ঢাকায় আর কোনো যুদ্ধাপরাধীর জানাজা নয়: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
(ছবি: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় আজ মঙ্গলবার বিজয় মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ছবি: আলম পলাশ) রাজধানী ঢাকার মাটিতে এখন থেকে আর কোনো যুদ্ধপরাধীর জানাজা করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আজ মঙ্গলবার চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ২১ দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অনেক মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করেছেন, শহীদ হয়েছেন। তাঁদের শতকরা ১ ভাগও জানাজা পাননি। শকুন, কুকুর ও শিয়াল তাঁদের লাশ খেয়েছে। নদীতে, খাল-বিলে বা বাগানে এই লাশ পচেছে। তাই ঢাকায় কোনো যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড হওয়ার পর সেখানে জানাজা করতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ‘আজকে যদি মানবতার কথা আসে, ধর্মের কথা আসে, ১৯৭১ সালে যখন আমাদের সহযোদ্ধারা মুসলমান ছিল তারা কেন জানাজা পায়নি? তার আগে কৈফিয়ত দেওয়া হোক, বিচার করা হোক। তারপর আমরা তাদের বিষয়টি বিবেচনা করব, এর আগে নয়।’
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আগামীতে বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ–সম্পর্কিত ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া আগামী বছরের জুলাই মাস থেকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য বিনা মূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হবে। এজন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে ওষুধ পাঠানো হবে। ওষুধ শেষ হয়ে গেলে আবারও বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে এখন থেকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর সরকারিভাবে তাঁদের কবরের ব্যবস্থা করা হবে। যেসব মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত্যুর পর কবর দেওয়া হবে, তাঁদের কবরস্থান এমনভাবে তৈরি করা হবে, যাতে যে কেউ কবরস্থান দেখে বুঝতে পারে এটি ‘মুক্তিযোদ্ধার কবর’।
মন্ত্রী বলেন, দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশন করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত রয়েছে। এসব কোটায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রাধান্য দেওয়া হয় কি না, বিষয়টি এখন থেকে যাচাইবাছাই করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অনেক মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করেছেন, শহীদ হয়েছেন। তাঁদের শতকরা ১ ভাগও জানাজা পাননি। শকুন, কুকুর ও শিয়াল তাঁদের লাশ খেয়েছে। নদীতে, খাল-বিলে বা বাগানে এই লাশ পচেছে। তাই ঢাকায় কোনো যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড হওয়ার পর সেখানে জানাজা করতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ‘আজকে যদি মানবতার কথা আসে, ধর্মের কথা আসে, ১৯৭১ সালে যখন আমাদের সহযোদ্ধারা মুসলমান ছিল তারা কেন জানাজা পায়নি? তার আগে কৈফিয়ত দেওয়া হোক, বিচার করা হোক। তারপর আমরা তাদের বিষয়টি বিবেচনা করব, এর আগে নয়।’
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আগামীতে বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ–সম্পর্কিত ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া আগামী বছরের জুলাই মাস থেকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য বিনা মূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হবে। এজন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে ওষুধ পাঠানো হবে। ওষুধ শেষ হয়ে গেলে আবারও বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে এখন থেকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর সরকারিভাবে তাঁদের কবরের ব্যবস্থা করা হবে। যেসব মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত্যুর পর কবর দেওয়া হবে, তাঁদের কবরস্থান এমনভাবে তৈরি করা হবে, যাতে যে কেউ কবরস্থান দেখে বুঝতে পারে এটি ‘মুক্তিযোদ্ধার কবর’।
মন্ত্রী বলেন, দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশন করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত রয়েছে। এসব কোটায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রাধান্য দেওয়া হয় কি না, বিষয়টি এখন থেকে যাচাইবাছাই করা হবে।
No comments