লতিফ সিদ্দিকী কারাগারে
সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুর রহমান এ আদেশ দেন। এর আগে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করেন লতিফ সিদ্দিকী। পরে তাকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে কোন আইনজীবী ছিলেন না। তিনি জামিন আবেদনও করেননি। এদিকে লতিফ সিদ্দিকীকে আদালতে নেয়া হলে সেখানে বিক্ষোভ করেন আইনজীবীরা। আদালত থেকে কারাগারে নেয়ার পথে লতিফ সিদ্দিকীকে বহনকারী প্রিজনভ্যান লক্ষ্য করে ঝাড়– এবং জুতা প্রদর্শণ করেন বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা। এর আগে কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে গত রবিবার রাতে ভারত থেকে দেশে ফেরেন লতিফ সিদ্দিকী। গত ২৮শে সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এক আলোচনা সভায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.), হজ এবং তাবলিগ জামায়াত নিয়ে কটুক্তি করেন লতিফ সিদ্দিকী। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়েও বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করেন তিনি। লতিফ সিদ্দিকীর এ মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠে সব মহল থেকে। প্রধানমন্ত্রী তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করেন। পরে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম এবং সাধারণ সদস্য পদ থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়। যদিও সংসদ সদস্য হিসেবে এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি।
মাথা নিচু করতে আপত্তি লতিফের
আদালত থেকে কারাগারে নেয়ার সময় সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে ঝাড়– ও জুতা প্রদর্শন করেছেন ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা। আইনজীবী ও উপস্থিত সাধারণ লোকজন এসময় লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে মিছিলও করেন। দুপুরের পর ধানমন্ডি থানা পুলিশ লতিফ সিদ্দিকীকে সিএমএম আদালতে নিয়ে যায়। আদালতে তার পক্ষে কোন আইনজীবী না থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। আদালতে নেয়ার আগে লতিফ সিদ্দিকীকে সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করলেও তিনি এর কোন জবাব দেননি। তাকে ঘিরে থাকা সাংবাদিকদের প্রশ্নবানে জর্জরিত হয়ে একপর্যায়ে হাত জোড় করে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এদিকে কারাগারে নেয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে বিতন্ডায় জড়ান লতিফ সিদ্দিকী। কারাগারে প্রবেশে পকেট গেট দিয়ে মাথা নিচু করে প্রবেশে আপত্তি তুলেন তিনি। তিনি উপস্থিত কর্মকর্তাদের বলেন, প্রধান ফটক খুলে তাকে ভেতরে নিতে হবে। এ নিয়ে কিছু সময় আলোচনার পর প্রধান ফটক দিয়েই তাকে ভেতরে নেয়া হয়।
No comments