গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষার আহ্বান
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও অধিকার সুরক্ষার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ-ভারত প্রথম হাইকমিশনার সম্মেলনে নয় দফা ঢাকা ঘোষণা গৃহীত হয়। বাংলাদেশ ও ভারতে দায়িত্ব পালনকারী কূটনীতিকদের দুদিনের এই সম্মেলনের শেষ দিনে শনিবার দেয়া এই ঘোষণায় প্রতি দুবছর পরপর এই সম্মেলন অনুষ্ঠানের কথা ব্যক্ত করা হয়। পরবর্তী হাইকমিশনার সম্মেলন ২০১৬ সালে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ-ভারত ফাউন্ডেশনের সহায়তায় সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ। এতে দিল্লিতে বিভিন্ন সময়ে হাইকমিশনার, ডেপুটি হাইকমিশনার, কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশনার এবং ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী কূটনীতিকরা প্রথম দিনে শুক্রবার দিনব্যাপী আলোচনা করেন।দ্বিতীয় দিনে মূলত দুদেশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ঢাকা ঘোষণা চূড়ান্ত করা হয়। দুপুরের দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমদ। এ সময় দুদেশের কয়েকজন হাইকমিশনার উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার দেব মুখার্জি বলেন, প্রতিশ্র“তির বাস্তবায়ন কিভাবে হবে তা উভয়েরই জানা আছে। তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন ভারতের অভ্যন্তরীণ কারণে আটকে আছে। তবে এই প্রতিশ্র“তির বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। আশা করি, সেই ধারাবাহিকতায় তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন হবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের মনোভাব জানতে চাইলে দেব মুখার্জি বলেন, এই ইস্যুটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাই এ নিয়ে সম্মেলনে কোনো কিছু আলোচনা করিনি।ঢাকা ঘোষণায় দক্ষিণ এশীয় ঐতিহ্য, অভিন্ন স্বার্থ এবং লক্ষ্য সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। এতে পারস্পরিক আস্থা এবং সহযোগিতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের কথা বলা হয়। এক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও অধিকার সুরক্ষার কথাও বলা হয়।ঘোষণায় সামাজিক ন্যায়বিচার ও বৈচিত্র্যের ভিত্তিতে সমতা, সুষম, অংশীদারিত্ব এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির প্রতি জোর দেয়া হয়। দ্বিপক্ষীয় ইস্যু ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি কাজে লাগানোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এতে বলা হয়, সচেতনতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস সৃষ্টিতে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষাবিদ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, করপোরেট খাত, পরিবেশবিদ এবং অপরাপর অংশীদারদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রবাহ বাড়িয়ে জনগণের পর্যায়ে গভীর ও কার্যকর যোগাযোগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন।ঘোষণায় বিনিয়োগ ও আর্থিক সেবাসহ পণ্য ও সেবার অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করে দুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর প্রতি জোর দেয়া হয়। বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের প্রতি সব নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।সব ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ উভয় দেশের জনগণের স্বার্থে ব্যবহারের জন্য অনুসন্ধানে সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়। সার্ক ও বিমসটেকসহ আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক পর্যায়ে কাজ করার জন্য সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানানো হয়।নিয়মিত যোগাযোগ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভারতে হাইকমিশনার হিসেবে কাজ করেছেন এমন কূটনীতিকদের সমন্বয়ে একটি এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।শুক্রবার বাংলাদেশ ও ভারতের সাবেক হাইকমিশনারদের এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ। ঢাকা ঘোষণার একটি করে কপি দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন এই প্রকল্পের সমন্বয়কারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমদ।
বাংলাদেশ-ভারত ফাউন্ডেশনের সহায়তায় সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ। এতে দিল্লিতে বিভিন্ন সময়ে হাইকমিশনার, ডেপুটি হাইকমিশনার, কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশনার এবং ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী কূটনীতিকরা প্রথম দিনে শুক্রবার দিনব্যাপী আলোচনা করেন।দ্বিতীয় দিনে মূলত দুদেশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ঢাকা ঘোষণা চূড়ান্ত করা হয়। দুপুরের দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমদ। এ সময় দুদেশের কয়েকজন হাইকমিশনার উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার দেব মুখার্জি বলেন, প্রতিশ্র“তির বাস্তবায়ন কিভাবে হবে তা উভয়েরই জানা আছে। তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন ভারতের অভ্যন্তরীণ কারণে আটকে আছে। তবে এই প্রতিশ্র“তির বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। আশা করি, সেই ধারাবাহিকতায় তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন হবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের মনোভাব জানতে চাইলে দেব মুখার্জি বলেন, এই ইস্যুটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাই এ নিয়ে সম্মেলনে কোনো কিছু আলোচনা করিনি।ঢাকা ঘোষণায় দক্ষিণ এশীয় ঐতিহ্য, অভিন্ন স্বার্থ এবং লক্ষ্য সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। এতে পারস্পরিক আস্থা এবং সহযোগিতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের কথা বলা হয়। এক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও অধিকার সুরক্ষার কথাও বলা হয়।ঘোষণায় সামাজিক ন্যায়বিচার ও বৈচিত্র্যের ভিত্তিতে সমতা, সুষম, অংশীদারিত্ব এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির প্রতি জোর দেয়া হয়। দ্বিপক্ষীয় ইস্যু ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি কাজে লাগানোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এতে বলা হয়, সচেতনতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস সৃষ্টিতে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষাবিদ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, করপোরেট খাত, পরিবেশবিদ এবং অপরাপর অংশীদারদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রবাহ বাড়িয়ে জনগণের পর্যায়ে গভীর ও কার্যকর যোগাযোগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন।ঘোষণায় বিনিয়োগ ও আর্থিক সেবাসহ পণ্য ও সেবার অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করে দুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর প্রতি জোর দেয়া হয়। বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের প্রতি সব নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।সব ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ উভয় দেশের জনগণের স্বার্থে ব্যবহারের জন্য অনুসন্ধানে সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়। সার্ক ও বিমসটেকসহ আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক পর্যায়ে কাজ করার জন্য সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানানো হয়।নিয়মিত যোগাযোগ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভারতে হাইকমিশনার হিসেবে কাজ করেছেন এমন কূটনীতিকদের সমন্বয়ে একটি এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।শুক্রবার বাংলাদেশ ও ভারতের সাবেক হাইকমিশনারদের এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ। ঢাকা ঘোষণার একটি করে কপি দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন এই প্রকল্পের সমন্বয়কারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমদ।
No comments