এশিয়ার নিরাপত্তা হুমকিমুক্ত হতে হবে
নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি-ধামকি ও চোখ রাঙানোর চর্চাকে পাশ কাটিয়ে চলতে হবে। এশিয়ার নিরাপত্তাব্যবস্থা অবশ্যই হুমকিমুক্ত হতে হবে যেখানে ছোট দেশগুলোর ওপর বড় দেশগুলোর জবরদস্তি থাকবে না। অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে শনিবার শুরু হওয়া জি২০ সম্মেলনে অংশ নিতে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে এ কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি আরও বলেন, এ অঞ্চলের নিরাপত্তাব্যবস্থা পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তিতেই হতে হবে। তিনি এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত মনোযোগ বাড়ানোর প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে বলেন, এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় মৈত্রী গড়তে তিনি যে অঙ্গীকার করেছেন তা নিয়ে ‘কোনো প্রশ্ন’ নেই।এশিয়ার নিরাপত্তা পারস্পরিক জোটের ওপর নির্ভর করছে বলেও জনানা ওবামা। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এশিয়ার নিরাপত্তাব্যবস্থা কোনোভাবেই ক্ষমতার চাদর, গায়ের জোর কিংবা হুমকির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠবে না; যেখানে বড় দেশগুলো তাদের আশপাশের ছোট দেশগুলোর দিকে চোখ রাঙাবে। এর ভিত্তি হওয়া উচিত জোটের মাধ্যমে পারস্পরিক নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক আইন ও নিয়মের ওপর ভিত্তি করে বিতর্কের অবসান।’সরাসরি চীনের নাম না নিলেও দক্ষিণ চীন সাগরে দখলদারিত্ব নিয়ে তৈরি বিতর্কের বিপদগুলোকে তুলে ধরেন ওবামা। সভা শুরুর আগে দেয়া এক ভাষণে ইবোলা চ্যালেঞ্জ, জলবায়ুর পরিবর্তন ও ইউক্রেন ইস্যুতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।এদিকে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে জাতিসংঘের হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকার প্রতিবাদে বন্ডি দ্বীপে প্রতিবাদ জানায় প্রায় ২০০ পরিবেশবাদী। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ ৭০ শতাংশ কমে যাওয়ায় এমনিতেই পরিবেশবাদীদের চাপে আছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। এদিকে এবারের সম্মেলনে যোগ দিতে আসা রাশিয়া, পশ্চিমা নেতাদের কড়া সমালোচনার তোপে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউক্রেনে আগ্রাসন ইস্যু ও সামরিক শক্তিমত্তা বৃদ্ধির কারণেই প্রশ্নের মুখে পড়বেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন। এই সম্মেলনে অর্থনৈতিক এজেন্ডা ছাপিয়ে ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার বিরোধের বিষয়ই প্রাধান্য পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে দু’দিনব্যাপী জি২০ সম্মেলনে ওবামা অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্প্রসারণের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ফেব্র“য়ারিতে জি২০ গ্রুপের অর্থমন্ত্রীরা এক বৈঠকে আগামী পাঁচ বছরে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ বাড়াতে একমত হয়েছিলেন। আর এবারের সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা ওই পরিকল্পনার আরও সম্প্রসরাণ করতে পারেন। বৈঠকের আগে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনও নেতৃবৃন্দের প্রতি মহামারী রোগ ইবোলা, জলবায়ু পরিবর্তন ও ইউক্রেনে সংঘাতের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার আহ্বান জানান।রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন পশ্চিমা নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা নাও পেতে পারেন। কারণ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের বিদ্রোহীদের উস্কানি ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করার অভিযোগ করছে বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ।রাশিয়া বরাবরই এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন শনিবার বলেন, ইউক্রেনকে অস্থিতিশীল করার হীন চেষ্টা বন্ধ না করলে রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। এএফপি, বিবিসি।জি-২০ সম্মেলন শুরুর আগে ওবামার ভাষণএশিয়ার নিরাপত্তাব্যবস্থা ক্ষমতার চাদর, গায়ের জোর কিংবা হুমকির ওপর গড়ে উঠবে না; যেখানে বড় দেশগুলো আশপাশের ছোট দেশগুলোর দিকে চোখ রাঙাবেপশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার বিরোধের বিষয়ই প্রাধান্য পাবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন পশ্চিমা নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা নাও পেতে পারেনঅর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্প্রসারণ বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। ফেব্র“য়ারিতে জি-২০ গ্রুপের অর্থমন্ত্রীরা আগামী পাঁচ বছরেপ্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ বাড়াতে একমত হয়েছিলেন।
No comments