লতিফ সিদ্দিকী ফিরেছেন- বিমানবন্দর থেকে অজ্ঞাত স্থানে
গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে দেশে ফেরার এক ঘণ্টার মধ্যে অজানা গন্তব্যে চলে গেছেন সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। পুলিশ, নিরাপত্তাকর্মী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে তিনি বিমানবন্দর থেকে অজ্ঞাত স্থানে চলে যান। এর আগে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী গত রাত ৮-৪০ মিনিটে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তিনি বিমানবন্দরে অবস্থান করছিলেন। ইমিগ্রেশন ও আর্মড পুলিশের সদস্যরা তাকে নজরদারিতে রাখেন। ইতোমধ্যে লতিফ সিদ্দিকীর দেশে ফেরার খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের সাংবাদিকেরা ছুটে যান বিমানবন্দরে। কিন্তু রাত সাড়ে ১০টার পরে বিমানবন্দরে লতিফ সিদ্দিকীর অবস্থান সম্পর্কে কেউ জানাতে পারেনি। এয়ার ইন্ডিয়ার ফাইটটি বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর বিমানের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র লতিফ সিদ্দিকীর ঢাকায় ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কিন্তু এরপর লতিফ সিদ্দিকী কোথায় গেছেন, তা জানাতে পারেননি। রাত ১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লতিফ সিদ্দিকীর অবস্থান সম্পর্কে কেউ কিছু জানাতে পারেনি।
একটি সূত্র জানায়, লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের উচ্চ মহলে গড়িমসি চলছিল। রাত ১০টার পর তিনি বিমানবন্দর থেকে একটি বিশেষ গাড়িতে করে অজ্ঞাত স্থানে চলে যান। এরপর তার অবস্থান সম্পর্কে কেউ কিছু জানাতে পারেনি। বিমানবন্দর কর্তৃপ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, তার বিরুদ্ধে পুলিশের হাতে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। তবে তাকে গ্রেফতারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপরে সবুজ সঙ্কেতের অপোয় রয়েছে পুলিশ।
এ দিকে রাত ১০টায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, লতিফ সিদ্দিকী ভিআইপি লাউঞ্জে আছেন। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছে। আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বিমানবন্দরে বসে দলের বিভিন্ন নেতাকর্মীকে ফোন করছেন। তবে তার বিষয় নিয়ে এখনই তেমন কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না। কিন্তু স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্যের কিছু সময় পরেই লতিফ সিদ্দিকী অতি গোপনে বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে বের হয়ে যান।
পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার ইকবাল হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি পুরোপুরি জানেন না। এ ছাড়াও লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে তাদের কাছে কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা নেই। ফলে যাচাই বাছাই না করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না।
সূত্র জানায়, গত রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ইন্ডিয়ান এয়ার লাইন্সের একটি বিমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। সেখানে ইমিগ্রেশন পুলিশের সাথে তার বেশ কিছুণ কথা হয়। পুলিশ তার পাসপোর্ট জব্দের প্রক্রিয়া চালায়।
গত সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে নিউ ইয়র্কে বসবাসরত টাঙ্গাইলবাসীর সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী হজ ও তাবলিগ জামাত সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কেও বিরূপ বক্তব্য রাখেন। তার ইসলাম ধর্ম অবমাননাকর বক্তব্যে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ ুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে মন্ত্রিসভা থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। তীব্র সমালোচনার মুখে লতিফ সিদ্দিকীকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম থেকেও বাদ দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। সরকারের তরফ থেকে ইতঃপূর্বে বলা হয়েছিল তিনি দেশে ফিরলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনকি তিনি গ্রেফতারও হতে পারেন।
হজ নিয়ে মন্তব্যের জন্য ধর্ম অবমাননার অভিযোগে লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন আদালতে কয়েক ডজন মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে ওই অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী বলেছিলেন, ‘আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীর যতটা বিরোধী, তার চেয়ে বেশি হজ আর তাবলিগের বিরোধী।’ এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, বিপুলসংখ্যক মানুষ হজে যাওয়ায় দেশের অর্থ আর শ্রমশক্তির অপচয় হয়। তার এই বক্তব্য প্রচার হলে তা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। বিভিন্ন ইসলামি দল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়ার দাবি তোলে। তাকে গ্রেফতারের দাবি জানায় বিএনপি ও বিভিন্ন ইসলামি দল। বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে মামলাও হতে থাকে। এরই মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয় লতিফ সিদ্দিকীকে। আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও তাকে বাদ দেয়া হয়। এরপর থেকে লতিফ সিদ্দিকী পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছিলেন বলে জানা যায়।
টাঙ্গাইলে প্রভাবশালী সিদ্দিকীদের জ্যেষ্ঠ ভাই লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য হয়েছেন। গত মহাজোট সরকারের পাট ও বস্ত্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন লতিফ সিদ্দিকী। শেখ হাসিনা টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর চলতি বছরের শুরুতে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি। বিভিন্ন সময় বিতর্কিত মন্তব্য ও আচরণের কারণে আলোচনায় আসেন তিনি।
সর্বশেষ হজ নিয়ে মন্তব্যের জন্য হইচই শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে না ফিরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যান লতিফ সিদ্দিকী। গত রাত ৮টা ৪০ মিনিটে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফাইটে ঢাকা পৌঁছান তিনি। প্রায় এক ঘণ্টা পর গোপনে বিমানবন্দর ছাড়েন লতিফ সিদ্দিকী। তবে পরে তিনি কোথায় গেছেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
৯টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা : হজ, তবলিগ জামাত ও প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে কটূক্তি করায় গত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা করা হয়। এর মধ্যে ৯টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে করা একটি মামলায় ১৫ অক্টোবর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। অপর একটি মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম ২০ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
সিরাজগঞ্জে করা একটি মামলায় জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২১ অক্টোবর লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সাতীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২২ অক্টোবর লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম ২৩ অক্টোবর লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২৭ অক্টোবর লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ঢাকা মহানগর আদালত ২৮ অক্টোবর লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। অপর একটি মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম ৩০ অক্টোবর লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আরেকটি মামলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৯ নভেম্বর লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
একটি সূত্র জানায়, লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের উচ্চ মহলে গড়িমসি চলছিল। রাত ১০টার পর তিনি বিমানবন্দর থেকে একটি বিশেষ গাড়িতে করে অজ্ঞাত স্থানে চলে যান। এরপর তার অবস্থান সম্পর্কে কেউ কিছু জানাতে পারেনি। বিমানবন্দর কর্তৃপ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, তার বিরুদ্ধে পুলিশের হাতে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। তবে তাকে গ্রেফতারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপরে সবুজ সঙ্কেতের অপোয় রয়েছে পুলিশ।
এ দিকে রাত ১০টায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, লতিফ সিদ্দিকী ভিআইপি লাউঞ্জে আছেন। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছে। আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বিমানবন্দরে বসে দলের বিভিন্ন নেতাকর্মীকে ফোন করছেন। তবে তার বিষয় নিয়ে এখনই তেমন কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না। কিন্তু স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্যের কিছু সময় পরেই লতিফ সিদ্দিকী অতি গোপনে বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে বের হয়ে যান।
পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার ইকবাল হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি পুরোপুরি জানেন না। এ ছাড়াও লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে তাদের কাছে কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা নেই। ফলে যাচাই বাছাই না করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না।
সূত্র জানায়, গত রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ইন্ডিয়ান এয়ার লাইন্সের একটি বিমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। সেখানে ইমিগ্রেশন পুলিশের সাথে তার বেশ কিছুণ কথা হয়। পুলিশ তার পাসপোর্ট জব্দের প্রক্রিয়া চালায়।
গত সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে নিউ ইয়র্কে বসবাসরত টাঙ্গাইলবাসীর সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী হজ ও তাবলিগ জামাত সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কেও বিরূপ বক্তব্য রাখেন। তার ইসলাম ধর্ম অবমাননাকর বক্তব্যে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ ুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে মন্ত্রিসভা থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। তীব্র সমালোচনার মুখে লতিফ সিদ্দিকীকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম থেকেও বাদ দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। সরকারের তরফ থেকে ইতঃপূর্বে বলা হয়েছিল তিনি দেশে ফিরলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনকি তিনি গ্রেফতারও হতে পারেন।
হজ নিয়ে মন্তব্যের জন্য ধর্ম অবমাননার অভিযোগে লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন আদালতে কয়েক ডজন মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে ওই অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী বলেছিলেন, ‘আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীর যতটা বিরোধী, তার চেয়ে বেশি হজ আর তাবলিগের বিরোধী।’ এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, বিপুলসংখ্যক মানুষ হজে যাওয়ায় দেশের অর্থ আর শ্রমশক্তির অপচয় হয়। তার এই বক্তব্য প্রচার হলে তা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। বিভিন্ন ইসলামি দল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়ার দাবি তোলে। তাকে গ্রেফতারের দাবি জানায় বিএনপি ও বিভিন্ন ইসলামি দল। বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে মামলাও হতে থাকে। এরই মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয় লতিফ সিদ্দিকীকে। আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও তাকে বাদ দেয়া হয়। এরপর থেকে লতিফ সিদ্দিকী পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছিলেন বলে জানা যায়।
টাঙ্গাইলে প্রভাবশালী সিদ্দিকীদের জ্যেষ্ঠ ভাই লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য হয়েছেন। গত মহাজোট সরকারের পাট ও বস্ত্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন লতিফ সিদ্দিকী। শেখ হাসিনা টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর চলতি বছরের শুরুতে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি। বিভিন্ন সময় বিতর্কিত মন্তব্য ও আচরণের কারণে আলোচনায় আসেন তিনি।
সর্বশেষ হজ নিয়ে মন্তব্যের জন্য হইচই শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে না ফিরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যান লতিফ সিদ্দিকী। গত রাত ৮টা ৪০ মিনিটে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফাইটে ঢাকা পৌঁছান তিনি। প্রায় এক ঘণ্টা পর গোপনে বিমানবন্দর ছাড়েন লতিফ সিদ্দিকী। তবে পরে তিনি কোথায় গেছেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
৯টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা : হজ, তবলিগ জামাত ও প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে কটূক্তি করায় গত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা করা হয়। এর মধ্যে ৯টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে করা একটি মামলায় ১৫ অক্টোবর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। অপর একটি মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম ২০ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
সিরাজগঞ্জে করা একটি মামলায় জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২১ অক্টোবর লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সাতীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২২ অক্টোবর লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম ২৩ অক্টোবর লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২৭ অক্টোবর লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ঢাকা মহানগর আদালত ২৮ অক্টোবর লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। অপর একটি মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম ৩০ অক্টোবর লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আরেকটি মামলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৯ নভেম্বর লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
No comments