নতুন চার্জশিটেও নাম নেই সব ষড়যন্ত্রকারীর
‘নতুন
চার্জশিটেও কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের দু’একজন ষড়যন্ত্রকারীর নাম আসেনি। আমি
দীর্ঘদিন অপেক্ষায় ছিলাম। চেয়েছিলাম আমার স্বামীর প্রকৃত হত্যাকারীদের
বিচার হোক প্রকাশ্যে আদালতে। মনে করেছিলাম হত্যার মদদদাতা ও সহায়তাকারীরা
চিহ্নিত হবে। কিন্তু ঘটনার প্রায় ১০ বছর পর দেয়া নতুন চার্জশিটেও দু’একজন
গুরুত্বপূর্ণ ষড়যন্ত্রকারীর নাম আসেনি। তাদের মধ্যে অন্যতম হবিগঞ্জের সাবেক
ডিসি মো. এমদাদুল হক। তবে এবারের চার্জশিটে কয়েক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির
নাম রয়েছে। মামলার বাদী আবদুল মজিদ খান এমপি ভুল চার্জশিটের মাধ্যমে আসল
অপরাধীদের পাশ কাটিয়ে বিচার চেয়েছিলেন। অসম্পূর্ণ চার্জশিটে সন্তোষ প্রকাশ
করেছিলেন। তিনি কাদের বাঁচাতে চেয়েছিলেন?’ এই কথাগুলো গ্রেনেড হামলায় নিহত
সাবেক অর্থমন্ত্রী, বরেণ্য কূটনীতিক শাহ এএমএস কিবরিয়ার স্ত্রী আসমা
কিবরিয়ার। সম্প্রতি আদালতে জমা দেয়া কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশিট নিয়ে
সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। আমেরিকায় চিকিৎসাধীন আসমা
কিবরিয়া চার্জশিট প্রদানের খবর পেয়ে দেশে ফেরেন। অসুস্থ আসমা কিবরিয়াকে
দেশে নিয়ে আসেন ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া। দেশে ফেরার পর কিবরিয়া হত্যার বহুল
আলোচিত চার্জশিট নিয়ে এই প্রথম কোনো মন্তব্য করলেন আসমা কিবরিয়া। তিনি
বিবৃতিতে দাবি করেছেন, এবারের চার্জশিটে মোটামুটি প্রকৃত হত্যাকারী ও
মদদদাতা, সহায়তাকারীদের নাম চলে এসেছে। এজন্য সিআইডির এএসপি মেহেরুন্নেছা,
আইনজীবী আলমগীর ভুইয়া বাবুলের সাহসিকতার প্রশংসা করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমার স্বামীর হত্যা মামলাটির তদন্ত বারবার বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। প্রকৃত অপরাধী পার পেয়ে যাচ্ছিল। দ্বিতীয় দফার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির এএসপি রফিকুল ইসলাম প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করেছিলেন চার্জশিটে। ফলে তার দেয়া চার্জশিট মেনে নিতে পারিনি। মামলার বাদী আবদুল মজিদ খান এমপিকে অনুরোধ করেছিলাম চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি দেয়ার। তিনি তা করেননি। ভুল চার্জশিটের মাধ্যমে আসল অপরাধীদের পাশ কাটিয়ে বিচার চেয়েছিলেন তিনি। এ কারণেই অসম্পূর্ণ চার্জশিট সর্ম্পকে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তখন আমি নিজেই বাদী হয়ে নারাজি দেই। মামলাটি নিয়ে কি দুর্নীতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। আসমা কিবরিয়ার মতে, সম্পূর্ণ না হলেও মোটমুটি গ্রহণযোগ্য হয়েছে প্রায় ১০ বছর পর দেয়া নতুন চার্জশিট। তিনি বলেন, দশ বছরে একটি মোটামুটি চার্জশিট আমরা পেলাম। এখন একটা প্রশ্ন- বিচার শেষ হতে আর কত বছর লাগবে? শেষ বয়সে আমার স্বামীর হত্যার সুষ্ঠুবিচার হয়েছে এবং প্রকৃত অপরাধীরা সাজা পেয়েছে সেটা দেখে যেতে পারলে শান্তি পেতাম।
সম্প্রতি সিলেট সিটি মেয়র, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়রসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। সিআইডি কর্মকর্তা মেহেরুন্নেছা পারুল এই চার্জশিট প্রদান করেন। এই চার্জশিট প্রদানের পর তোলপাড় শুরু হয়। হরতাল পালনের পর এখনও নানা কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে সিলেটে। এটা কিবরিয়া হত্যা মামলার তৃতীয় দফা চার্জশিট। কিবরিয়া হত্যা মামলার প্রথম চার্জশিট দিয়েছিলেন সিআইডির তৎকালীন সিনিয়র এসএসপি মুন্সী আতিকুর রহমান। ওই চার্জশিটে জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল কাইউম, জেলা বিএনপির কর্মী ও ব্যাংক কর্মকর্তা আয়াত আলী, কাজল মিয়া, জেলা ছাত্রদলের সহ-দফতর সম্পাদক সেলিম আহমেদ, জিয়া স্মৃতি গবেষণা পরিষদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী, কর্মী তাজুল ইসলাম, বিএনপির কর্মী জয়নাল আবেদীন, জালাল, ইউনিয়ন বিএনপির নেতা জমির আলী, ওয়ার্ড বিএনপির নেতা জয়নাল আবেদীন মোমিন ও ছাত্রদলের কর্মী মহিবুর রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তৎকালীন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছিল। এই প্রতিবেদন বাদীপক্ষ প্রত্যাখ্যান করে। অধিকতর তদন্তের পর কিবরিয়া হত্যা মামলার দ্বিতীয় দফার চার্জশিট দেন সিআইডির তৎকালীন সিনিয়র এসএসপি রফিকুল ইসলাম। ওই চার্জশিটে সাবেক জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। এই চার্জশিটও প্রত্যাখ্যাত হলে তৃতীয় দফা অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার এএসপি মেহেরুন্নেছা পারুল এ চার্জশিট দাখিল করেন। নতুন চার্জশিটে ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। নতুন অভিযুক্তরা হলেন- বিএনপির পলাতক নেতা হারিছ চৌধুরী, সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌর মেয়র জিকে গউছ, মাওলানা তাজ উদ্দিন আহমেদ, মুফতি সফিকুর রহমান, আবদুল হাই, মোহাম্মদ আলী, বদরুল ইসলাম, মহিবুর রহমান, কাজল আহমেদ ও হাফেজ ইয়াহিয়া। একই সঙ্গে পূর্বের চার্জশিটভুক্ত ইউসুফ বিন শরীফ, আবু বক্কর আবদুল করিম ও মরহুম আহছান উল্লাহকে চার্জশিট থেকে অব্যাহতির আবেদন জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার স্বামীর হত্যা মামলাটির তদন্ত বারবার বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। প্রকৃত অপরাধী পার পেয়ে যাচ্ছিল। দ্বিতীয় দফার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির এএসপি রফিকুল ইসলাম প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করেছিলেন চার্জশিটে। ফলে তার দেয়া চার্জশিট মেনে নিতে পারিনি। মামলার বাদী আবদুল মজিদ খান এমপিকে অনুরোধ করেছিলাম চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি দেয়ার। তিনি তা করেননি। ভুল চার্জশিটের মাধ্যমে আসল অপরাধীদের পাশ কাটিয়ে বিচার চেয়েছিলেন তিনি। এ কারণেই অসম্পূর্ণ চার্জশিট সর্ম্পকে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তখন আমি নিজেই বাদী হয়ে নারাজি দেই। মামলাটি নিয়ে কি দুর্নীতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। আসমা কিবরিয়ার মতে, সম্পূর্ণ না হলেও মোটমুটি গ্রহণযোগ্য হয়েছে প্রায় ১০ বছর পর দেয়া নতুন চার্জশিট। তিনি বলেন, দশ বছরে একটি মোটামুটি চার্জশিট আমরা পেলাম। এখন একটা প্রশ্ন- বিচার শেষ হতে আর কত বছর লাগবে? শেষ বয়সে আমার স্বামীর হত্যার সুষ্ঠুবিচার হয়েছে এবং প্রকৃত অপরাধীরা সাজা পেয়েছে সেটা দেখে যেতে পারলে শান্তি পেতাম।
সম্প্রতি সিলেট সিটি মেয়র, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়রসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। সিআইডি কর্মকর্তা মেহেরুন্নেছা পারুল এই চার্জশিট প্রদান করেন। এই চার্জশিট প্রদানের পর তোলপাড় শুরু হয়। হরতাল পালনের পর এখনও নানা কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে সিলেটে। এটা কিবরিয়া হত্যা মামলার তৃতীয় দফা চার্জশিট। কিবরিয়া হত্যা মামলার প্রথম চার্জশিট দিয়েছিলেন সিআইডির তৎকালীন সিনিয়র এসএসপি মুন্সী আতিকুর রহমান। ওই চার্জশিটে জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল কাইউম, জেলা বিএনপির কর্মী ও ব্যাংক কর্মকর্তা আয়াত আলী, কাজল মিয়া, জেলা ছাত্রদলের সহ-দফতর সম্পাদক সেলিম আহমেদ, জিয়া স্মৃতি গবেষণা পরিষদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী, কর্মী তাজুল ইসলাম, বিএনপির কর্মী জয়নাল আবেদীন, জালাল, ইউনিয়ন বিএনপির নেতা জমির আলী, ওয়ার্ড বিএনপির নেতা জয়নাল আবেদীন মোমিন ও ছাত্রদলের কর্মী মহিবুর রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তৎকালীন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছিল। এই প্রতিবেদন বাদীপক্ষ প্রত্যাখ্যান করে। অধিকতর তদন্তের পর কিবরিয়া হত্যা মামলার দ্বিতীয় দফার চার্জশিট দেন সিআইডির তৎকালীন সিনিয়র এসএসপি রফিকুল ইসলাম। ওই চার্জশিটে সাবেক জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। এই চার্জশিটও প্রত্যাখ্যাত হলে তৃতীয় দফা অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার এএসপি মেহেরুন্নেছা পারুল এ চার্জশিট দাখিল করেন। নতুন চার্জশিটে ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। নতুন অভিযুক্তরা হলেন- বিএনপির পলাতক নেতা হারিছ চৌধুরী, সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌর মেয়র জিকে গউছ, মাওলানা তাজ উদ্দিন আহমেদ, মুফতি সফিকুর রহমান, আবদুল হাই, মোহাম্মদ আলী, বদরুল ইসলাম, মহিবুর রহমান, কাজল আহমেদ ও হাফেজ ইয়াহিয়া। একই সঙ্গে পূর্বের চার্জশিটভুক্ত ইউসুফ বিন শরীফ, আবু বক্কর আবদুল করিম ও মরহুম আহছান উল্লাহকে চার্জশিট থেকে অব্যাহতির আবেদন জানানো হয়েছে।
No comments