যশোরে বাম পা হারাতে বসেছে হাফিজুর
দুপুর গড়িয়ে বিকাল পেরিয়ে সন্ধ্যা, তখনও ছেলের সামনে বসে ডুকরে কাঁদছেন ফাতেমা খাতুন। ছেলে হাফিজুর রহমান পুলিশের গুলিতে বাম পা হারাতে বসেছে। চিকিৎসক শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থনান্তর করেছেন তাকে। কিন্তু টাকা না থাকায় ছেলেকে নিতে পারছেন না ঢাকায়।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ছেলের শয্যার পাশে বসে ফাতেমা খাতুন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ছেলেডারে অর্ধেক রাতে (মাঝ রাত) তুলে নিয়ে এসে গুলি করছে। এখন ছেলেডা পা হারাতি বসিছে। এত টাকা পাব কোনে (কোথায়)। আমার ছেলেডা খোড়া (পঙ্গু) হয়ে যাবে! পুলিশের গুলিতে আহত অপর যুবক মিজানুর রহমানের অবস্থা হাফিজুরের চেয়ে ভালো। তবে এখনও শংকা কাটেনি। তার চিকিৎসা যশোরেই সম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তার পায়ের অপারেশনও হয়েছে।বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মিজানুর রহমান মিজান ও হাফিজুর রহমান নামে দুই যুবককে ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়ি থেকে তুলে আনা হয়। পুলিশ তাদেরকে শহরের কালেক্টরেট ভবনের পশ্চিম পাশের নার্সারি পট্টিতে নিয়ে বন্দুক ঠেঁকিয়ে গুলি করেন। পরে তাদের যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের অর্থপেডিক্স কনসালটেন্ট মো. গোলাম ফারুক যুগান্তরকে জানান, হাফিজুরের বাম পা থেকে দুটি গুলি বের করা হয়েছে। তার পায়ের দুটি শিরা কেটে গেছে। শিরা জোড়া লাগাতে হবে। এ জন্য সকালে ঢাকায় স্থনান্তর করা হয়েছে। শিরা জোড়া না লাগাতে পারলে মাংশে পচন (গাংরিন) ধরতে পারে। পচন ধরলে পা কেটে ফেলতে হতে পারে। অপরদিকে মিজানের অবস্থা মোটামুটি ভালো। চিকিৎসা চলছে। তবে এখনই শংকামুক্ত বলা যাবে না।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাফিজুর রহমান জানান, বাড়ি থেকে যখন পুলিশ ধরে নিয়ে আসে গুলি করে তখন বলেছিলাম স্যার একবারে মেরে ফেলেন। কিন্তু আমার কথা শোনেনি। গুলি করে আমায় পঙ্গু করে দিল। আমার টাকা নেই। আমার চিকিৎসা হবে না।হাফিজুরের স্ত্রী সীমা খাতুন বলেন, আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গুলি করা হয়েছে। যদি অপরাধ করে ধরা পড়ে গুলি খেত তাহলে মনকে সান্ত্বনা দেয়া যেত। ওকে বাড়ি থেকে ধরে এনে পঙ্গু করে দিল ওরা। যারা আমার স্বামীর এই অবস্থা করেছে তাদের বিচার চাই।অপর যুবক মিজানুর রহমানের পিতা ইকবাল হোসেন বাবু জানান, শনিবার মিজানের পায়ে অপারেশন হয়েছে। চিকিৎসক বলেছেন কিছু দিন পায়ে টানা বাঁধা থাকবে। তিনি বলেন, আমার ছেলেকে যারা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গুলি করেছে তাদের বিচার চাই।অপরদিকে, শনিবার দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতায় যশোরে দুই যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গুলি, ছিনতাইকারী বানানোর নাটক পুলিশের শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। শনিবার যশোরে যুগান্তর ছিল হটকেক। সব পত্রিকা বিক্রি হয়ে যায়। এ ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় হলেও পুলিশের কর্তাদের টনক নড়েনি। পুলিশ তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে।যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও সহকারী পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন দাবি করেছেন, হাফিজুর রহমান ও মিজানুর রহমান ছিনতাইকারী। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গুলির ঘটনায় কোনো তদন্ত কমিটি গঠন হয়নি বলে জানিয়েছেন এএসপি।হাফিজুরের চিকিৎসা প্রসঙ্গে রেশমা শারমিন বলেন, হাফিজুরকে নিজের টাকায় চিকিৎসা করতে হবে। সে এখন জেলখানায় রয়েছে। পুলিশ শুধু নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ছেলের শয্যার পাশে বসে ফাতেমা খাতুন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ছেলেডারে অর্ধেক রাতে (মাঝ রাত) তুলে নিয়ে এসে গুলি করছে। এখন ছেলেডা পা হারাতি বসিছে। এত টাকা পাব কোনে (কোথায়)। আমার ছেলেডা খোড়া (পঙ্গু) হয়ে যাবে! পুলিশের গুলিতে আহত অপর যুবক মিজানুর রহমানের অবস্থা হাফিজুরের চেয়ে ভালো। তবে এখনও শংকা কাটেনি। তার চিকিৎসা যশোরেই সম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তার পায়ের অপারেশনও হয়েছে।বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মিজানুর রহমান মিজান ও হাফিজুর রহমান নামে দুই যুবককে ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়ি থেকে তুলে আনা হয়। পুলিশ তাদেরকে শহরের কালেক্টরেট ভবনের পশ্চিম পাশের নার্সারি পট্টিতে নিয়ে বন্দুক ঠেঁকিয়ে গুলি করেন। পরে তাদের যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের অর্থপেডিক্স কনসালটেন্ট মো. গোলাম ফারুক যুগান্তরকে জানান, হাফিজুরের বাম পা থেকে দুটি গুলি বের করা হয়েছে। তার পায়ের দুটি শিরা কেটে গেছে। শিরা জোড়া লাগাতে হবে। এ জন্য সকালে ঢাকায় স্থনান্তর করা হয়েছে। শিরা জোড়া না লাগাতে পারলে মাংশে পচন (গাংরিন) ধরতে পারে। পচন ধরলে পা কেটে ফেলতে হতে পারে। অপরদিকে মিজানের অবস্থা মোটামুটি ভালো। চিকিৎসা চলছে। তবে এখনই শংকামুক্ত বলা যাবে না।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাফিজুর রহমান জানান, বাড়ি থেকে যখন পুলিশ ধরে নিয়ে আসে গুলি করে তখন বলেছিলাম স্যার একবারে মেরে ফেলেন। কিন্তু আমার কথা শোনেনি। গুলি করে আমায় পঙ্গু করে দিল। আমার টাকা নেই। আমার চিকিৎসা হবে না।হাফিজুরের স্ত্রী সীমা খাতুন বলেন, আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গুলি করা হয়েছে। যদি অপরাধ করে ধরা পড়ে গুলি খেত তাহলে মনকে সান্ত্বনা দেয়া যেত। ওকে বাড়ি থেকে ধরে এনে পঙ্গু করে দিল ওরা। যারা আমার স্বামীর এই অবস্থা করেছে তাদের বিচার চাই।অপর যুবক মিজানুর রহমানের পিতা ইকবাল হোসেন বাবু জানান, শনিবার মিজানের পায়ে অপারেশন হয়েছে। চিকিৎসক বলেছেন কিছু দিন পায়ে টানা বাঁধা থাকবে। তিনি বলেন, আমার ছেলেকে যারা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গুলি করেছে তাদের বিচার চাই।অপরদিকে, শনিবার দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতায় যশোরে দুই যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গুলি, ছিনতাইকারী বানানোর নাটক পুলিশের শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। শনিবার যশোরে যুগান্তর ছিল হটকেক। সব পত্রিকা বিক্রি হয়ে যায়। এ ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় হলেও পুলিশের কর্তাদের টনক নড়েনি। পুলিশ তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে।যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও সহকারী পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন দাবি করেছেন, হাফিজুর রহমান ও মিজানুর রহমান ছিনতাইকারী। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গুলির ঘটনায় কোনো তদন্ত কমিটি গঠন হয়নি বলে জানিয়েছেন এএসপি।হাফিজুরের চিকিৎসা প্রসঙ্গে রেশমা শারমিন বলেন, হাফিজুরকে নিজের টাকায় চিকিৎসা করতে হবে। সে এখন জেলখানায় রয়েছে। পুলিশ শুধু নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে।
No comments