লতিফ সিদ্দিকীর গ্রেপ্তার দাবিতে উত্তপ্ত সংসদ
পবিত্র হজ, মহানবী (সা.) ও তাবলিগ জামাত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার ও তার সংসদ সদস্যপদ বাতিলের দাবিতে গতকাল উত্তপ্ত ছিল জাতীয় সংসদ। কিছুক্ষণের জন্য বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র এমপিরা লতিফ ইস্যুতে সংসদ অধিবেশনে উত্তাপ ছড়ান। স্বতন্ত্র এমপি রুস্তম আলী ফরাজী এ বিষয়ে সংসদে স্পিকারের রুলিং দাবি করেন। এদিকে সরকারি দলের সিনিয়র সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত স্পিকারের সীমাবদ্ধতার কথা জানান। অবশ্য এ সময় সংসদে সভাপতির দায়িত্বে থাকা স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কোন মন্তব্য করেননি। রোববার মাগরিবের নামাজের বিরতির পর জাতীয় সংসদের বৈঠকে জাতীয় পার্টির এমপি ও দলটির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে লতিফ সিদ্দিকীর বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত ঘটান। লতিফ সিদ্দিকীর দেশে ফেরার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে লতিফ সিদ্দিকী মৌলবাদীদের পক্ষে কাজ করছেন। তিনি তাদের আন্দোলনের সুুযোগ করে দিচ্ছেন। তাকে গ্রেপ্তার করে মৌলবাদীদের আন্দোলনের পাঁয়তারা বন্ধ করতে হবে। স্বতন্ত্র এমপি রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, লতিফ সিদ্দিকী ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করে সরকারকে বিপদে ফেলে দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী তার বিরুদ্ধে ত্বরিত ব্যবস্থা নিয়েছেন। না হলে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হতো। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি কোন সাহসে দেশে এলেন তা জানাতে হবে। দ্রুত লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে এখন শান্তি বিরাজ করছে। উনি দেশকে বিপদে ফেলতে চান। দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চান। এখন তাকে গ্রেপ্তার করা না হলে দেশে অতীতের মতো আবার রক্ত ঝরবে, নৈরাজ্য দেখা দেবে। আবার হেফাজত রক্তের খেলা খেলবে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের উদাহরণ তুলে ধরে এই এমপি বলেন, ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করে তিনি যে মন্তব্য করেছেন তাতে তার সংসদ সদস্যপদ থাকার কথা নয়। উনি এমপি আছেন কিনা এই বিষয়ে স্পিকারের রুলিং চাই। স্পিকার সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে সুরাহার আহবান জানান ফরাজী।
এরপরই লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্যপদ খারিজ করার জন্য স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন স্বতন্ত্র এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, বিমানবন্দরে আমার জানা মতে গোয়েন্দা সংস্থার সাত-আটটি ডিপার্টমেন্ট কাজ করে। তারা কি করলো? কোন দেশ থেকে বিমান আসার আগেই এখানে ফ্যাক্সে একটি তালিকা চলে আসে। আর উনি তো ছদ্মনাম নিয়ে আসেননি। উনি কি করে এসে বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে গেলেন। গোয়েন্দা সংস্থার ‘ব্যর্থতা’র অভিযোগ তুলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা হাজী সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল, কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থা তখন কিছুই করতে পারেনি। এখন তো আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছি।
লতিফ সিদ্দিকী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণ বলছে সরকারের গ্রিন সিগন্যাল আছে। কিন্তু আমি জানি প্রধানমন্ত্রীর কোন গ্রিন সিগন্যাল নেই। আওয়ামী লীগ তার দুই টাকার সদস্যপদও বাতিল করে দিয়েছে। সরকার ও সারাদেশের আওয়ামী লীগ কর্মীরা তাকে ঘৃণা করে।
দল ও সরকার থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর কি করে লতিফ সিদ্দিকী এমপি থাকেন- সেলিম তার ব্যাখ্যাও দাবি করেন স্পিকারের কাছে। একই সঙ্গে তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কাছে লতিফ সিদ্দিকীর গ্রেপ্তারের বিষয়ে সংসদে ৩০০ বিধিতে বক্তব্য দাবি করেন। বিএনএফের সাংসদ আবুল কালাম আজাদ পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে লতিফ সিদ্দিকীর বিষয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরতে সংসদ নেতা শেখ হাসিনার বক্তব্য এবং এ বিষয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্ত জানানোর দাবি করেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, সংবিধান স্পিকারকে এমন কোন ক্ষমতা দেননি যে, যা তিনি স্বংয়ক্রিয়ভাবে প্রয়োগ করতে পারবেন। এ সংক্রান্ত যে রিলেভেন্ট আর্টিক্যাল আছে, সেগুলো যদি প্রযোজ্য হয়, তখনই তার সদস্যপদ যাবে। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার হাতকে মুক্ত করে দেয়া হবে। শুধু স্পিকারকে অবহিত করতে হবে।
লতিফ সিদ্দিকী কোন অবাঞ্ছিত ব্যক্তি নন মন্তব্য করে তিনি বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও তাকে গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সীমাবদ্ধতা আছে। আদালতের নির্দেশ না পেলে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব নয়। তাই আমরা তাকিয়ে আছি আদালতের দিকে, কি নির্দেশ তার বিষয়ে আসে এবং আদালতের নির্দেশ এলেই সরকার সঙ্গে সঙ্গে তা কার্যকর করবে। সুরঞ্জিত আরও বলেন, ‘আমি মনে করি আইন অনুযায়ী আদালতের সব নির্দেশ দল ও সরকার কার্যকর করবে। আইন তার নিজেস্ব গতিতে চলবে।’
এরপরই লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্যপদ খারিজ করার জন্য স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন স্বতন্ত্র এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, বিমানবন্দরে আমার জানা মতে গোয়েন্দা সংস্থার সাত-আটটি ডিপার্টমেন্ট কাজ করে। তারা কি করলো? কোন দেশ থেকে বিমান আসার আগেই এখানে ফ্যাক্সে একটি তালিকা চলে আসে। আর উনি তো ছদ্মনাম নিয়ে আসেননি। উনি কি করে এসে বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে গেলেন। গোয়েন্দা সংস্থার ‘ব্যর্থতা’র অভিযোগ তুলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা হাজী সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল, কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থা তখন কিছুই করতে পারেনি। এখন তো আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছি।
লতিফ সিদ্দিকী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণ বলছে সরকারের গ্রিন সিগন্যাল আছে। কিন্তু আমি জানি প্রধানমন্ত্রীর কোন গ্রিন সিগন্যাল নেই। আওয়ামী লীগ তার দুই টাকার সদস্যপদও বাতিল করে দিয়েছে। সরকার ও সারাদেশের আওয়ামী লীগ কর্মীরা তাকে ঘৃণা করে।
দল ও সরকার থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর কি করে লতিফ সিদ্দিকী এমপি থাকেন- সেলিম তার ব্যাখ্যাও দাবি করেন স্পিকারের কাছে। একই সঙ্গে তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কাছে লতিফ সিদ্দিকীর গ্রেপ্তারের বিষয়ে সংসদে ৩০০ বিধিতে বক্তব্য দাবি করেন। বিএনএফের সাংসদ আবুল কালাম আজাদ পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে লতিফ সিদ্দিকীর বিষয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরতে সংসদ নেতা শেখ হাসিনার বক্তব্য এবং এ বিষয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্ত জানানোর দাবি করেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, সংবিধান স্পিকারকে এমন কোন ক্ষমতা দেননি যে, যা তিনি স্বংয়ক্রিয়ভাবে প্রয়োগ করতে পারবেন। এ সংক্রান্ত যে রিলেভেন্ট আর্টিক্যাল আছে, সেগুলো যদি প্রযোজ্য হয়, তখনই তার সদস্যপদ যাবে। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার হাতকে মুক্ত করে দেয়া হবে। শুধু স্পিকারকে অবহিত করতে হবে।
লতিফ সিদ্দিকী কোন অবাঞ্ছিত ব্যক্তি নন মন্তব্য করে তিনি বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও তাকে গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সীমাবদ্ধতা আছে। আদালতের নির্দেশ না পেলে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব নয়। তাই আমরা তাকিয়ে আছি আদালতের দিকে, কি নির্দেশ তার বিষয়ে আসে এবং আদালতের নির্দেশ এলেই সরকার সঙ্গে সঙ্গে তা কার্যকর করবে। সুরঞ্জিত আরও বলেন, ‘আমি মনে করি আইন অনুযায়ী আদালতের সব নির্দেশ দল ও সরকার কার্যকর করবে। আইন তার নিজেস্ব গতিতে চলবে।’
No comments