খুলনায় এসপি অফিস থেকে লাফিয়ে পড়ে মৃত্যু
খুলনায় শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের দোতলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে তুষার মণ্ডল (৪২) নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ী ও বিকাশ এজেন্ট নিহত হয়েছে। তাকে শুক্রবার রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ধরে ডুমুরিয়া থানায় নেয়ার পর নির্যাতন করা হয়। শনিবার তাকে পুলিশ সুপারের দফতরে এনে মারধর ও রিমান্ডের ভয়ভীতি দেখানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ঘটনার পর তুষার পুলিশ সুপারের অফিস থেকে লাফিয়ে পড়ে এবং আহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ডুমুরিয়া থানা পুলিশ মহানগরীর বয়রা শেরের মোড়ে আসে এবং ওষুধের দোকান থেকে তুষার মণ্ডলকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। রাতভর তাকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শনিবার দুুপুরে তাকে খুলনায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলা ২টার দিকে তার সঙ্গে কথা বলেন। এরপর সেখান থেকে তুষার বেরিয়ে আসে এবং তার শ্যালক অপূর্বর সঙ্গে কথা বলে। এ সময় তুষার জানায়, ভেতরে তাকে মারধর করা হয়েছে আর রিমান্ডে নেয়ার ভয় দেখানো হয়েছে। এরপর তুষার দোতলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে। বেলা ৩টার দিকে আহত তুষারকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান তাকে দেখতে যান। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় অন্য হাসপাতালে নেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে তোলার পর বিকাল ৪টার দিকে তুষার মারা যায়।তুষারের শ্যালক অপূর্ব কুমার পাল বলেন, এসপি অফিসে তার সামনেই তুষার দোতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে। এর আগে তুষার তাকে জানায়, ভেতরে তাকে নির্যাতন এবং রিমান্ডের ভয় দেখানো হয়েছে।পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ডুমুরিয়া থানার একটি মানব পাচারের মামলার তথ্যে ছিল- একটি মেয়েকে অপহরণের পর বিকাশের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকা চাঁদাবাজি হয়েছে।খোঁজ নিয়ে বিকাশে গ্যারান্টার হিসেবে থাকা নম্বর থেকে তুষারকে এই মামলায় আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শনিবার দুপুরে সে অফিসের দোতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে। তাকে নির্যাতন করা হয়নি। ময়না তদন্তের পর এ ধরনের কোনো আলামত পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুযোগ আছে।তুষারের দূসম্পর্কের আত্মীয় ধীরেনকুমার পাল বলেন, তুষার বিকাশের এজেন্ট ছিল। সে বিভিন্ন লোককে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলে দিত। আর সেখানে গ্যারান্টার হিসেবে তার আইডি ব্যবহার করত।
জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ডুমুরিয়া থানা পুলিশ মহানগরীর বয়রা শেরের মোড়ে আসে এবং ওষুধের দোকান থেকে তুষার মণ্ডলকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। রাতভর তাকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শনিবার দুুপুরে তাকে খুলনায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলা ২টার দিকে তার সঙ্গে কথা বলেন। এরপর সেখান থেকে তুষার বেরিয়ে আসে এবং তার শ্যালক অপূর্বর সঙ্গে কথা বলে। এ সময় তুষার জানায়, ভেতরে তাকে মারধর করা হয়েছে আর রিমান্ডে নেয়ার ভয় দেখানো হয়েছে। এরপর তুষার দোতলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে। বেলা ৩টার দিকে আহত তুষারকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান তাকে দেখতে যান। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় অন্য হাসপাতালে নেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে তোলার পর বিকাল ৪টার দিকে তুষার মারা যায়।তুষারের শ্যালক অপূর্ব কুমার পাল বলেন, এসপি অফিসে তার সামনেই তুষার দোতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে। এর আগে তুষার তাকে জানায়, ভেতরে তাকে নির্যাতন এবং রিমান্ডের ভয় দেখানো হয়েছে।পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ডুমুরিয়া থানার একটি মানব পাচারের মামলার তথ্যে ছিল- একটি মেয়েকে অপহরণের পর বিকাশের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকা চাঁদাবাজি হয়েছে।খোঁজ নিয়ে বিকাশে গ্যারান্টার হিসেবে থাকা নম্বর থেকে তুষারকে এই মামলায় আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শনিবার দুপুরে সে অফিসের দোতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে। তাকে নির্যাতন করা হয়নি। ময়না তদন্তের পর এ ধরনের কোনো আলামত পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুযোগ আছে।তুষারের দূসম্পর্কের আত্মীয় ধীরেনকুমার পাল বলেন, তুষার বিকাশের এজেন্ট ছিল। সে বিভিন্ন লোককে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলে দিত। আর সেখানে গ্যারান্টার হিসেবে তার আইডি ব্যবহার করত।
No comments