২০ দল দেশের বিষফোঁড়া
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটকে দেশের জন্য বিষফোঁড়া বলে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত যুবলীগের সমাবেশে তিনি বলেন, তারা আজ দেশের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে এতে সন্দেহ নেই। দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। কিশোরগঞ্জের জনসভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ঢাল-তলোয়ারের হুমকির জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যতই হুমকি-ধমকি দেয়া হোক না কেন, তাতে কোনো কাজ হবে না।
৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার এ সমাবেশ ও যুব পুনর্মিলনীর আয়োজন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। অনুষ্ঠানের নাম পুনর্মিলনী দিলেও সারা দেশের হাজার হাজার যুবকের উপস্থিতিতে তা বিশাল সমাবেশে পরিণত হয়। সমাবেশ উপলক্ষে যুবলীগের কর্মী-সমর্থকরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবেশস্থলে যান বিকাল ৩টা ৮ মিনিটে। বক্তৃতা শুরু করেন ৪টা ৪০ মিনিটে। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় যুবলীগ গঠনের ইতিহাস, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সংগঠনটির ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। এক পর্যায়ে বিএনপিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বন্ধ করার অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিগুলো সক্রিয় ছিল। তাই কোনো ষড়যন্ত্রই গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বন্ধ করতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে সরকারে থাকার সময় গ্যাস বিক্রি করতে রাজি হইনি বলে ষড়যন্ত্রের শিকার হই, ক্ষমতায় আসতে পারিনি। তখন আলবদর প্রধান (মতিউর রহমান নিজামী) হয়ে যায় এদেশের মন্ত্রী। জিয়া মন্ত্রী বানিয়েছিলেন, পরে তার স্ত্রী খালেদা জিয়াও মন্ত্রী বানিয়েছেন।
পঁচাত্তরের কাল রাতের ঘাতক খন্দকার মোশতাক আহমদকে খুনি ও মোনাফেক আখ্যা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ওই খুনির দোসর জিয়াউর রহমান। জিয়া যদি খুনির দোসর না হন, তাহলে মোশতাক কেন তাকে সেনাবাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব দিলেন?
তিনি বলেন, আমরা যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করি, তারা আন্দোলনের নামে বাসে, সিএনজিতে, রিকশায় আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করে। কিন্তু এভাবে মানুষ মেরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করা যাবে না।
বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এদের জনসভাগুলোতে রাজাকারদের মুক্তি দাবির প্ল্যাকার্ড থাকে। উনি (খালেদা জিয়া) কি স্বাধীনতার পক্ষে? তাহলে ওনার জনসভায় যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবি ওঠে কিভাবে? এ ব্যাপারে তিনি কী জবাব দেবেন?
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে বিএনপি নেত্রী সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়েছিলেন। উনি বোঝেন না এসব করলেই তো বিচার বন্ধ হয়ে যাবে না। এ বিচার চলছে, চলবে। একে একে রায়ও কার্যকর হবে। এদেশের মাটি লাখো শহীদের রক্তে ভেজা। যারা একাত্তরে হত্যা-গুম-ধর্ষণ-অগ্নিসংযোগ করেছে, তাদের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না।
যুব সম্প্রদায়ের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বর্ণনা দেন শেখ হাসিনা। তিনি সরকারের সাফল্যেরও চিত্র তুলে ধরেন। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা পারি, আমাদের আন্তরিকতা আছে। যে দল স্বাধীনতা দেয়, তারা ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশাল প্যান্ডেল ছাড়াও রঙ-বেরঙের বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানজুড়ে। থেমে থেমে চলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে স্তুতিমূলক বিভিন্ন স্লোগান ও গান।
অনুষ্ঠানে ‘রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার পরিবর্তনের ডাক’- শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়কও উন্মোচন করা হয়। উপস্থিত যুবলীগ নেতাকর্মীদের শপথবাক্য পাঠ করান সংগঠনের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। সভায় আরও বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, নেপালী যুব কংগ্রেসের সভাপতি মাহেন্দ্র জাদেব এমপি প্রমুখ।
৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার এ সমাবেশ ও যুব পুনর্মিলনীর আয়োজন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। অনুষ্ঠানের নাম পুনর্মিলনী দিলেও সারা দেশের হাজার হাজার যুবকের উপস্থিতিতে তা বিশাল সমাবেশে পরিণত হয়। সমাবেশ উপলক্ষে যুবলীগের কর্মী-সমর্থকরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবেশস্থলে যান বিকাল ৩টা ৮ মিনিটে। বক্তৃতা শুরু করেন ৪টা ৪০ মিনিটে। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় যুবলীগ গঠনের ইতিহাস, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সংগঠনটির ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। এক পর্যায়ে বিএনপিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বন্ধ করার অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিগুলো সক্রিয় ছিল। তাই কোনো ষড়যন্ত্রই গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বন্ধ করতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে সরকারে থাকার সময় গ্যাস বিক্রি করতে রাজি হইনি বলে ষড়যন্ত্রের শিকার হই, ক্ষমতায় আসতে পারিনি। তখন আলবদর প্রধান (মতিউর রহমান নিজামী) হয়ে যায় এদেশের মন্ত্রী। জিয়া মন্ত্রী বানিয়েছিলেন, পরে তার স্ত্রী খালেদা জিয়াও মন্ত্রী বানিয়েছেন।
পঁচাত্তরের কাল রাতের ঘাতক খন্দকার মোশতাক আহমদকে খুনি ও মোনাফেক আখ্যা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ওই খুনির দোসর জিয়াউর রহমান। জিয়া যদি খুনির দোসর না হন, তাহলে মোশতাক কেন তাকে সেনাবাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব দিলেন?
তিনি বলেন, আমরা যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করি, তারা আন্দোলনের নামে বাসে, সিএনজিতে, রিকশায় আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করে। কিন্তু এভাবে মানুষ মেরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করা যাবে না।
বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এদের জনসভাগুলোতে রাজাকারদের মুক্তি দাবির প্ল্যাকার্ড থাকে। উনি (খালেদা জিয়া) কি স্বাধীনতার পক্ষে? তাহলে ওনার জনসভায় যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবি ওঠে কিভাবে? এ ব্যাপারে তিনি কী জবাব দেবেন?
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে বিএনপি নেত্রী সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়েছিলেন। উনি বোঝেন না এসব করলেই তো বিচার বন্ধ হয়ে যাবে না। এ বিচার চলছে, চলবে। একে একে রায়ও কার্যকর হবে। এদেশের মাটি লাখো শহীদের রক্তে ভেজা। যারা একাত্তরে হত্যা-গুম-ধর্ষণ-অগ্নিসংযোগ করেছে, তাদের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না।
যুব সম্প্রদায়ের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বর্ণনা দেন শেখ হাসিনা। তিনি সরকারের সাফল্যেরও চিত্র তুলে ধরেন। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা পারি, আমাদের আন্তরিকতা আছে। যে দল স্বাধীনতা দেয়, তারা ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশাল প্যান্ডেল ছাড়াও রঙ-বেরঙের বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানজুড়ে। থেমে থেমে চলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে স্তুতিমূলক বিভিন্ন স্লোগান ও গান।
অনুষ্ঠানে ‘রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার পরিবর্তনের ডাক’- শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়কও উন্মোচন করা হয়। উপস্থিত যুবলীগ নেতাকর্মীদের শপথবাক্য পাঠ করান সংগঠনের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। সভায় আরও বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, নেপালী যুব কংগ্রেসের সভাপতি মাহেন্দ্র জাদেব এমপি প্রমুখ।
No comments