটি সদর, বরকল, জুরাছড়ি ও নানিয়ারচর উপজেলায় কার্যক্রম চলছে। এ পর্যন্ত গ্রাহকসংখ্যা ১২ হাজার ৩৮০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে রাঙামাটি সদর উপজেলায় তিন হাজার ৮৮৬, বরকল উপজেলায় ছয় হাজার ৪৮, জুরাছড়ি উপজেলায় এক হাজার ৫২৬ এবং নানিয়ারচর উপজেলায় ৯২০ জন গ্রাহক রয়েছেণ। এই প্রতিষ্ঠানের সৌর প্যানেলগুলো সর্বোচ্চ ১৩৫ ওয়াট থেকে সর্বনিম্ন ১০ ওয়াট ক্ষমতার হয়ে থাকে বলে তিনি জানান।
রাঙামাটিতে সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহের আরও একটি প্রতিষ্ঠান ব্রাইট গ্রিন এনার্জি ফাউন্ডেশন (বিজিইএফ)। প্রতিষ্ঠানটি রাঙামাটিতে কাজ শুরু করে ২০১১-১২ সালে। বিজিইএফের রাঙামাটি আঞ্চলিক পরিচালক ঊষা কিরণ চাকমা জানান, রাঙামাটি জেলায় তাঁদের প্রতিষ্ঠান থেকে এ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার গ্রাহক সৌরবিদ্যুৎ নিয়েছে।
প্রান্তিক এলাকার বহু পরিবার সৌরবিদ্যুতের সুবিধা পেয়ে খুশি। বরকল উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী বড় হরিণা ইউনিয়নের বড় হরিণামুখ গ্রামের দুই সন্তানের বাবা নন্দ চাকমা বলেন, ‘বাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনের পর আমার দুই মেয়ের পড়াশোনায় অনেক সুবিধা হয়েছে। এ ছাড়া বাড়ির ছোটখাটো কাজগুলো প্রয়োজনে গভীর রাত পর্যন্ত করা যায়।’
জুরাছড়ি উপজেলার দুমদুম্যা ইউনিয়নের ফকিরাছড়া এলাকার বাসিন্দা প্রিয়ময় তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘সৌরবিদ্যুৎ একদিকে কেরোসিনের চেয়ে অনেক কম খরচ। আর শুধু সুইচ টিপে চালাতেও সুবিধা। এখন আমাদের দুর্গম পাহাড়ে সৌরবিদ্যুৎ খুবই জনপ্রিয়।’ তবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও সহজ শর্তে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনে সহযোগিতা দরকার বলে তিনি মনে করেন।
No comments